বন্ধুত্ব বলুন, আর সামাজিক বন্ধন,—বৈষয়িক নানা চাপ থাকেই; তার মধ্যে যদি আবার ধর্ম ও রাজনীতির মতো মানুষকে ভাগ করতে ওস্তাদ দুইখান জিনিস গিয়ে ঢোকে,—একলা সব শেষ করে দিতে পারে তারা! এনারা দুজন-যে এর মধ্যে বন্ধুত্ব টিকিয়ে রেখেছেন, এটি অবাক করার মতো ঘটনা বটে!
-
-
স্কট যে-গ্রামীণ কৃষিজীবনকে প্রেইজ করছেন, সেটি বরং বাইরে থেকে দেখতে শান্ত-সুস্থির ও ঘন-সামাজিক। ভিতরে তাকালে অতিব কুৎসিত। গরিবির মধ্যে কোনো গর্ব নেই। দীনতা ও বঞ্চনা মানুষকে তুচ্ছ করে ফেলে। সেখানে একমাত্র আকর্ষণীয় এই-যে,—খেতে কামলা দেওয়ার পরে হাতে অবসর থাকে, যেটি তারা সামাজিক সঙ্গ ও বিনোদনে পূরণ করেছে। ফসল তোলা ও বিলি-বণ্টনে বিরাট বৈষম্য থাকলেও তাদেরকে তা মেনে নিতে হয়েছে।
-
এতদিনের বানিয়ে তোলা সিস্টেম যে ঠিকমতো ওয়ার্ক করছে না, সেটি তাঁর ব্যাখ্যায় ভালোভাবে উঠে আসতে দেখেছি। কিন্তু, বিকল্প কী সেখানে? অভিবাসী নিয়ন্ত্রণ? প্যালেস্টাইন ইস্যুর সমাধানে ইসরায়েলের গৃহীত নীতিকে জাস্টিফাইড ভাবা? আমেরিকাকে মহান করে তোলার নামে রক্ষণশীল জাতীয়তাবাদের পারদকে ওপরে তোলা? চার্লিকে এসব প্রশ্ন যখন তরুণ প্রজন্মের অনেকে করেছে, সেখানে প্রশ্নগুলো হ্যান্ডেল করতে গিয়ে প্রায়শ যেসব যুক্তি তাঁকে দিতে দেখেছি, আমার কাছে তা শ্যালো মনে হতো।
-
বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের ভয়াবহ সহিংসতাকে কেবল Banality of evil দিয়ে ব্যাখ্যা করলে সেটা অসম্পূর্ণ থেকে যায়। আইখম্যানের মতো চিন্তাহীন আমলা এখানে অবশ্যই ছিল, যারা কেবল আদেশ পালন করেছে। কিন্তু পাশাপাশি ছিল মতাদর্শী পরিকল্পনাকারী, হিংস্র মব, ভয় সৃষ্টিকারী সন্ত্রাস, এবং সেই সন্ত্রাসের নিচে তৈরি হওয়া নিঃসঙ্গতা।
-
আনিসুজ্জামান ও সিকান্দার আবু জাফরকে এই-যে মোহাম্মদ আজম বেছে নিতে আগ্রহী, এর পেছনে কাজ করেছে পঁচাত্তর পরবর্তী ঘাত-প্রতিঘাত থেকে জন্ম নেওয়া উগ্র প্রগতিশীলতা ও একে প্রত্যাখ্যানের বাসনা। যদিও, এই প্রগতিশীলতা তার নিজস্ব ভ্রান্তিসহ কেন ওইসময় জন্ম নিয়েছিল,—সেটি সুচতুরভাবে পাশ কাটিয়ে গেছেন মোহাম্মদ আজম।