ভাষার এই অদ্ভুত কনট্রাস্টই জীবনানন্দের অপার শক্তি, এবং সে-কারণে বিশ্বের চিরমহান কবিদের একজন তিনি। কিংবা আলো পৃথিবীর রাত্রি কবিতা যদি পাঠ করি পুনরায়,—বিস্ময়কর নির্মিতি। অভবানীয় ও অদ্ভুত! কিন্তু নিজের ম্যাসেজ প্রদানে ক্রিস্টাল ক্লিয়ার। জীবনানন্দ ইহজীবনে আর্ট ফর আর্ট সেক বা শিল্পের জন্য শিল্প লেখেননি। তিনি বিশুদ্ধ জীবনচাক্ষিক।
-
-
নিজের লেখা কবিতায় এক বন্ধুর কথা স্মরণ করছেন কবি। তার নাম ছিল শত্রুজিৎ। কার এখন ঠেকা পড়েছে তাকে শত্রুজিৎ নামে ডাকার! শত্রুজিৎ না ডেকে সবাই তাকে সংক্ষেপে শত্রু নামে ডাকা শুরু করেছিল। কাউকে বোঝানোর উপায় থাকল না,—শত্রুকে জয় করার বাসনায় বাপমা তার নাম শত্রুজিৎ রেখেছিল। আদিনাম বেচারা নিজেও ভুলে গেল বেমালুম। জীবন হচ্ছে এরকম তামাশার নাম। তাকে জয় করতে নেমে উলটো নিজেই শত্রু বনে যেতে হয়! সহজসরল প্রবচনঘন আবেশ মিশিয়ে জীবন নামের তামাশাকে নিরন্তর লিখে গেছেন তারাপদ রায়। সহজ কথা যায় না লেখা সহজে;—রবি ঠাকুরের কথাকে তিনি মিথ্যা প্রমাণ করেছেন। গভীর কথাকে সহজ করে লিখেছেন আজীবন।