সাহিত্যবাসর

লিখনামৃতম্

ফজলুররহমান বাবুল-এর গদ্য লিখনামৃতম্ 

. . .

নানান মাধ্যমে নানান কিসিমের লেখক। কেউ কেউ লেখেন হরহামেশা, কেউ কেউ কালেভদ্রে। বেকার, ভাতুড়ে থেকে শুরু করে মন্ত্রী-আমলাসহ নানাবিধ সরকারি কামলাকেও লেখালেখিলিপ্ততায় দেখা যায়। লেখক পূর্ব থেকে পশ্চিমে, উত্তর থেকে দক্ষিণে। নানান রঙে লেখক ও লেখালেখির ভুবন বিচিত্র। লেখালেখি করেন মাস্টার, উকিল, ডাক্তার, বিজ্ঞানী, ব্যাংকার, ব্যাবসাদার। দূর-অতীত থেকে হালেও নানান শ্রেণি-পেশার মানুষকে লেখালেখিতে লিপ্ত হতে দেখা যায়। লেখকদের মধ্যে কেউ কেউ নানান রকম অনিশ্চয়তা বা ঝুঁকির মধ্যেও লেখায় অন্তর্ব্যাপ্ত থাকেন। লেখক লেখেন কত-কী—লেখেন অভিজ্ঞতা, স্বপ্ন, উপলব্ধি, সুখ-দুঃখ, সংস্কৃতি, ভালোবাসা, ঘৃণা, বাস্তবতা, ক্ষোভ, প্রতিবাদ। কেউ সমাজ-প্রতিবেশের কিংবা নিজের ভিতরের তাগিদ থেকে লিখতে পারেন কিংবা লিখতে ভালো লাগে বলেই লিখতে পারেন। স্রেফ জীবিকার লক্ষ্যেও চলতে পারে এই কাজ। তবে, জীবিকা নির্বাহের জন্য সমস্ত পৃথিবীতে হালে কয়জন লেখক লেখেন, তা আমরা ঠিক জানি না।

বিশ শতকের বাঙালি কথাসাহিত্যিক তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় জীবিকার জন্য লিখতেন। লিখে আনন্দও পেতেন। তারাশঙ্করের জন্ম হয়েছিল এক মধ্যবিত্ত ব্রাহ্মণ-পরিবারে। তাঁর পূর্বপুরুষদের ছোটোখাটো জমিদারি ছিল। যৌবনেই তারাশঙ্কর জড়িয়ে পড়েছিলেন রাজনীতির সঙ্গে, কিন্তু নিজেকে রাজনীতি এমনকী পৈতৃক বিষয়সম্পত্তি থেকেও বিচ্ছিন্ন করে সাহিত্যেই নিবদ্ধ করেছিলেন। এ-জন্য তাঁকে অনেক ত্যাগ, কষ্ট স্বীকার করতে হয়েছিল। যশস্বী সাহিত্যিক তারাশঙ্কর সোজাসুজি বলেছিলেন, ‘চাষি চাষ করে যে জন্য, শ্রমিক মাটি কাটে যে জন্য, সেই জন্য আমি লিখি; লেখা থেকেই আমার অন্নবস্ত্র জোটে। শ্রমিকের কাজে শ্রমিক কতখানি আনন্দ পায় জানি না, তবে চাষির চাষকর্মে তার দুঃসহ কষ্টের কথা জানি। তাদের রোদে পুড়তে দেখেছি, মাথার ঘাম সত্যিই পায়ে ঝরে পড়তে দেখেছি। আবার ফসলে যখন মাঠ ভরে ওঠে তখন তাদের মুখে হাসিও দেখেছি। তেমনি লিখতে কষ্ট দুঃখ আমারও হয়, মাথা হয়তো খসে পড়ে এমনও হয়, আবার যখন এক একটি লেখা শেষ হয় তখন আনন্দ পাই অপরিমেয়।’

Only Surviving Video of Tarasankar Bandyopadhyay; Video Courtesy – Anindya Bandyopadhyay YTC

কোনওরকম সৃষ্টি-অভীপ্সা, জীবিকা নির্বাহ, সরকারি ভাতা কিংবা এর বাইরে কোনওরকম নান্দনিক উদ্দীপনা, সামাজিক, রাজনীতিক, ঐতিহাসিক প্ররোচনা কিংবা অন্য যে-কারণ থেকেই লেখক লেখেন বলে তাঁর বক্তব্য প্রমাণের চেষ্টা করেন না কেন, তা সকলের কাছে সমান গ্রহণযোগ্যতা অর্জনের নিশ্চয়তা নেই। বিশেষত সৃজনশীল ধারায় লেখালেখির কারণ বা উদ্দেশ্য-গতি কোনও শাশ্বত লক্ষ্যে চলতে পারে বলে মনে করা যায় না।

