মার্ক জাকারবার্গ সত্যি ভিনগ্রহ থেকে বদ মতলবে পৃথিবীতে ঘুরতে আসে নাই তো? ইবলিশের এজেন্ট রূপে কাম করতেছে কি এখানে? স্বয়ং আল্লা তারে এই সুরতে অ্যাক্টিং করতে পাঠাইলেন ভবে? ভেবে মাখা আউলা-ঝাউলা ছিল তখন। ঘটনা যেমন হোক, আলতামিশদের বিচিত্র কারবারের চক্করে পড়ায় নিজের ব্যাপারেই আমি এখন আর নিশ্চিত নই। আমি কি আলতামিশ? আলতামিশের ভেকধারী কোনো ইবলিশ? এলিয়েন? অন্য গ্রহে ছিলাম বা আমার মতো কেউ হয়তো সেখানে আছে, আমার আসল রূপ ধরে মজাসে ঘুরতেছে সেখানে। আমি শালা আটকা পড়ছি এই গ্যালাকটিক জেলখানায়!
-
-
বিশ্বাসী মানেন বা না-মানেন, ধর্মীয় বিশ্বাসের সঙ্গে মিথ প্রসূত বিষয়াদির সংযোগ নিবিড়। মিথ নিজে হইতেছে এমন একখান কারণ যেইটা প্রকারান্তরে ধর্মীয় বিশ্বাসের জন্মকারণ। আবার মিথ কিন্তু Indoctrination বা ভাবাদর্শ বা মতাদর্শে অতটা ঘনীভূত না। যারপরনাই ধর্মীয় বিশ্বাস যখন পরিষ্কার ভাবাদর্শ বা মতাদর্শ-এ পরিণত হয় তখন সেইটা আবার তার গা থেকে সকল মিথকে অপসারিত করতে চায়। অলৌকিককে সে তখন Etiology বা কারণবাদের এমন এক প্রস্তাবনায় একীভূত করে, যার আভাস ভারতীয় দর্শনে গেলে আপনি ভালোমতন পাইতেছেন। ... জসোয়া দি পাওলোর গোছানো আলোচনায় এই দিকটি আরো উদাহরণ সহকারে আসলে পাঠকের উপকার হইত।
-
মানবগ্রহ আগামীতে যেদিকপানে ধাবিত হইতেছে সেখানে যন্ত্রমানব ও বনিআদমে ব্যবধান ক্রমশ ক্ষীণ হইতে থাকবে। যন্ত্রমানবের নিজ পন্থায় বনিআদমের মতো অনুভূতিশীল প্রাণী রূপে বিবর্তিত হওয়ার সম্ভাবনা নিয়া গবেষণা অনেকদূর আগাইছে। অন্যদিকে যন্ত্রমানব ও বনিআদমে কীভাবে ইন্টারচেঞ্জ ঘটানো পসিবল… ইত্যাদি নিয়াও দার্শনিক, বৈজ্ঞানিক, সাহিত্যিক চিন্তার আদানপ্রদান উন্নত বিশ্বে থেমে নাই। তো সব মিলিয়ে এক হইতে দেড় দশকের মধ্যে ট্রান্সহিউম্যান বড়ো আকারে পাবলিক ডিসকোর্সে ঝড় তুলবে।... প্রযুক্তির নয়া তরঙ্গ ও তাকে ঘিরে সৃষ্ট রাজনৈতিক বাস্তবতায় মোল্লা আর বিলা ইউনূস নিয়া সৃষ্ট ক্যাচালে লিপ্ত বাঙালি বেশিদিন জারি থাকতে পারবেন না। উন্নত বিশ্বে দেখা দেওয়া তরঙ্গে ভেসে যাওয়ার সম্ভাবনা নজদিক হবে তখন।
-
ক্যাথলিকরা যেমন ভাবে,- তাদের শিশুকে ক্যাথলিক বিশ্বাসে দীক্ষিত করায় তারা সত্যের নিকটবর্তী হয়েছে। সেই তারাই আবার ভাবে,- পৃথিবীতে আরো যত শিশু রয়েছে, যারা ইসলাম অথবা নাস্তিক বা অন্য মতাদর্শের অধীন,- তারা মিথ্যার দিকে ধাবিত হচ্ছে। আপনি যে-ধর্মে বিশ্বাস করুন-না-কেন, আপনাকে ভাবতে হচ্ছে,- অন্য মতাদর্শে বিশ্বাসী বিরাট সংখ্যক মানুষ মিথ্যার অনুসারী। এবং আপনি যখন আপনার বিশ্বাসকে মতাদর্শ বহন করছে এরকম পণ্য হিসেবে দেখেন, তখন এই স্বীকৃতি আপনাকে সত্য হিসেবে আমলে নেওয়ার ঘটনায় বাকিদের আস্থা হ্রাস পাওয়ার কারণ হয়ে ওঠে।
-
আমাদের এই আপাত সচেতন চেতনাজীবীদের চেতনানাশক অবস্থায় দিনাতিপাত করার বড়ো কারণ,- আমরা সকলে কমবেশি ভূমিহীন শিক্ষিত প্রজন্ম রূপে বিকশিত হইতেছি। আমাদেরে সঙ্গে মাটির যোগ নাই। খরা ও বৃষ্টির যোগ নাই। বৃক্ষের যোগ নাই। পাখাপাখালি ও ধানখেতের সংযোগ নাই। খনার যোগ নাই। কমল চক্রবর্তীর মতো অতিকায় অরণ্যে পরিণত মানুষটার সঙ্গে যোগ থাকার অবকাশ নাই। যার ফলে আমাদের মনের মাটিতে কখনো বৃষ্টি পড়ে না। এই মন মরুভূমি। খরায় ফাটা মাটি।