• নেটালাপ

    এবাদনামায় জুলাই বিপ্লব

    ইবনে খালদুনের আসাবিয়া বা গোত্র-সম্প্রীতির বৃহত্তর ভার্সন হইতেছে জাতীয়তাবাদ। এখন সেইটা যে-ফ্রেমে আমরা দেখি না কেন। জাতির আত্মপরিচয় গড়তে এইটা লাগবে, কিন্তু এর মধ্যে সংকীর্ণ হইলে ক্ষতির শেষ নাই। হিন্দু জাতীয়তাবাদের কাউন্টার মুসলমান জাতীয়তাবাদ! হাস্যকর এই ফ্রেমিংটা এখন বাংলাদেশের সিংহভাগ মানুষের চাওয়ায় পরিণত করছেন মজহার-এবাদ গং। হাওয়া ভীষণ অনুকূল। অ্যারাব স্প্রিং মিশরে সফল হয় নাই। উনারা মনে হইতেছে সফল করেই ছাড়বেন। ... অনেকে এর সাহিত্যিক রূপ দেখে টাসকি খাইতেছেন। আদতে এগুলা হলো পোস্ট কলোনিয়াল নাইটমেয়ার। একইসঙ্গে বিভিন্নস্তরে নিজেকে গোলাম ও শোষিত দেখার বিকার সইতে না পেরে মনে যে-ইগো পয়দা হয়, তার আউটবার্স্ট।

  • নেটালাপ

    একপ্রস্থ হুমায়ূননামা

    হুমায়ূনকে যদি মুছে দিতে পারে, ধরে নিন, বাংলাদেশের অত্যন্ত শক্তিশালী একটি প্রতীককে তারা সফলভাবে ইরেজ করতে পারবে, এবং সেটি সম্ভব। সাহিত্যিক আবেদনের জায়গা থেকে হুমায়ূন আহমেদ যদি নিষ্প্রভ হতেন, আমার কোনো সমস্যা ছিল না। উনাকে রাজনীতির জায়গা থেকে নিষ্প্রভ করার মতলবটি আপত্তিজনক। আমাদের কবিলেখকের ওসব নিয়ে ভাবার টাইম নেই। উনারা হুজুগ আর গুজব নিয়ে ব্যস্ত। নিজের পাছার কাপড় যে নাই হয়ে যাচ্ছে, ল্যাংটাবাবা বানিয়ে দিচ্ছে,- সেদিকে হুঁশ নেই। বাংলাদেশের সাহিত্য নব্বই থেকে অবক্ষয় ও ধসের শিকার। উদ্ধারের অবস্থায় নেই। সব ওই পেদ্রো পারামোয় পড়া মৃত গ্রামে জীবিত প্রেত হয়ে ঘুরছেন।

  • নেটালাপ

    একতরফা গল্পের বিপদ

    হেগেলের মতো বরেণ্য দার্শনিক কালো মানুষদের এমন এক মানবসত্তা হিসেবে দেখছেন যারা নাকি আজো শৈশব (Kindernation) অতিক্রম করতে পারে নাই। এম্নিতে শান্ত-সুবোধ কিন্তু রেগে গেলে কালোরা স্রেফ জন্তুসুলভ। বিশেষ করে সাব-সাহারান আফ্রিকায় যারা বসবাস করে তাদের ব্যক্তিত্ব অবিকশিত। ব্যক্তিত্ব কী বস্তু সেইটা নাকি তারা বোঝেই না! যা-কিছু মানবতাকে সুসংগতি দান করছে তার একটাও কালো মানুষদের মধ্যে নাই! কখনো ছিলও না! হেগেল এখন এই-যে সিঙ্গেল স্টোরি বানাইলেন, তার কারণ হইতেছে কালো মানুষের জগৎকে তিনি ইউরোপে কেন্দ্রীভূত মনন ও বয়ানের আতশকাচ হাতে নিয়া দেখতেছেন। যে-কারণে সকল দার্শনিক বোধি লোপ পাইতেছে তাৎক্ষণিক!

  • নেটালাপ

    জামায়াত কেন নিষিদ্ধ করা গেল না

    গণজাগরণ মঞ্চ হইতে ঘোষিত আন্দোলন জাহানারা ইমামকে পুনরায় ফেরত আনতে পারলেও শেখ মুজিবকে ফেরত আনতে পারে নাই। তিন মাসের আন্দোলন মুজিবকে ফ্রেমের বাইরে রেখে করতে হইছে উনাদের! মুজিবকে প্রতিষ্ঠিত ও সর্বজনীন করতে গণজাগরণ মঞ্চ স্বয়ং ব্যর্থ হয়। সেইসঙ্গে জামায়াত নিষিদ্ধ করার সুযোগ মিস করেন হাসিনা। উনি কেন এত বাপের নাম নিতেন, অতিরিক্ত করতেন, এসবের পেছনে কারণ নেই বলা যাবে না। যদিও দেশ চালাইতে গেলে অনেককিছু নতুন করে বিবেচনা করতে হয়। হাসিনার ওই মেজাজ ছিল না।

  • নেটালাপ

    স্থানিক না বৈশ্বিক – গোল ও গোলকধাঁধা

    ফরহাদ মজহার যেমন ইসলাম সম্পর্কিত ভাবনাকে পাঠ করতে গিয়ে মৌলিক করে তোলেন, তিনি তখন বিবেচনা করেন না চিন্তাপদ্ধতি কখনো দানব হয়ে উঠতে পারে। আমরা দেখেছি সেই দানবকে রুখতে গিয়ে তাকে আবার মাঠে নামতে হয়েছে। সলিমুল্লাহ খানের অসংখ্য বক্তব্য আছে কওমি মাদ্রাসা কেন্দ্রিক, তিনি সেটি গ্লোরিফাই করেন, প্রতিষ্ঠা দিতে গিয়ে তর্ক করেন। এই যে বুদ্ধিজীবীতার বিশৃঙ্গলা, ফলত এইসব প্রভাবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলি দিনে দিনে মাদ্রাসায় পরিণত হয়। নানাবিধ ন্যারোটিভ জন্ম নেয়। কোনটি প্রগতি আর কোনটা পশ্চাদপদ তা আর ঠাহর করা যায় না।