বিনা পারিশ্রমিকে জমির উর্বতা, প্রাকৃতিক সারের ব্যবহার সম্পর্কে যিনি লেখেন, তিনি তো খুব সহজে বলে দিতে পারেন—কৃষকদের কৃষিজ্ঞান বাড়ানোর লক্ষ্যে লেখেন, অথবা বলতে পারেন— স্রেফ কৃষকদের উপকার করতেই লেখেন। কিন্তু, যিনি কবিতা কিংবা অন্যকোনও সৃজনশীল মাধ্যমে লেখালেখিলিপ্ত, তিনি যে-জবাবই দেন না কেন, তার সম্পূর্ণ সত্যাসত্য বিচার করা কি সম্ভব? এই বিষয়ে সত্যান্বেষীরা নিশ্চয় দেখবেন ভিন্ন ভিন্ন লেখকের জবাব ভিন্ন ভিন্ন দৃষ্টিকোণ বা উপলব্ধি থেকে উঠে এসেছে। একজন লেখকের তরফ থেকে কেন লিখির জবাব সময়ের স্রোতে অদলবদলও হতে পারে। একজন লেখক আজীবন একই কারণে/উদ্দেশ্যে লিখে যাবেন, এমন কথাও থাকে না।

আমরা জেনেছি যে, ফরাসি লেখক বালজাক ঋণ পরিশোধের জন্য লিখতেন। প্রশ্ন উঠতে পারে, বালজাকের সমুদয় লেখাই কি ঋণ পরিশোধের জন্য? ঋণগ্রস্ত হওয়ার আগে কি লিখতেন না? সে যা-ই হোক, মানুষের জীবনে কবিতা, নাটক, গল্প বা উপন্যাসের কোনও উপযোগিতা থাকলেও একজন কবি বা একজন কথাসাহিত্যিক ঢালাওভাবে বলেন না যে, আমি পড়ুয়াদের উপকার করতেই লিখি। কেউ এমন কথা বললেও, মিথ্যে বললেন, এমনটি বলারও অবকাশ নেই। হতে পারে, এমনিতেই কোনও কোনও লেখা পাঠে সজ্ঞান পড়ুয়ারা লেখালেখির উদ্দেশ্য বা নিহিতার্থ বুঝে যান। কোনও কোনও পড়ুয়া বলতে পারেন— স্বয়ং লেখকের কাছে যদি কেন লিখির জবাবটা না-থাকে তবে অন্যদের বুঝে নেওয়ার সাধ্য কোথায়। বোধ করি, নানাভাবে, নানান কারণে জগতে অজস্র লেখালেখিলিপ্ততার কারণ রহস্যের মধ্যে ডুবে আছে। সৃজনধর্মী লেখক তাঁর মানবীয় চিন্তাসূত্রে স্বীয় লেখালেখির কারণটাকে যতটাসম্ভব সূক্ষ্মভাবে নির্ণয়ের চেষ্টা করেন।

Balzac à Saché; Source – Musée Balzac; Source – château de Saché YTC

কেন লিখি—কেন লেখালেখি—এইসব প্রশ্ন যতই অকিঞ্চিৎকর হোক না কেন, তার কোনও সর্বকালীন জবাব কি কখনও পাওয়া যাবে? নানান সময়ে নানান সমাজ-প্রতিবেশে বেড়েওঠা নানান রকম লেখক নানাভাবে তার জবাব দিয়েছেন, তাতে স্থায়ীভাবে কৌতূহল নিবৃত্তি হয়নি। জবাব তো কতরকম। লেখক নিজের অভিজ্ঞতা ও অনুভূতির আঁকিবুঁকি করেন। সবকিছুই কি আপন স্বাধীনতায়? মনের খেয়ালে কিংবা ভালো লাগায় কিংবা কোনও অসুস্থতায়? লেখালেখির অদৃশ্য মায়ামূর্তি কেন লেখকের ঘাড় ধরে টানে মাথাটাকে এগিয়ে দেওয়ার জন্য (সবক্ষেত্রে লেখক কি তা বুঝে উঠতে পারেন)? লেখার গ্রামে, লেখার শহরে মনে হয় স্বাধীনতা আছে, মনে হয় স্বাধীনতা নেই। লেখালেখি কি লেখকের স্বাধীনতা? লেখক তো বলেন, আমি না-লিখে পারি না-তাই লিখি! কে লিখতে বাধ্য করে তাঁকে? লেখকের সময়-জীবন, লেখকের আনন্দ-বেদনা; অসুস্থতা কি লিখতে বাধ্য করে? না-লিখলে ঘিরে ধরে কি ক্লান্তিহীন বিষাদ? লেখককে যে লেখায় সে কি নাম-পরিচয়হীন? যে লেখায় সে কি যে-কোনও সময় যে-কোনও লেখককে কেবল লিখিয়েই আনন্দ পায়?

