ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ধা করে উনি রায় দিয়া দিলেন। যেন চায়ের স্টলে বসে আমরা যেমন করি আর কি, যারে যা ইচ্ছা বলি, উনি এখন চাস্টলে বসে স্যাটায়ার মারাইতেছেন! প্রথমবার ক্ষমতায় আসা ট্রাম্প আর এবারের ট্রাম্প এক বিষয় নাহে জনাব খালেদ মুহিউদ্দীন। এবার আপনার ওই আস্ত পশ্চিমা গণমাধ্যম তারে সিরিয়াস কেস হিসেবে নিতে বাধ্য হইছে। প্রথমবার যারা তারে জোকার সাজাইছিল এবার তারাই ট্রাম্পের সিগনিফিকেন্সকে নানা মাত্রায় বোঝার তালে আছে।
-
-
কিন্তু প্রশ্ন সেখানে নয়, প্রশ্ন প্রাচীন ইহুদি সমাজের উদাহরণ এবং যুক্তির দোহাই দিয়ে যে বিচার পদ্ধতির কথা বলা হচ্ছে তা নিয়ে। অতিরিক্ত একমত মানেই যে ভুল বিচার যুক্তিগত দিক থেকে তার ভিত্তি নাই যতক্ষণ না তা প্রমাণিত হয়। ফলে আপাত যৌক্তিকতার মধ্যেই জন্ম হয় অযৌক্তিক আচরণ। ঘটনার বর্ণনা আদতে কিছুই উৎপাদন করে না একটা বিভ্রম ছাড়া। তবে ঘটনার বর্ণনাকে আক্ষরিকভাবে না নিয়ে ভিন্নভাবে পাঠ করা যেতে পারে । মতামত, ভিন্নমত এসব থাকবেই। মার্কসের ভাষায় এই দ্বান্ধিকতাই সময়কে গতিশীল করে, সমাজব্যবস্থা নতুন রূপ পায় ।
-
যাই হোক, আমাদের দেশে সংস্কৃতিসেবীরা মোটা দাগে মেরুদণ্ডহীন প্রাণী। নিজেকে চালাক ভাবলেও তারা আসলে বোকাসোকা মানুষ এক-একজন। ফারুকী ঐতিহ্যটা ধরে রেখেছেন। উনার ক্রেডিবিলিটি, সত্যি কথা বললে, সরকারে ভিতরে যেমন এখন থাকবে না, আওয়ামীদের কাছে থাকার প্রশ্নই আসে না। এরকম ভঙ্গুর বলেই উনার সিনেমা একটা কোথাও যাইতে চায় কিন্তু শেষতক যাইতে পারে না। উনার ওই লাস্ট ডিফেন্ডারস অব মনোগামি ছবিখানার মতো। এইটাকে উনার বায়োপিক বইলা আমি সাব্যস্ত করিলাম।
-
ইংরেজ আমলের পুরোটা জুড়ে একের-পর-এক কৃষক বিদ্রোহ, আদিবাসী বিদ্রোহ... এগুলোকে কী কারণে তুচ্ছ গণ্য করতে হবে তার ব্যাখ্যা কি রাইসু দিতে পারবেন?... মুসলমান ছাড়া কাউকে বোধহয় তাঁর চোখে পড়ে না। আহমদ ছফা আর ফরহাদ মজহার উনার মাথা খুব ভালোভাবে চিবিয়ে খেয়েছেন তাতে সন্দেহ পোষণ না করলেও চলছে। উনাদের খোয়াব তো আমরা বুঝি কিছু। বাংলাদেশ কেবল মুসলমানদের ওয়ারিশান হবে, এবং সেই জায়গা থেকে যত ঘটনা সেগুলোকে বয়ানের মাধ্যমে নতুন করে বিনির্মাণ করতে হবে, এভাবে এমন এক মিথ দাঁড় করাতে হবে যেন ইতিহাসকে নতুন করে লেখা সম্ভব হয়;- এই মতলব বুকে নিয়ে ফেসবুকে গণমানুষের কর্তাসত্তা হওয়ার আলাপ নিয়ে হাজির হয়েছেন রাইসু।
-
ফাল্লাচি দেখিয়ে গেছেন, এ্যাথিকাল জার্নালিজম মানে মিউ-মিউ টাইপের প্রশ্ন নয়, তার মধ্যে থাকতে হবে বারুদ। থাকতে হবে উসকানি। তাৎক্ষণিক সব মুহূর্ত, যা সাংবাদিক তৈরি করে নেবেন আসল মানুষটাকে সামনে আনতে। প্রভোকেটিভ জার্নালিজমের কারণে প্রচণ্ড বিতর্কিত ফাল্লাচি কিন্তু সাংবাদিকতার ডিকশন পাল্টে দিয়েছিলেন তখন। ফাল্লাচি বিশ্বাস করতেন একজন সাংবাদিক স্রেফ কোনো টেপরেকর্ডার নয়। তার নিজের একটি অবস্থান থাকতে হবে, এবং সেই অবস্থানটা অবশ্যই পরিবর্তনের স্বপক্ষে হবে। এবং, যে-সাংবাদিকের কোনো শত্রু নেই, সাংবাদিকতার বাইবেলে তাকে ভালো সাংবাদিক বলার কোনো মানে থাকে না। মতিউর রহমানের কাছে এটি আশা করা বাতুলতা।