জানতে চেয়েছিলাম,—ইলেকট্রনের অনিশ্চিত আচরণকে নিয়ন্ত্রণ করতে ফেইক ট্রিকস কতখানি কার্যকর ফল এনে দিতে পারবে? যেখানে আমরা বাস্তবিক কোয়ান্টাম বিটস নিয়ে কাজ করছি না, কিন্তু কোয়ান্টাম বিটস ব্যবহার করলে যে-গতি পাওয়ার কথা,—কম্পিউটার প্রসেসর তা দিতে থাকবে। উত্তরে সে আপনাকে যা বলেছিল, তার কাছাকাছি তথ্য আমাকেও দিয়েছে। তার মতে, তাত্ত্বিকভাবে এটি সম্ভব,—যদি আমরা কোয়ান্টাম সিমুলেটর (quantum emulator) নামক কিছুর কথা ভাবি। তবে সীমাবদ্ধতাগুলো সে ভাগ করে দেখিয়েছে সেখানে
-
-
বায়বীয় এক চরিত্রকে এভাবে সমাজমাধ্যমে রাতারাতি ছড়িয়ে দেওয়ার খেলাটি কেন ধরতে পারলেন না সেকথা ভেবে নিজের ওপর রাগ হচ্ছে অনেকের! ধোঁকা খেয়ে হাবা হাসমত বনে যাওয়ার জেরে উঠেছে নতুন বিতর্ক। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যদি এই পর্যায়ে চলে যায়, তাহলে মানুষের কী হবে? সৃষ্টিশীলতা বলে কিছুই কি থাকবে না তার হাতে? সব কি একাই খেয়ে নেবে এআই দানব? অনেকে শাপশাপন্ত করছেন। অনেকে আবার সপক্ষে যুক্তি দিচ্ছেন বেশ।
-
ভয়েজার সময়ের সঙ্গে বিকল হয়ে যাবে। থেমে যাবে পথচলা। কিন্তু সোনালি চাকতিতে করে মানবধরার যেসব বার্তা সে মহাকাশে ছড়িয়ে দিলো, সেটি থামবার নয়। হতেও পারে ভিনগ্রহী কোনো প্রাণীর কাছে আচমকা পৌঁছে যাবে সেগুলো। পৌঁছাবে পাখির কূজন আর সাগরের গর্জন। আচমকা বেজে উঠবেন বিথোভেন নয়তো বাখ। চাক বেরির জনি বি গুড শুনে কি চমকে যাবে তারা? ৫৫টি ভাষায় পাঠানো শুভেচ্ছাবার্তার কোনো একটির অর্থ হয়তো ধরে ফেলবে, আর মানবধরায় পাঠাবে ফিরতি সংকেত।
-
নতুন শ্রমবিন্যাস কাজেই সামনে অনিবার্য বলে মত ঠুকছেন তাঁরা। ম্যানাসের মধ্য দিয়ে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিজেকে হালনাগাদ করতে সক্ষম প্রযুক্তি, অর্থাৎ সেল্ফ অটোমেশনের নয়া দিগন্তে পা রাখবে বিশ্ব। মানব প্রজাতির জন্য যেটি প্রতিদ্বন্দ্বীতায় পূর্ণ এক বিশ্বের ছবি তুলে ধরছে। যন্ত্রে সচেতন মন সৃষ্টির যে-নিদান মার্ভিন মিনস্কি তাঁর The Society of Mind বইয়ে দিয়েছিলেন, আগামী বিশ্ব কি তাহলে সেদিকে পা বাড়াচ্ছে? প্রশ্নটি উঠতে শুরু করেছে ইতোমধ্যে।
-
প্রযুক্তি-সামন্তবাদ ওরফে টেকনো ফিউডালিজম এভাবে রাষ্ট্রকে ধীরে ধীরে অকার্যকর করে দিচ্ছে। মধ্যযুগে রাজারা সামন্তবাদী ভূস্বামী ও বণিকদের ওপর নির্ভরশীল ছিল! ডিজিটাল সামন্তবাদের পুরোহিতচক্রকে অনেকটা সেরকম দেখতে! ইলন মাস্ক, জেফ বেজোস, স্যাম অল্টম্যান, বিল গেটসের মতো ব্যক্তিরা সেখানে আসল চালক। মধ্যযুগে বিরাজিত খ্রিস্টান চার্চের মতো সমস্ত ক্ষমতা তাঁরা কুক্ষিগত রেখেছেন। এসব কারণে ভারোফাকিস বলছেন, আমরা এমন এক বাস্তবতায় প্রবেশ করেছি যেখানে কর্পোরেট ডিজিটাল লর্ডদের অধীনে আমাদের অর্থনীতি নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে। রাষ্ট্র এখন দুর্বল, এবং গণতন্ত্র হুমকির মুখে। আমরা একটি নতুন ডিজিটাল সার্ফডম-এর দিকে ধাবিত হচ্ছি।