কেউ যদি বলেন— লেখা আমার নেশা, তাই লিখি; কিংবা কেউ যদি বলেন—লেখায় আমার জীবিকা, তাই লিখি; তো আমাদের আপত্তির কিছু তো থাকে না; আপত্তি থাকবে না কোনও কারণ ছাড়া লিখলেও। গৌরবের জন্য বা আত্মবিকিরণের জন্যও কেউ লিখতেই পারেন। লেখার মধ্যে কেউ নিজেকে বাঁচিয়ে রাখার স্বপ্ন দেখলেও তা নির্দিষ্ট ব্যক্তিসম্পর্কিত।

লেখার বিষয় ভিন্ন ভিন্ন। লেখ্যোপকরণ বিবিধ। যিনি লেখেন, তিনিই লেখক। একজন লেখক তাঁর অধিগত জ্ঞান, ধারণা, কল্পনা বা অনুভূতিকে লিখিত ভাষায় রূপ দেন। কিন্তু লেখক হয়ে ওঠবার জন্যও সাধনা করতে হয়। সাহিত্যপর্যায়ভুক্ত/সৃষ্টিশীল লেখার কাজে ব্যাপৃত সমস্ত লেখকদের আত্মপক্ষ সমর্থনে যুক্তি-ব্যাখ্যা ঠিক একই রকম হবে, কথা এমন নয়। লেখার পক্ষে যুক্তি/চিন্তা, অন্বেষা লেখকভেদে ভিন্ন ভিন্ন হতেই পারে। লেখার মধ্যে লেখকের আত্মশক্তি প্রতিফলিত হলেও আমরা ভাবতে পারি না একজন লেখক তাঁর শক্তিমত্তা প্রমাণের লক্ষ্যে কিংবা দেশ ও জাতিকে উদ্ধার করতে কিংবা স্রেফ কাউকে খুশি করার অভীপ্সা থেকে লেখেন। কিন্তু লেখার নেপথ্যের নিগূঢ় কারণটা কী? শুধুশুধু ভালো লাগা থেকেই? দিনের পর দিন, বছরের পর বছর, যুগের পর যুগ ধরে শুধু লিখে যেতে ভালো লাগে? লেখার নেপথ্যে ভালো লাগা মানে কি সবকিছু সুখ-প্রশান্তির? লিখতে বসার আগে বা পরে লেখকের শরীর-মন কি কখনও বিদ্রোহ করে না? লিখতে গিয়ে কি যন্ত্রণার কোনও কাঠখড়ও পোড়াতে হয় না? দিতে হয় না ধৈর্যের পরীক্ষা? লেখক কোনওপ্রকার যন্ত্রণা বা দুঃখসহযোগে লিখলেও লেখাশেষে কিছু প্রশান্তি অনুভব করতেই পারেন।

লেখার মুহূর্তে জেগেওঠা অনুভূতিগুলো একান্তই লেখকের। লেখককের সৃজনশীল সত্তাকে কর্মকুশল বা তীক্ষ্ণ করার লক্ষ্যে নিশ্চয় অনেক ধৈর্য ও অধ্যবসায়ের মধ্য দিয়ে এগোতে হয়। লেখকদের মধ্যে কেউ কেউ বলেন, এই কাজ সত্যিই ক্লান্তিকর। তবে, এমন ক্লান্তি-অবসাদেও কি আনন্দ আছে? লেখক দিনের পর দিন, বছরের পর বছর লেখালেখির মতো ক্লান্তিকর একটি কাজে নিজেকে কেন এবং কীভাবে যুক্ত রাখেন, এমন প্রশ্নের জবাব খোঁজেন পড়ুয়া-সমালোচক। লেখক বলতে পারেন, আমার কিছু বলার আছে বলেই লিখি। বলার মানে তো অব্যক্ততাকে ব্যক্ত করা। যদি আমরা মনে করি লেখার কাজটা আসলে অব্যক্ততার বেদনা থেকে নিজেকে মুক্ত করার একটা প্রণালি, কিংবা আমরা যদি বলি—লেখকের নিঃসঙ্গতার মধ্যে লেখা একটা সঙ্গ, তবে কি শেষ কথা বলা হয়? নিশ্চয় না। লেখক লেখার মাধ্যমে অব্যক্ততাকে প্রকাশ করেন। এই প্রকাশটা হতে পারে নিজের সঙ্গে কিংবা পাঠকের সঙ্গে কথা বলা। লেখক কি তাঁর লেখার মাধ্যমে কথা বলতে পারেন না নিজের সঙ্গে, পাঠকের সঙ্গে? লেখা-পাঠে বোধ করি লেখকের মুখটা দেখা যায়। সবসময় দেখা না-গেলেও মাঝে মাঝে দেখা যায়।

