• ছবির অন্তরালে

    কাবুল দেশের শরবত গুলা

    মনে-মনে ঠিক করে ফেলি, এই ছবিটা দিয়ে কাজ চালিয়ে নিতে হবে। শরবত গুলাকে আপাতত কাবুলিওয়ালার মেয়ে বলে চালিয়ে দেবো। অদ্ভুত এই মুখচ্ছবিতে তার কৌতূহল হয়তো কিছুটা হলেও কমবে। অনেকগুলো ছবি থেকে ভালো দেখে একটি প্রিন্ট দিয়ে ঘুমাতে যাই।

  • ছবির অন্তরালে

    প্রস্থানবিন্দুর পর

    এই প্রথম সে বুঝতে পারছিল তাকে দিয়ে ঘটনা ঘটানো হচ্ছে এবং এছাড়া পৃথিবীতে বেঁচে থাকা কঠিন। অনতিউচ্চ টিলা যেমন বলতে পারছে না, সে কেন পৃথিবীতে জায়গা দখল করে রেখেছে? তার পক্ষেও বলা সম্ভব নয় কী কারণে তাকে ঠিক তাই এবং তাই করতে হবে যা সবাই করছে! সুতরাং এটি অনিবার্য ছিল, কোনো একদিন তার নিজেকে সে সন্দেহ করতে বাধ্য হবে। তার মনে হবে,- সে একটি প্রস্থানবিন্দুর ওপর দাঁড়িয়ে রয়েছে এবং সমতলের মাটি চোরাবালি হয়ে তাকে নিচে টানছে। নিমিষে বুঝে ফেলবে, এইটে হচ্ছে সেই বিন্দু যেখানে একবার প্রবেশ করতে পারলে আর ফেরত আসা যায় না।

  • সাহিত্যবাসর

    বৃত্তের জটিল ধাঁধা

    অনেকদিন বাদ একটা ওক গাছে তিরটা উনি খুঁজে পায়। গাছে গেঁথে আছে তখনো। তাঁর মনে হইতে থাকে এইটা এখন এমন এক সংগীত যার আদিঅন্ত কোনো একদিন তিনি গাইছিলেন, আর এখন অনামা দোস্তের হৃদয়ে গানটা গীত হইতেছে। ওক গাছে তিরটার দেখা মিলবে, কবি কখনো সেকথা ভাবেন নাই। গান যখন গাইছিলেন তার কোনো উদ্দেশ্য ছিল না। অন্য কাউকে এখন গাইতে দেখবেন ভেবে গান নাই তখন।

  • সাহিত্যবাসর

    যুগল কবিতা

    গভীর রাতে মেঘনীল আকাশের নীচে বাঁশিওয়ালা খুব চুপচাপ, যেন সুর ভাসালে বাতাসের ঘুম ভেঙে যাবে অথচ - মিলনপিপাসু বুনো মনের অসীম দুটি ডানা অর্থহীন পড়ে আছে অর্ধচরাচরে।

  • সাহিত্যবাসর

    মানুষ

    ভেবে দেখলে, মানুষ বয়ানবন্দি প্রাণী। সে স্বয়ং অথবা তার হয়ে অন্যরা বয়ান তৈরি করে, এর ওপর ভিত্তি করে ঠিক-বেঠিকের মীমাংসায় পৌঁছায়। মানুষ যে-কারণে ঈশ্বরতুল্য নয়। আবার ঈগল অথবা শূকরও নয়। সে হচ্ছে এমন জীব, ধরায় টিকে থাকার ক্ষেত্রে সকলের ওপর তাকে নির্ভর করতে হয়, কিন্তু তার ওপর কেউ নির্ভর করে না।