বন এক জিনিস আর একটি অরণ্য... পুরোপুরি আলাদা ব্যাপার। সময় যত অতিক্রান্ত হয়েছে, কমল আর কমল থাকেননি। বৃক্ষ থেকে অরণ্যে পরিণত হয়েছিলেন। তাঁর দেহে কান্টের সমুদয় নোমেনারা ছিল ক্রিয়াশীল। তারা তরঙ্গিত সেখানে। মানুষ কমল চোখ বুজেছেন, কিন্তু বৃক্ষনাথ কমল এখনো জীবিত। শুনতে পাই, ভালোপাহাড়ের চূড়ায় অরণ্যকমলে পরিণত আমাদের কবি উপনিষদের শান্তিবাণী জপ করছেন...
-
-
ময়ুখ চৌধুরীর কবিতায় সৃষ্টি, স্থিতি, বিলয় ও পুনরায় আর্বিভাবের জটিলতা কি তাহলে তাঁকে দিয়ে প্রতীকী দৃশ্যব্যঞ্জনা তৈরি করায়? হতেও পারে। কবি জানেন তা ভালো। আমি-পাঠকের কাছে তাঁর কবিতা এভাবেই পাঠযোগ্য ঠেকছে। তাঁকে রোমান্টিক ও ব্যক্তিবাদী ইত্যাদি শিরোনামে দাগানোর প্রবণতা অনলাইন ঘাঁটতে গিয়ে কিছুটা পেলাম বটে! ওসব ঢেরা-পেটানো অভিধায় কবিকে হয়তো দাগানো যায়, কিন্তু আমি-পাঠকের তাতে পোষাচ্ছে না বড়ো।