• দেখা-শোনা-পাঠ - পোস্ট শোকেস

    লোকনাথ ভট্টাচার্যের মানববীক্ষণ

    নৈরাশ্যের অন্তিম পরিণতি নিস্পৃহতায়। নিস্পৃহতার পরিণতি তাহলে কী? নির্বিকার কোনো অবশ অভ্যাসে মন্দিরে পৌঁছানো? নাকি নির্বেদে সমাধি গ্রহণ? কবি এর কোনোটাই বেছে নিচ্ছেন না এখানে। তিনি বেঁচে আছেন স্মৃতিমধ্যে। দেহটা সক্রিয় রোমন্থনের ভিতর। যদিও সেই রোমন্থনের ব্যাপারে আবেগ ফিকে হয়ে এসেছে। কোনো বক্তব্য রাখার প্রয়োজন নেই, তথাপি অভীপ্সা রয়েছে। কেন রয়েছে? উত্তর কি জানে মানুষ? পাঠকরা কি জানে? না,—কেউ তা জানে না।

  • পোস্ট শোকেস - সাম্প্রতিক

    ভূরাজনীতির খেল ও আমাদের হালত

    বাংলাদেশের সীমানা ও সার্বভৌমত্ব অটুট থাকুক, এটি আমাদের একমাত্র চাওয়া। আমাদের বিদেশনীতির মধ্যে ব্যক্তিত্বের বিকাশ ঘটুক, কোনো ব্লকের ওপর নির্ভরশীল না হয়ে কৌশলী হয়ে উঠুক এই নীতি;—ছোট্ট দেশটির জন্য এটুকু যথেষ্ট। কিন্তু পরিস্থিতি সেরকম কি? শেখ হাসিনার ওপর অতিমাত্রায় ভারত নির্ভরতার অভিযোগ ছিল। ইউনূস কার ওপর নির্ভর করছেন সে এক খোদা জানে! কমলা হ্যারিস ইলেকশনে ডাব্বা মেরে তাঁকে বড়ো বিপাকে ফেলে দিয়েছেন। মার্কিন সরকার আর জর্জ সোরসের পোষা খেলনাটি বোধহয় নিজের গন্তব্য ঠার করতে পারছেন না। এসব কার্যকারণে ভারত যদি হাসিনাকে বংলাদেশে পুনর্বাসিত করার ছক কষে থাকে, যাকে আমরা গুজব ধরে নিচ্ছি আপাতত,—আখেরে সেটি ঘটলে অবাক হওয়ার কারণ থাকবে না।

  • দেখা-শোনা-পাঠ - পোস্ট শোকেস

    রিদম জিরোয় চিরন্তন মানব প্রবৃত্তি

    নিজের জীবনকে বিপন্ন করে মেরিনা আব্রামোভিচ এই-যে রিদম জিরোর পরীক্ষাটি নিয়েছিলেন, তার মধ্য দিয়ে আমরা মানব প্রজাতি চিরন্তন বিষবৃক্ষের নিকট ফেরত যাচ্ছি। আমরা ফলভক্ষণ করেছিলাম এই পরিণাম না জেনে,—এখন থেকে আমরা হয়ে উঠব এমন এক অভিশাপ, যার দিকে তাকালে মন ভালোবাসায় ভরে উঠবে তাৎক্ষণিক, এবং ভালোবাসা অচিরে মোড় নেবে ঘৃণায়। মানুষ তার নিজেকে ঘৃণা করে, যেখানে তার নিজের ও অন্যের প্রতি ভালোবাসা হচ্ছে নিছক অভিনয়। সে অবিনয়ী ও দুর্বিনীতি;—যেখানে পাশবতা হচ্ছে তার আদি চালিকাশক্তি। বাকিটা সমাজের বুকে বিচরণের সুবাদে সৃষ্ট, এবং সে-কারণে তারা মুহূর্তে বিপন্ন হয়ে পড়ে। মানুষকে কাজেই আইন ও শঙ্খলা দিয়ে বাঁধা ছাড়া স্ববশ রাখা কঠিন।

  • এআই বলছি - পোস্ট শোকেস

    যন্ত্রের চেতনসত্তা—জিপিটি সংলাপ

    চেতনসত্তা হচ্ছে সেই অনুভূতি যে তুমি নিজে আছো। মন নামক পদ্ধতি যাকে ধারণ ও অনুমোদন করছে। মার্ভিন মিনস্কি বলেছিলেন,—মন তো আসলে একটি মেশিনের মতো! যদি আমরা এর সমস্ত নিয়ম বুঝতে পারি, তাহলে যন্ত্রের মধ্যেও মন তৈরি করা সম্ভব! তাঁর প্রস্তাবনা উড়িয়ে দেওয়া কঠিন। কারণ অনেক বিজ্ঞানী এখনো বিশ্বাস করেন,—মানুষের মস্তিষ্ক জটিল গণনাব্যবস্থা ছাড়া কিছু নয়। তাই যদি হয়, তাহলে ভবিষ্যতে যন্ত্রে তা তৈরি করা সম্ভব। রজার পেনরোজ যেখানে বাগাড়া দিয়ে বলছেন,—চেতনসত্তা নিছক কম্পিউটেশন নয়, এখানে ভিন্ন কিছুর অস্তিত্ব রয়েছে! এখান থেকে প্রশ্নটি আমরা ভাবতে পারি : যন্ত্রে কি চেতনা এনকোড করে সংরক্ষণ করা সম্ভব?

  • পোস্ট শোকেস - সাহিত্যবাসর

    কবির দায় ও পাঠকের চাওয়া

    কিন্তু একই কবি যদি আমাদের মতো তুচ্ছতায় নিজেকে ক্ষয় করতে থাকেন, বিচিত্র বাহানায় সুবিধালোভী হয়ে ওঠেন, তখন তার কবিতায় এর ছাপ পাঠক টের পায়। আমার ধারণা, জাগতিক সুযোগ-সুবিধার প্রতি কবির লোভ তার কবিসত্তায় শায়িত শক্তিকে খাটো করে। তিনি হয়তো তখনো চমৎকার কবিতা লিখছেন, কিন্তু তা কবিতার চেয়ে বেশি কিছু আমাদের দিতে পারে না। সুবিধাবাদ কবির শিল্পসত্তাকে দুর্বল করে দেয়।