• পোস্ট শোকেস - সাহিত্যবাসর

    অন্ধ ভস্মের গৌরব — ফজলুররহমান বাবুলের কবিতা

    কবি ফজলুররহমান বাবুলের তুমি তেমনই বৃক্ষ জ্বর ও জ্বরবিহীন… দুরকম পরিস্থিতিতে বসে পড়া যায়। পড়তে-পড়তে এর সহজতাকে আলিঙ্গন করতে ইচ্ছা করে। কোনো কবিই সম্ভবত ইচ্ছে করে কঠিন লিখতে চায় না। লেখেও না। সে কেবল তার সত্তার মর্মরধ্বনি শব্দজালে ধরতে উতলা বোধ করে। অজান্তে তা কখনো-কখনো জটিল ও দুরারোহ হয়ে পড়ে!

  • নেটালাপ - পোস্ট শোকেস

    সিলেটি গুণিজন — একপশলা নেটালাপ

    আমাদের কাজবাজে স্থানিকতার বিচিত্র রং প্রায়শ অনুপস্থিত থাকে। যে-কারণে এগুলো প্রাণের জিনিস হয়ে ওঠে না। বিশ্বযোগ সারতে হলে ওটা কিন্তু লাগবে। স্থানিকতা হচ্ছে সেখানে কাঁচামাল। বিশ্ব থেকে যা কুড়িয়ে-বাড়িয়ে পেলেন,—সেগুলোর সঙ্গে এই কাঁচামাল ঠিকঠাক জুড়তে পারলে সত্যিকার বিশ্বযোগ ঘটে। সাধ্য থাকলে আমীনুর রশীদের মতো আরো যাঁরা ছিলেন বা এখনো রয়েছেন, তাঁদের নিয়ে কাজে নামাটা বোধহয় জরুরি হয়ে উঠছে ক্রমশ।

  • দেখা-শোনা-পাঠ - পোস্ট শোকেস

    ডাকু চেঙ্গিসের আন্তঃনাদ সংগীত

    অনুকরণের এই-যে খেলা, এবং তার থেকে স্বরযন্ত্রের আদিভাগে যেসব ধ্বনিগত ব্যঞ্জনা মানুষ ধরার কসরত করে আসছে যুগের-পর-যুগ,—থ্রোট সিংগিং হচ্ছে এর প্রাথমিক ধাপ বা কাঁচামাল। স্বরযন্ত্রের পরবর্তী ধাপগুলোর মধ্য দিয়ে গমনের সময় যা সুষম আর মসৃণ হয়ে ওঠে। তৈরি হয় সুরেলা আবেশ ও গায়কি ইত্যাদি। সুতরাং একথা বলা যায়,—আন্তঃনাদ হচ্ছে মানবকণ্ঠে গীত সংগীতকলার অকৃত্রিম শিকড়। প্রকৃতিবক্ষ ও মানব-সভ্যতায় বিরচিত আওয়াজকে এর মধ্য দিয়ে কোনোপ্রকার ফিল্টারিং ছাড়া রেজোনেট বা প্রতিধ্বনিত করছে শিল্পী।

  • পোস্ট শোকেস - সাহিত্যবাসর

    ফানা — আহমেদ বেলালের কবিতা সিরিজ

    গড়তে গিয়ে কতকিছু ভেঙেছি এই হাতে—জানলেও জানতে পারো আমজনতার লোক অভিমানে পুরো দেশ কারাগার হলো কেন—এই প্রশ্ন তোমার রক্তেই লেখা থাকুক...

  • দেখা-শোনা-পাঠ - পোস্ট শোকেস

    স্থির ও পরিবর্তনশীল কবিতা

    আল-মুতানাব্বির কবিসত্তায় পরিবর্তনশীল কবিতার গুণ ছিল বলে মানছেন অ্যাডোনিস। যেমন ছিল ইসলাম পূর্ব যুগের কবি আবু তাম্মাম ও আবু নুওয়াসের মধ্যে। তাঁরা কোন সময়ের প্রতিনিধিত্ব করছেন,—অ্যাডোনিসের কাছে তা মুখ্য নয়। কবিতায় সঞ্চারিত গতিশীল আবর্তন হচ্ছে সেখানে একমাত্র বিবেচ্য বিষয়। কোনো যুগ-দশক-কালপর্ব নয়। ত্বহা হুসাইনের মতো অ্যাডোনিসও অকুণ্ঠ চিত্তে রায় দিচ্ছেন,—অন্ধকার যুগের কবিতারা ছিল প্রাণের সহজ প্রকাশ আর অকপট স্বীকারোক্তিতে গাঁথা ব্যক্তিসত্তার উন্মোচন। ইসলাম পরবর্তী কবিতারা ভান ও মেকিত্বে স্থবির জলাশয়।