• আসুন ভাবি - পোস্ট শোকেস

    বই পড়াটা কি তবে মিথ?

    অভ্যাস বা হুজুগে পড়ে মানুষ বই কেনে ও পাঠের ভান করে;—এরকম যারা ভাবেন, তাদের কথাকে কাজেই চট করে খারিজ করতে মন ওঠে না। সীমিত সংখ্যক হয়তো আছেন, পাঠের অসীম খিদে মেটাতে বইদোকানে ও মেলায় হানা দেন। অনলাইনে বইয়ের অর্ডার হাঁকেন। বাদবাকিরা মনে হচ্ছে বেহুদা গাঁটের পয়সা খর্চা করেন সেখানে। বই পড়াকে মাঝেমধ্যে যে-কারণে মিথ বলে মনে হয়।

  • টেক বুলেটিন - পোস্ট শোকেস

    প্রযুক্তি-সামন্তবাদ – বিশ্ব কি মধ্যযুগে ফেরত যাচ্ছে পুনরায়?

    প্রযুক্তি-সামন্তবাদ ওরফে টেকনো ফিউডালিজম এভাবে রাষ্ট্রকে ধীরে ধীরে অকার্যকর করে দিচ্ছে। মধ্যযুগে রাজারা সামন্তবাদী ভূস্বামী ও বণিকদের ওপর নির্ভরশীল ছিল! ডিজিটাল সামন্তবাদের পুরোহিতচক্রকে অনেকটা সেরকম দেখতে! ইলন মাস্ক, জেফ বেজোস, স্যাম অল্টম্যান, বিল গেটসের মতো ব্যক্তিরা সেখানে আসল চালক। মধ্যযুগে বিরাজিত খ্রিস্টান চার্চের মতো সমস্ত ক্ষমতা তাঁরা কুক্ষিগত রেখেছেন। এসব কারণে ভারোফাকিস বলছেন, আমরা এমন এক বাস্তবতায় প্রবেশ করেছি যেখানে কর্পোরেট ডিজিটাল লর্ডদের অধীনে আমাদের অর্থনীতি নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে। রাষ্ট্র এখন দুর্বল, এবং গণতন্ত্র হুমকির মুখে। আমরা একটি নতুন ডিজিটাল সার্ফডম-এর দিকে ধাবিত হচ্ছি।

  • দেখা-শোনা-পাঠ - পোস্ট শোকেস

    বাঙালি মুসলমানের মহাকাব্যিক অনির্দিষ্টতা

    এখানে আবার দুটি ভাগ দেখতে পাচ্ছি। শওকত ওসমান, সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ, আবু জাফর শামসুদ্দীন বা রশীদ করীম উইরোসেন্ট্রিক বয়ানের মধ্য দিয়ে নিজেকে মুসলমানের গৎবাঁধা সংজ্ঞা থেকে বের করে আনতে তৎপর ছিলেন। এর বিপরীতে ফররুখ আহমদ, সৈয়দ আলী আহসান, শামসুদ্দীন আবুল কালামরা ইউরোসেন্ট্রিক বয়ানে গমন করলেও মোডারেট অথবা সেকুলার মুসলিম হওয়ার আকাঙ্ক্ষা তাদের মনে কস্মিনকালে জন্ম নেয়নি। মুসলমান সমাজকে তাঁরা ধারণ করছেন এবং এর উজ্জীবনের নিশান ইসলামি জাতীয়তাবাদে দেখতে পাচ্ছিলেন বেশ। অদ্য যে-বিষয়টিকে মর্মান্তিক পর্যায়ের প্রাসঙ্গিক করে তুলেছেন গত তিন-চার দশকে দেখা দেওয়া কবিলেখকের দল। এই জায়গা থেকে ভাবলে আবু জাফর শাসুদ্দীনের পদ্মা মেঘনা যমুনার বয়ানবিশ্বকে তাঁরা হয়তো প্রত্যাখ্যান করবেন এখন।

  • পোস্ট শোকেস - সাম্প্রতিক

    ভারত-মার্কিন বোঝাপড়ায় বাংলাদেশ

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত আপতত এমন এক বোঝাপড়ায় উপনীত, বড়ো আকারের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিবাদ না ঘটলে এই যৌথশক্তির সঙ্গে ইউনূস-শাহবাজ গং কুলিয়ে উঠতে পারবেন না। সুতরাং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্য ভারত পাবে শতভাগ। চীনও পরিস্থিতি বিবেচনায় রা কাড়বে না। কথাগুলো আরো এ-কারণে বলা, রেজিম চেঞ্জার হিসেবে খ্যাত ডোনাল্ড লুকে বিদায় দিয়ে ট্রাম্প এস পল কাপুরের ঘাড়ে দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তা ইস্যু ডিল করার দায়িত্ব দিতে যাচ্ছেন। রিপাবলিক সিনেটরদের তাঁর ব্যাপারে আস্থা এখনো ইতিবাচক।

  • দেখা-শোনা-পাঠ - পোস্ট শোকেস

    জনপ্রিয় সংগীতের নন্দন-২

    জনপ্রিয় সংগীতে চোখে পড়ার মতো গুণগত ও মৌলিক পার্থক্য না থাকায় এর কোনো কেন্দ্রীয় বার্তা থাকে না। তবে জনপ্রিয় সংগীত যে-দার্শনিক দৃষ্টিকোণ ধারণ করে, এর ভিতর দিয়ে অর্থ-সামাজিক প্রবাহের চিত্রখানা পাওয়া যায়, এবং এ-কারণে তার প্রভাব বাড়তেই থাকে। আধুনিক পুঁজিবাদে বিচ্ছিন্নতাবাদের সমস্যাকে সে প্রকট করে তোলে। জনপ্রিয় সংগীতে নিহিত ক্ষণিক আনন্দ হলো বিচ্ছিন্নতাবাদ থেকে একধরনের মুক্তি। সত্যিকার তৃপ্তি দিতে না পারায় অবিচ্ছিন্ন একটি চক্রে মানুষকে সে বেঁধে ফেলে। ভোগ, বিচ্ছিন্নতা, বিরক্তি ও বিক্ষিপ্ততাকে যেটি কিনা প্রলোভিত করে ।