• আসুন ভাবি

    জীবনশিক্ষক ফুটবল ও আলবেয়ার কামু

    বল কখনো ঠিক জায়গা আসবে না জেনেই আমরা খেলি। লাইফ ইজ অ্যা গেম। আর আমরা ওই গেমটা একাগ্র উত্তেজনায় যখন খেলি, তখন মনে থাকে না গেম খেলতেছি। যেখানে আমরা মাঝেমধ্যে জিতি, তবে হারি অবিরত। এখন যেমন গোহারা হারতেছি! এদুয়ার্দো গালিয়ানো বুঝি সেরকম একখান ঘটনার আভাস দিতে তাঁর সকার ইন সান এন্ড শ্যাডোয় আলবেয়ার কামুর কাহিনি পেশ করছিলেন।

  • আসুন ভাবি

    বুদ্ধিজীবী কী দিয়া মাপব?-২

    প্রথমত, ইন্টেলেকচুয়ালের পরিভাষা হিসেবে বুদ্ধিজীবী শব্দের ব্যবহার আমার কাছে যৌক্তিক মনে হয়নি কখনো। শব্দটির মধ্যে পরগাছাসুলভ ভাব বেশ তীব্র। বুদ্ধি বেঁচে জীবিকা নির্বাহে সম্পৃক্ত থাকায় শুরুতেই সংকীর্ণ একটি ভাব মনে চলে আসে। কলিম খানরা এখানে মনীষী শব্দটির ব্যাখ্যায় যে-অর্থে পৌঁছান, সেটি বরং আমার কাছে অধিক যৌক্তিক মনে হচ্ছে।

  • আসুন ভাবি

    স্বত্ব ও স্বত্বহীন মহাভারত

    সমষ্টি এবং স্বত্ববিহীন রচনাপ্রক্রিয়াই কেবল মহাভারতের মতো আকরগ্রন্থ প্রসবের শক্তি রাখে। আমরা যে-যুগ বাস করি সেখানে এটা কোনোভাবে সম্ভব নয়। এমনকি অনেকজন মিলেও যদি এরকম কিছু লিখতে নামেন, দশকের-পর-দশ ধরে লেখনক্রিয়া জারি থাকে, একটা প্রসঙ্গের লেজ ধরে শত প্রসঙ্গ যুক্তও হয়, তথাপি মহাভারত সম্ভব নয়। যে-কালপর্বকে ধারণ করতে এই মহাগ্রন্থ বিরচিত, এবং সেখানে যেসব উপাদান সক্রিয়, তার মধ্যে ছিল মহাকাব্যিক ধ্রুপদি বিস্তারের সূত্র। অদ্য এর কমতি পড়ায় ওয়ার এন্ড পিস পর্যায়ের কিছু সৃষ্টি হইতে পারে, রামায়ণ, মহাভারত, ইলিয়াড, ওডিসি অথবা আরব্য রজনীর মতো সাহিত্য নাহি সম্ভব।

  • আসুন ভাবি

    অনুপল মানবজীবন

    আমাদের এই জীবনটা তখন হবে গাছের জীবন। অর্থ পয়দার ফুরসত গাছের নাই। সে কখনো জানতে চায় না কী কারণে ধরায় তারে আসতে হইতেছে বা কে পাঠাইছে ইত্যাদি। গাছ তার ফুল-ফল-শাখা-প্রশাখা আন্দোলিত করে একটাই উত্তর করে সদা,- ওসব জেনে কি লাভ! আমি আছি। আমারে তোরা পারলে কাজে লাগা। কদিন পরে মাটিতে মিশে যাবো। এই তো জীবন! কেন এখানে আসছি, কে আমারে পাঠাইছে এখানে... কোন দুঃখে এসব নিয়া ভাবতে যাবো আমি! এই-যে মিনিং ছাড়া মিনিংফুল বেঁচে থাকা, পরমাণু যুদ্ধ আমাদেরকে সেই স্বাদ উপহার দিলেও দিতে পারে।

  • আসুন ভাবি

    বইয়ের জীবন বালের জীবন

    কিতাবের কুতুব মিনার দিয়া জীবনকে আমরা বিলক্ষণ সাজাইছি বটে! এমন একখান জীবন যা কিনা ইচ্ছা করলে এক ফুৎকারে ধ্বংসও করতে পারি। এর থেকে প্রমাণ হয় যিনি আমাদের সৃষ্টি করলেন উনার মনে আমাদের প্রতি দয়ামায়া নাই। আমরা তাঁর ভালোবাসার পাত্র হইতে পারি নাই। আমরা হইতেছি অভিশপ্ত জানোয়ার। খারাপ নজির রাখতে গ্রহে আসছি। আমাদেরকে কেন এভাবে পাঠানো হইছে সে-কেবল উনি জানে আর জানে উনার প্রিয় ইবলিশ।... আমরা নিজেকে সৃষ্টির সেরা জীব বইলা পাম দেই। আমরাই আবার নিজেকে ঝাড়ি। সার্ফ এক্সেল দিয়া কাচতে-কাচতে মনের ঝাল মিটাই। আশাবাদী ও নিরাশাবাদীর মাঝখানে বলদাবাদী ছাড়া দ্বিতীয় কোনো মানুষ আকাশ-পাতাল তালাশ করেও বের করতে পারলাম না!