• টেক বুলেটিন

    এজেন্ট ম্যানাস সমাচার

    নতুন শ্রমবিন্যাস কাজেই সামনে অনিবার্য বলে মত ঠুকছেন তাঁরা। ম্যানাসের মধ্য দিয়ে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিজেকে হালনাগাদ করতে সক্ষম প্রযুক্তি, অর্থাৎ সেল্ফ অটোমেশনের নয়া দিগন্তে পা রাখবে বিশ্ব। মানব প্রজাতির জন্য যেটি প্রতিদ্বন্দ্বীতায় পূর্ণ এক বিশ্বের ছবি তুলে ধরছে। যন্ত্রে সচেতন মন সৃষ্টির যে-নিদান মার্ভিন মিনস্কি তাঁর The Society of Mind বইয়ে দিয়েছিলেন, আগামী বিশ্ব কি তাহলে সেদিকে পা বাড়াচ্ছে? প্রশ্নটি উঠতে শুরু করেছে ইতোমধ্যে।

  • দেখা-শোনা-পাঠ

    হেটামারানি জীবন ও তারাপদ রায়ের কবিতা

    নিজের লেখা কবিতায় এক বন্ধুর কথা স্মরণ করছেন কবি। তার নাম ছিল শত্রুজিৎ। কার এখন ঠেকা পড়েছে তাকে শত্রুজিৎ নামে ডাকার! শত্রুজিৎ না ডেকে সবাই তাকে সংক্ষেপে শত্রু নামে ডাকা শুরু করেছিল। কাউকে বোঝানোর উপায় থাকল না,—শত্রুকে জয় করার বাসনায় বাপমা তার নাম শত্রুজিৎ রেখেছিল। আদিনাম বেচারা নিজেও ভুলে গেল বেমালুম। জীবন হচ্ছে এরকম তামাশার নাম। তাকে জয় করতে নেমে উলটো নিজেই শত্রু বনে যেতে হয়! সহজসরল প্রবচনঘন আবেশ মিশিয়ে জীবন নামের তামাশাকে নিরন্তর লিখে গেছেন তারাপদ রায়। সহজ কথা যায় না লেখা সহজে;—রবি ঠাকুরের কথাকে তিনি মিথ্যা প্রমাণ করেছেন। গভীর কথাকে সহজ করে লিখেছেন আজীবন।

  • দেখা-শোনা-পাঠ

    কোয়েলিয়া গান থামা এবার

    উর্দুভাষী বেগম আখতার বাংলায় কোয়েলিয়া যবে গাইলেন, এবং তাও জ্ঞানপ্রকাশের অধীনে,—সোনা হতে সময় লাগেনি। বগা তালেব এখন নতুন যুগের পরিবেশে গানটি গেয়েছেন। আখতারকণ্ঠে গীত গানের সঙ্গে এর তুলনা অনাবশ্যক। দুজনের গায়কি আলাদা। সময় পৃথক। কাজেই দুটির মধ্যে তুলনা সমীচীন নয় কোনোভাবে।

  • দেখা-শোনা-পাঠ

    হামজা আলভীর বয়ানে অতি উন্নত রাষ্ট্র পাকিস্তান ও বাংলাদেশ

    সমাজ ও অর্থনীতির চালক হিসেবে বণিকনির্ভর সুগঠিত বুর্জোয়া শ্রেণি পাকিস্তান ও বাংলাদেশে গড়ে না উঠায় এখানকারর শ্রেণিশোষণের ছক বা এর বিরুদ্ধে লড়াই সর্বদা ঘোলাটেই থেকে গেছে। হাসিনা আমলে ব্যবসায়ীদের দাপট আমরা দেখেছি, তবে খেয়াল করা প্রয়োজন,—ব্যবসায়ী শ্রেণিটি সেখানে মার্কসকথিত পুঁজবাদী শক্তিতে নিজেকে রূপান্তরিত করতে সক্ষম ছিল না। সামরিক ও বেসামরিক আমলাতন্ত্রকে নেপথ্য চালিকাশক্তি মেনে নিয়ে তারা কেবল লুম্পেনে পরিণত করেছে নিজেকে। আর গেল তিরিশ বছরের ছকে এই অলিগার্কিকে পূর্ণতা দিতে মোল্লারা যুক্ত হয়েছেন। আলভীর অতি উন্নত রাষ্ট্রের পরিহাসকে যেটি বাংলাদেশে সত্য প্রমাণ করছে।

  • দেখা-শোনা-পাঠ

    লোকনাথ ভট্টাচার্যের মানববীক্ষণ

    নৈরাশ্যের অন্তিম পরিণতি নিস্পৃহতায়। নিস্পৃহতার পরিণতি তাহলে কী? নির্বিকার কোনো অবশ অভ্যাসে মন্দিরে পৌঁছানো? নাকি নির্বেদে সমাধি গ্রহণ? কবি এর কোনোটাই বেছে নিচ্ছেন না এখানে। তিনি বেঁচে আছেন স্মৃতিমধ্যে। দেহটা সক্রিয় রোমন্থনের ভিতর। যদিও সেই রোমন্থনের ব্যাপারে আবেগ ফিকে হয়ে এসেছে। কোনো বক্তব্য রাখার প্রয়োজন নেই, তথাপি অভীপ্সা রয়েছে। কেন রয়েছে? উত্তর কি জানে মানুষ? পাঠকরা কি জানে? না,—কেউ তা জানে না।