• পোস্ট শোকেস - সাহিত্যবাসর

    গ্যালাক্সির বাইরে থেকে

    পৃথিবীতে একদিন আমি বালিশে মাথা রেখে আরামে ঘুমিয়েছি আবার জেগে উঠব বলে, কিন্তু তা আর হয়ে ওঠেনি। দীর্ঘ ঘুমের পর জেগেছি মিল্কিওয়ের বাইরে। মনে রেখো, পৃথিবীতে একবার ঘুমিয়ে পড়লে ফের জেগে ওঠার কোনও গ্যারান্টি নাই। তবে প্রকৃত ঘুম কোনও গ্যারান্টির পরোয়াও করে না। দীর্ঘ ঘুমের পর, আমার শরীরে প্রচণ্ড ব্যথা। ব্যথার টুকরোগুলো লাল, পৃথিবীর রক্তজবায় মোড়া। পৃথিবীর আকাশ তাকাচ্ছে আমার দিকে আর মিটিমিটি হাসছে। আমি ছুঁয়ে দিতে চাইছি তার মুখ। পারছি না। তোমরা মানুষ! ঘুমানোর আগে কোনও মানুষকে শিকার করো না।

  • দেখা-শোনা-পাঠ - পোস্ট শোকেস

    টুটা পারিন্দা ও যে-পথে হয়নি যাওয়া

    বিরক্তি ও অসন্তুষ্টি দিয়া কিন্তু দ্য রোড নট ট্যাকেন কবিতার শুরুয়াত। পরবর্তী স্তবকগুলায় যোগ হইতেছে অতৃপ্ত হাহাকার। ফাঁদ থেকে বের হইতে কবি নিজেকে বোঝান,- দুইটা পথই ঝাক্কাস! একটা বেছে নিতে হবে তাঁকে। জনচলাচল যে-পথে অল্প, কবি সেইটা বেছে নিতেছেন। মনে অবশ্য সংশয়,- বেছে তো নিলাম ঠিক আছে,- ফেরত আসতে পারব তো? জুয়ার দান কবি খেলতেছেন এইবেলা। যে-পথে জনচলাচল আছে সেইটা তুলানমূলক নিশ্চিত ছিল তাঁর জন্য। জনবিরল পথ বেছে নেওয়ায় কপালে লক্ষ্মী জুটতে পারে, আবার ঝাঁটার বাড়িও বিচিত্র নহে। কুছ পাতা নাই কী আছে নসিবে!

  • পোস্ট শোকেস - বিবিধ ও বিচিত্র

    মগজের মাস্তানি

    পৃথিবী বিচিত্র। বান্দরকে কম্পিউটার কিবোর্ডের সামনে বসিয়ে আন্ধাধুন্ধা কিবোর্ড চাপানোর জের হইতে সৃষ্ট মাঙ্কি থিয়োরামকে ফালতু বলি কী করে! অসীম সময় ধরে কিবোর্ডের বাটনগুলা টিপতে থাকলেও বান্দরের পক্ষে শেকসপিয়ারের রচনা নামানো সম্ভব না বইলা যতই রসিকতা করি, বাস্তবে এই মানবগ্রহ সত্যিই ফিনিট। মানবজীবনকে কেন্দ্র করে প্রতিনিয়ত যেসব নকশা পয়দা হইতে থাকে তার মধ্যে কিছু নকশা অবিকল ফেরত আসে। তাই যদি না হবে তাহলে একালে ব্রিটনি স্পিয়ার্সের জীবনে মধুবালা ফেরত আসেন ক্যামনে?

  • আসুন ভাবি - পোস্ট শোকেস

    বইয়ের জীবন বালের জীবন

    কিতাবের কুতুব মিনার দিয়া জীবনকে আমরা বিলক্ষণ সাজাইছি বটে! এমন একখান জীবন যা কিনা ইচ্ছা করলে এক ফুৎকারে ধ্বংসও করতে পারি। এর থেকে প্রমাণ হয় যিনি আমাদের সৃষ্টি করলেন উনার মনে আমাদের প্রতি দয়ামায়া নাই। আমরা তাঁর ভালোবাসার পাত্র হইতে পারি নাই। আমরা হইতেছি অভিশপ্ত জানোয়ার। খারাপ নজির রাখতে গ্রহে আসছি। আমাদেরকে কেন এভাবে পাঠানো হইছে সে-কেবল উনি জানে আর জানে উনার প্রিয় ইবলিশ।... আমরা নিজেকে সৃষ্টির সেরা জীব বইলা পাম দেই। আমরাই আবার নিজেকে ঝাড়ি। সার্ফ এক্সেল দিয়া কাচতে-কাচতে মনের ঝাল মিটাই। আশাবাদী ও নিরাশাবাদীর মাঝখানে বলদাবাদী ছাড়া দ্বিতীয় কোনো মানুষ আকাশ-পাতাল তালাশ করেও বের করতে পারলাম না!

  • নেটালাপ - পোস্ট শোকেস

    একতরফা গল্পের বিপদ

    হেগেলের মতো বরেণ্য দার্শনিক কালো মানুষদের এমন এক মানবসত্তা হিসেবে দেখছেন যারা নাকি আজো শৈশব (Kindernation) অতিক্রম করতে পারে নাই। এম্নিতে শান্ত-সুবোধ কিন্তু রেগে গেলে কালোরা স্রেফ জন্তুসুলভ। বিশেষ করে সাব-সাহারান আফ্রিকায় যারা বসবাস করে তাদের ব্যক্তিত্ব অবিকশিত। ব্যক্তিত্ব কী বস্তু সেইটা নাকি তারা বোঝেই না! যা-কিছু মানবতাকে সুসংগতি দান করছে তার একটাও কালো মানুষদের মধ্যে নাই! কখনো ছিলও না! হেগেল এখন এই-যে সিঙ্গেল স্টোরি বানাইলেন, তার কারণ হইতেছে কালো মানুষের জগৎকে তিনি ইউরোপে কেন্দ্রীভূত মনন ও বয়ানের আতশকাচ হাতে নিয়া দেখতেছেন। যে-কারণে সকল দার্শনিক বোধি লোপ পাইতেছে তাৎক্ষণিক!