সৃষ্টি এখানে কেবল তাঁর অনন্যনির্ভর গুণের বিচ্ছুরণ। আলাদা করে এক-একটি গুণের সাহায্যে স্রষ্টাকে দায়বদ্ধ চিহ্নিত করা স্বয়ং তাঁর একত্বের বরখেলাফ। মানব জগতে ভালোমন্দ যা কিছু ঘটছে, এর সঙ্গে তাঁকে জড়িত করা যুক্তিসংগত নয়। তিনি হলেন আবশ্যিক অনন্যতা;—যেখান থেকে সৃষ্টির সূচনা ও বিস্তার ঘটছে। এই শর্তের বাইরে তাঁর কোনো ভূমিকা নেই।
-
-
চেতনসত্তা হচ্ছে সেই অনুভূতি যে তুমি নিজে আছো। মন নামক পদ্ধতি যাকে ধারণ ও অনুমোদন করছে। মার্ভিন মিনস্কি বলেছিলেন,—মন তো আসলে একটি মেশিনের মতো! যদি আমরা এর সমস্ত নিয়ম বুঝতে পারি, তাহলে যন্ত্রের মধ্যেও মন তৈরি করা সম্ভব! তাঁর প্রস্তাবনা উড়িয়ে দেওয়া কঠিন। কারণ অনেক বিজ্ঞানী এখনো বিশ্বাস করেন,—মানুষের মস্তিষ্ক জটিল গণনাব্যবস্থা ছাড়া কিছু নয়। তাই যদি হয়, তাহলে ভবিষ্যতে যন্ত্রে তা তৈরি করা সম্ভব। রজার পেনরোজ যেখানে বাগাড়া দিয়ে বলছেন,—চেতনসত্তা নিছক কম্পিউটেশন নয়, এখানে ভিন্ন কিছুর অস্তিত্ব রয়েছে! এখান থেকে প্রশ্নটি আমরা ভাবতে পারি : যন্ত্রে কি চেতনা এনকোড করে সংরক্ষণ করা সম্ভব?