• দেখা-শোনা-পাঠ - পোস্ট শোকেস

    তাসনিফ জামান ও রোড ৩১

    গানের ভিত্রে ব্রায়ান শুরু থেকে ক্লিয়ার ছিল,- পাষাণীরে আটকানো যাবে না। এর জন্য নিজেকে দায়ী করতেছে সে। কিন্তু ওই যে চলে যাইতেছে, এইটা এখন বেচারা নিতে পারতেছে না। ভালোবাসা হয়তো এ-কারণে এতটা মর্মঘাতী! তাসনিফের উৎসর্গ এখানে ব্রায়ানস্বরে চলে যাওয়াকে মেনে নিলেও গানের প্রতিটা চরণে কাউন্টার জারি রাখে সে। কারণটা ওই অন্ধ চোখের উপমায় নিহিত। অন্ধকে যে আলো দিলো, সে যখন আলোটা ফেরত নিয়ে চলে যায় তখন নিজেকে অভিশপ্ত ভাবা ছাড়া উপায় থাকে না। তার জীবনে এরচেয়ে বড়ো প্রলয় আর নাই। তাসনিফের গায়কি এতটাই নিখাদ... ধাক্কাটা ভিত্রে গিয়া লাগে!

  • আসুন ভাবি - পোস্ট শোকেস

    গোল্ডফিশ মেমোরি

    মানুষ জন্মদোষে গোল্ডফিশ। তার সভ্যতাযাত্রা মানে হইতেছে মহা বিস্মরণের পানে যাত্রা। বিস্মরণে সহজাত হওয়ার কারণে সে নিষ্পাপ। শত হাজার আউশভিৎস, অগণিত গণকবরকে নিমেষে বিস্মৃত হয়ে কবিতা লিখতে পারে। সকল হত্যা ও নারকীয়তা তার কাছে মমিকরা তুতেনখামেন। তুতুনেখামেনকে সে তাই আদর জানাইতে চুম্বন করে। মৃত ফারাওর মুখচুম্বনের ক্ষণে তার দেহে দ্যুতি দেখা যায়। বড়ো সুন্দর দ্যুতি! যেমন সুন্দর তার এই অনায়াস রোমন্থন,- ওল্ড ইজ অলওয়েজ গুড। এখন যেমন আছি তারচাইতে তখন ভালো ছিলাম;- এই বিস্মরণ ছাড়া তার পক্ষে মানুষ থাকা সুকঠিন।

  • পোস্ট শোকেস - বিবিধ ও বিচিত্র

    সহিংসতার পতন ও স্টিভেন পিঙ্কার

    বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে যুক্তি বিরচনে সিদ্ধহস্ত স্টিভেন পিঙ্কার সহিংসতা হ্রাস পাওয়ার নেপথ্যে মানবমস্তিষ্কে যুক্তিনিষ্ঠতার বিকাশ ও অগ্রগতিকে গুরুত্বপূর্ণ সূচক হিসেবে কিতাবে হাজির করছেন। উনার মতে, দাসপ্রথা, নারীকে অবরুদ্ধ রাখা ও বিচিত্র তরিকায় শারীরিক-মানসিক নিগ্রহ, শিশুশ্রম ও নির্যাতন, বাকস্বাধীনতায় আগল তোলা ইত্যাদি ঘটনাকে কেন্দ্র করে সুদূর অতীত থেকে একশো বছর আগেও মানবসমাজ যে-পরিমাণ বীভৎস ছিল... সময়ের সঙ্গে এগুলোকে মোকাবিলার পন্থায় তারা অনেকবেশি বিবেচক ও সমঝোতাপ্রবণ হইতে পারছেন।

  • দেখা-শোনা-পাঠ - পোস্ট শোকেস

    বিধ্বস্ত নীলিমায় সোনালী কাবিন

    কৌম যদি সুনির্দিষ্ট মানুষ ও সম্প্রদায়কে মিন করার পরিবর্তে সামগ্রিকে ধৃত নৃতাত্ত্বিক বাংলাকে গ্লোরিফাই করে, কওম-এ কি ফ্লেভারটা জারি থাকে অবিকল? সে তো ওই কাবিনজালে বাঁধা! কৌম-নারীদেহ বা তার গতরের বাস নিতে আকুল মাহমুদ নারীকে কাবিনবান্ধা সোনালি ভাবছিলেন তখন। মৃত্তিকাও ছিল কাবিনবান্ধা সোনালি। কওম-এ আসার পথে সে বাস্তবিক সোনালি ছাড়া অন্য কিছু না। তো এই জায়গা থেকে বলা যাইতে পারে,- আল মাহমুদের ম্যাগনাম ওপাসের শিরোনাম ও তার ভিত্রে বিচ্ছুরিত দীপ্তি এক জিনিস নয়। তারা একে অন্যের সঙ্গে কন্ট্রাডিক্ট করে। সোনালী কাবিন না দিয়া অন্য নাম উনি বোধহয় দিতে পারতেন।

  • পোস্ট শোকেস - সাম্প্রতিক

    চ্যাটজিপিটি মামার ফ্যাসিস্ট বন্দনা

    নেটলাইনে খুন্তি নাড়ানাড়ির পর আতকা খেয়াল হইল, কাম সারছে, ইংরেজিতে ফ্যাসিস্ট শব্দখানার পয়লা অক্ষর এফ (F) দিয়া শুরু। ইংরেজি ভাষায় খারাপ শব্দ ফাক/ ফাকারও এফ (F) দিয়া শুরুয়াত। তার মানে ফ্যাসিস্ট হইতে গেলে আপনাকে মারাত্মক পর্যায়ের ফাকার হইতে হবে। ফ্যাসিস্ট হইতেছেন এমন একখানা অনুপম চরিত্র যার সবটাই অতিমানবীয়। তার গুণ অতিমানবীয়, দোষগুলাও অতিমানবীয়। এমন একজন ফাকার, যে নিজ-ভাবাদর্শের আদলে একটা সিস্টেম জন্ম দিতে থাকে, এবং একসময় সিস্টেমটা তার হয়ে একটা জাতি, এমনকি বিশ্বজাতিকে ফাক করার শক্তি অর্জন করে বসে। বাপরে! ভাবতেই মাথা ঘোরায়!