• দেখা-শোনা-পাঠ

    টুটা পারিন্দা ও যে-পথে হয়নি যাওয়া

    বিরক্তি ও অসন্তুষ্টি দিয়া কিন্তু দ্য রোড নট ট্যাকেন কবিতার শুরুয়াত। পরবর্তী স্তবকগুলায় যোগ হইতেছে অতৃপ্ত হাহাকার। ফাঁদ থেকে বের হইতে কবি নিজেকে বোঝান,- দুইটা পথই ঝাক্কাস! একটা বেছে নিতে হবে তাঁকে। জনচলাচল যে-পথে অল্প, কবি সেইটা বেছে নিতেছেন। মনে অবশ্য সংশয়,- বেছে তো নিলাম ঠিক আছে,- ফেরত আসতে পারব তো? জুয়ার দান কবি খেলতেছেন এইবেলা। যে-পথে জনচলাচল আছে সেইটা তুলানমূলক নিশ্চিত ছিল তাঁর জন্য। জনবিরল পথ বেছে নেওয়ায় কপালে লক্ষ্মী জুটতে পারে, আবার ঝাঁটার বাড়িও বিচিত্র নহে। কুছ পাতা নাই কী আছে নসিবে!

  • দেখা-শোনা-পাঠ

    বিধ্বস্ত নীলিমায় সোনালী কাবিন

    কৌম যদি সুনির্দিষ্ট মানুষ ও সম্প্রদায়কে মিন করার পরিবর্তে সামগ্রিকে ধৃত নৃতাত্ত্বিক বাংলাকে গ্লোরিফাই করে, কওম-এ কি ফ্লেভারটা জারি থাকে অবিকল? সে তো ওই কাবিনজালে বাঁধা! কৌম-নারীদেহ বা তার গতরের বাস নিতে আকুল মাহমুদ নারীকে কাবিনবান্ধা সোনালি ভাবছিলেন তখন। মৃত্তিকাও ছিল কাবিনবান্ধা সোনালি। কওম-এ আসার পথে সে বাস্তবিক সোনালি ছাড়া অন্য কিছু না। তো এই জায়গা থেকে বলা যাইতে পারে,- আল মাহমুদের ম্যাগনাম ওপাসের শিরোনাম ও তার ভিত্রে বিচ্ছুরিত দীপ্তি এক জিনিস নয়। তারা একে অন্যের সঙ্গে কন্ট্রাডিক্ট করে। সোনালী কাবিন না দিয়া অন্য নাম উনি বোধহয় দিতে পারতেন।