আমি ভাই সোজা বুঝি,- বাংলাদেশে আপাতত দুইখান জিনিসের বিকল্প নাই। নাম্বার ওয়ান, যিনি দেশ চালানোর ড্রাইভারি করবেন উনাকে সিচুয়েশন কন্ট্রোলে দক্ষ হইতে হবে। গাড়ি রাস্তায় আছে না খাদে পড়তেছে এই বুঝটা থাকলে কাফি। গাড়ি চালাইতে গিয়া উনার গায়ে যদি লৌহশাসক, একনায়ক, একচ্ছত্রবাদী এবং অদ্য পপুলার লেবেঞ্চুস ফ্যাসিস্ট উপাধিখানা দেশের ছুচিল সমাজের মালপোয়ারা বসাইতে থাকে তো বসাক। হু কেয়ারস! ড্রাইভার সায়েবের ওসব মাথায় নিয়া কাম নাই। উনার গাড়ি লক্করঝক্কর। রোড এমন না যে ট্রাফিক আইন সবটা উনি মানতে পারবেন। আইন থাকবে কাগজে, গাড়ি চালাবে রোডের ভাও বুঝে;- কথা লাউড এন্ড ক্লিয়ার।
-
-
ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ধা করে উনি রায় দিয়া দিলেন। যেন চায়ের স্টলে বসে আমরা যেমন করি আর কি, যারে যা ইচ্ছা বলি, উনি এখন চাস্টলে বসে স্যাটায়ার মারাইতেছেন! প্রথমবার ক্ষমতায় আসা ট্রাম্প আর এবারের ট্রাম্প এক বিষয় নাহে জনাব খালেদ মুহিউদ্দীন। এবার আপনার ওই আস্ত পশ্চিমা গণমাধ্যম তারে সিরিয়াস কেস হিসেবে নিতে বাধ্য হইছে। প্রথমবার যারা তারে জোকার সাজাইছিল এবার তারাই ট্রাম্পের সিগনিফিকেন্সকে নানা মাত্রায় বোঝার তালে আছে।
-
যাই হোক, আমাদের দেশে সংস্কৃতিসেবীরা মোটা দাগে মেরুদণ্ডহীন প্রাণী। নিজেকে চালাক ভাবলেও তারা আসলে বোকাসোকা মানুষ এক-একজন। ফারুকী ঐতিহ্যটা ধরে রেখেছেন। উনার ক্রেডিবিলিটি, সত্যি কথা বললে, সরকারে ভিতরে যেমন এখন থাকবে না, আওয়ামীদের কাছে থাকার প্রশ্নই আসে না। এরকম ভঙ্গুর বলেই উনার সিনেমা একটা কোথাও যাইতে চায় কিন্তু শেষতক যাইতে পারে না। উনার ওই লাস্ট ডিফেন্ডারস অব মনোগামি ছবিখানার মতো। এইটাকে উনার বায়োপিক বইলা আমি সাব্যস্ত করিলাম।
-
দেশে নারীবাদ এখনো দ্য সেকেন্ড সেক্স-এর বৃত্তে ঘুরছে। নারী যখন পুরুষকে আদার বা অপর হিসেবে দেখেন, তখন তিনি বেগম রোকেয়ায় ফেরত যেতে থাকেন। পুরুষরা যেমন নারীকে ডিফাইন করে ও করতে চায়… ফেরত যাওয়াটা সেখানে প্রকারান্তরে ওই পুরুষবাদী বয়ানের প্রতিধ্বনি করে সেখানে। এতে দুই পক্ষে লড়াই বাঁধে বটে, কিন্তু দিনশেষে নারী হয়ে ওঠে বিকল্প পুরুষ। নারীবাদ কি আধিপত্যবাদ চায়, নাকি চায় অংশীদারিত্ব ও ন্যায্যতা? অংশীদার হিসেবে উভয়ের মধ্যে আমরা সমতা চাইব, নাকি ন্যায্যতা? অর্থাৎ ইকুইটি ও ইকুয়ালিটির মধ্যে ফয়সালা এখনো বাকি। নারীদের মুখ থেকে এই ব্যাপারে আমরা কথা শুনতে চাই। ব্যাপকভাবে…।
-
সেলিম রেজা নিউটন ততক্ষণে ছাবালের ন্যায় বিচলিত মাথা নেড়ে বলতে থাকেন,- আমারে বুঝাইয়া লাভ নাই বুঝছেন! আপনারা নিজেই বোঝেন না কী বুঝাইতে আসছেন আমারে! মাঝখান দিয়া আমার বুঝটারে খালি আউলা করে দিতেছেন সবাই। কথা ফাইনাল,- মাহফুজের মধ্যে ফিদেল ও চে পুনরায় দেহধারণ করছে। বিপ্লব পুনর্জন্ম লাভ করছে। বাকিরা হতাশ ভঙ্গিতে শ্রাগ করিলে ফরহাদ মজহার ফট করে জিগান,- হাসিনার পদত্যাগপত্র আপনারা দেখছেন কেউ? উনারা মাথা নেড়ে ‘না’ জানাইলে মজহার বলতে থাকেন,- এভাবে হবে না। চলেন ড. ইউনূসের কাছে যাই। ঝামেলা উনি তৈরি করছে। উনাকে বলতে হবে মাহফুজ কেন ও কী কারণে মাস্টারমাইন্ড। আমরা কী দুধভাত?