• সাহিত্যবাসর

    ফানা

    কালে অকালে চলে যাওয়া বন্ধুদের নিশ্চিত দীর্ঘশ্বাস, প্রতিবেশীদের জমানো সমস্ত আত্মবিশ্বাস - সবকিছু নিয়ে বসে আছে নরক এক - (অন্তরের অলিন্দে করে সে অনেক আলাপ) কেউ তাকে স্পর্শ করতে পারে না - না কোনো স্বর্গ অথবা প্রশান্তির পরম কোনো প্রলাপ...

  • সাহিত্যবাসর

    লিখনামৃতম্

    লেখক বলতে পারেন, আমার কিছু বলার আছে বলেই লিখি। বলার মানে তো অব্যক্ততাকে ব্যক্ত করা। যদি আমরা মনে করি লেখার কাজটা আসলে অব্যক্ততার বেদনা থেকে নিজেকে মুক্ত করার একটা প্রণালি, কিংবা আমরা যদি বলি—লেখকের নিঃসঙ্গতার মধ্যে লেখা একটা সঙ্গ, তবে কি শেষ কথা বলা হয়? নিশ্চয় না। লেখক লেখার মাধ্যমে অব্যক্ততাকে প্রকাশ করেন। এই প্রকাশটা হতে পারে নিজের সঙ্গে কিংবা পাঠকের সঙ্গে কথা বলা। লেখক কি তাঁর লেখার মাধ্যমে কথা বলতে পারেন না নিজের সঙ্গে, পাঠকের সঙ্গে? লেখা-পাঠে বোধ করি লেখকের মুখটা দেখা যায়। সবসময় দেখা না-গেলেও মাঝে মাঝে দেখা যায়।

  • সাহিত্যবাসর

    গ্যালাক্সির বাইরে থেকে

    পৃথিবীতে একদিন আমি বালিশে মাথা রেখে আরামে ঘুমিয়েছি আবার জেগে উঠব বলে, কিন্তু তা আর হয়ে ওঠেনি। দীর্ঘ ঘুমের পর জেগেছি মিল্কিওয়ের বাইরে। মনে রেখো, পৃথিবীতে একবার ঘুমিয়ে পড়লে ফের জেগে ওঠার কোনও গ্যারান্টি নাই। তবে প্রকৃত ঘুম কোনও গ্যারান্টির পরোয়াও করে না। দীর্ঘ ঘুমের পর, আমার শরীরে প্রচণ্ড ব্যথা। ব্যথার টুকরোগুলো লাল, পৃথিবীর রক্তজবায় মোড়া। পৃথিবীর আকাশ তাকাচ্ছে আমার দিকে আর মিটিমিটি হাসছে। আমি ছুঁয়ে দিতে চাইছি তার মুখ। পারছি না। তোমরা মানুষ! ঘুমানোর আগে কোনও মানুষকে শিকার করো না।

  • সাহিত্যবাসর

    যুগল কবিতা

    গভীর রাতে মেঘনীল আকাশের নীচে বাঁশিওয়ালা খুব চুপচাপ, যেন সুর ভাসালে বাতাসের ঘুম ভেঙে যাবে অথচ - মিলনপিপাসু বুনো মনের অসীম দুটি ডানা অর্থহীন পড়ে আছে অর্ধচরাচরে।