আমার কিন্তু পরিস্থিতিটা ভীষণ ভালো লাগে নিজের অজান্তেই মটরশুঁটিদানার মতো হেসে ফেলি— যৌনতার ব্যাপারটাও খাপেখাপ এমনই— পশ অ্যারিয়া থেকে কেবল নিচের দিকে নামতে থাকে
-
-
আমার কেন জানি মনে হয়, আমাদের পাঠঅভ্যাস অত্যন্ত ক্লিশে। ইনফ্যাক্ট, আমরা মার্কা মারতে পছন্দ করি। মার্কার বাইরে একজন ভালোমন্দ অন্য যা-কিছু লিখুক-না-কেন, সেগুলো নিয়ে আলাপ করি না বা করার উৎসাহ বোধ করি না। আলাপ করা গেলে ভালো কিছু পাওয়ার সম্ভাবনা হয়তো তৈরি হতো।
-
এই সময়ে কবিতাও যেন রাষ্ট্রযান্ত্রিক নোটিশের নিচে জন্ম নেয়। সমাজের হৃদস্পন্দনেও যেন কোনও ভৌতিক আবহ বিরাজে। আর মানুষ ভাবে, 'চুপ থাকা' নিরাপদ। কিন্তু, সাহিত্য মানে কি চুপ থাকা? লিট্ল ম্যাগাজিন কি সেভাবে চুপ থাকতে শেখায়? লিট্ল ম্যাগাজিন কি পুরনো রোমান্টিকতা? এই 'লিট্ল' মানে তো ছোটো নয়, এর মানে অব্যবহৃত দিকটাকে খুঁজে বের করা। লিট্ল ম্যাগাজিন আজও দরকারি। লিটল ম্যাগাজিন ভাঙা রিকশা, ছেঁড়া পোস্টার আর শহরের ধূসর দেয়ালের ফাঁকে খুঁজে ফিরে সেইসব তাজা শব্দ, বাক্য—যেগুলো এখনও বিক্রি হয়নি।
-
নীরবতা ভোট দেয়— আঙুলে নীল কালি, মুখে স্থবির আস্থা। আর আমরা বিশ্বাস করি— পরিবর্তন আসবে, একদিন, যেন ঘড়ির কাঁটা হঠাৎ বিপরীত দিকে ঘুরবে।
-
তাই লোকগীতগুলো রচনাশৈলীল দিক থেকে দুটি অনুশাসনের গাঁথুনিতে বেশি প্রকাশ পায় : ১. মুখ্যাদ্যিয়া; ২. মহলা। পর্বের উপাচার, সময়কাল, আশপাশ ও অনুষঙ্গ বিবেচনায় আসরে তাৎক্ষণিক নারীদের মুখে-মুখে রচিত গীতকেই মুখ্যাদ্যিয়া গীত বলে। এ ধরনের গীত রচনায় একে অন্যের মুখ থেকে কেড়ে নিয়ে পদ তৈরি করে গীতকে সমৃদ্ধ করতে পারে। গীতে যেহেতু গীতিকারের বাহাদুরি নাই, সেহেতু সকলেই গীতের স্রষ্টা। তাই মিলেমিশে গীত রচনা কারও অপারগতা নয়, বরং সফলতা ও সমৃদ্ধির অহংকার।