So You Want to Be a Writer by Charles Bukowski; Video Courtesy – A Writer Who Inspires YTC

যদি কোনও লেখক বলেন, আমি লিখি আমার ভিতরের তাগিদে, তবে সেই লেখক লিখতে বসলে কি তাঁর সামনে থাকেন কোনও পাঠক? লেখালেখির কাজটা স্রেফ মনের খেয়ালে কিংবা বন্ধুদের অনুরোধে বা চাপাচাপিতে হলেও কীভাবে তা বছরের পর বছর ধরে চলতে পারে, এমন প্রশ্নও তৈরি হয় আমাদের মনে। ধূর্জটিপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের বাংলা প্রবন্ধ, গল্প ও নভেলের নব্বই ভাগই নাকি বন্ধুদের তাগিদে লেখা। টাকার জন্যও লিখেছেন তিনি।

লেখকের লিখতে বসার কারণ হতে পারে এক কিংবা হতে পারে একাধিক। আবার, ‘কেন লেখেন’ এবং ‘কীভাবে লিখলেন’এই দুই প্রশ্নের জবাবও একইরকম হবে না। লেখকের লেখা হতে পারে নিজের সঙ্গে বোঝাপড়া কিংবা নিজেকে জানার একটা পরীক্ষা বা পন্থা। এই যে নিজের সঙ্গে কথা কিংবা বোঝাপড়া, তা যেমন একজন লেখকের জন্য তেমনই পড়ুয়ার জন্যও, যে-পড়ুয়া কখনও-সখনও পড়তে, উপলব্ধি করতে আগ্রহী হবেন। একজন লেখকের লেখকসত্তায় কি কোনওভাবে পাঠকদের কোনও অস্তিত্ব থাকতে পারে না? কোনওভাবে অস্বীকার করা যায় না যে, একজন লেখকও শেষপর্যন্ত নিজের লেখার পাঠক। আমরা জানি, যে-কোনও লেখককে পড়া বা না-পড়া সবসময়ই পড়ুয়ার নিজের ব্যাপার। লেখক আগেভাগেই জানেন না, প্রকাশের পর কে তাঁকে পড়বেন আর কে পড়বেন না। লেখক বলতে পারেন যে, কেউ আমাকে লেখার জন্য দিব্যি না-দিলেও কিংবা প্ররোচিত না-করলেও মাঝেমধ্যে লিখতে হয়, লিখতে হয় আমার ভুল-শুদ্ধ। এবং বলতে পারেন, আমি লিখি আমার জীবন, লিখি জীবনের গান। লেখার মধ্যে আমি জীবনের গান গাই। লিখি আমাকে—অর্থাৎ নিজের অভিজ্ঞতাকে, চিন্তাকে, উপলব্ধিকে বা ভাবাবেগকে।

লেখক যা ভাবেন, বোঝেন, দেখেন—তা জানাতে লিখতে পারেন; লিখতে পারেন স্বীয় আনন্দ প্রকাশের জন্য, কোনও ক্ষুধা-দুঃখ থেকে কিঞ্চিৎ অবকাশ যাপনের জন্য কিংবা লিখতে পারেন কোনও পরম ভালো লাগায়, ভালোবাসায়। লিখে ফেলার পর তা জগতের কী কাজে লাগবে, সতত তা ভেবে লেখক লেখেন না নিশ্চয়। কখনও কখনও লেখা কেবল একটা ঘোর, উসকানি। লেখকের সামনে, চিন্তা/অনুভবের রূপবৈচিত্র্যে প্রকাশের অভীপ্সা যেন সেই গন্দম, যাকে পরখ করতে কখনও-সখনও নিজের বিরুদ্ধে যেতেও উসকে দেয়। লেখক লেখেন কোনও উদ্দেশ্যের বেড়াজালে, কিংবা উদ্দেশ্যহীন। হ্যাঁ, কখনও কখনও লিখতে হয় কোনও উদ্দেশ্য ব্যতিরেকে। একটি লেখার উদ্দেশ্য ও আধেয় যা-ই হোক না কেন, দিনের শুরুতে এবং দিনশেষে নিজের কাজে লেখক একজন শিক্ষার্থী, আমৃত্যু লেখার কাজটা শিখে যেতে হয় যাকে।

Keno Likhi by Dhurjati Prasad Mukerji; Video Courtesy – KnowUni YTC

লেখালেখির ভিন্ন ভিন্ন পথ, লেখকদের ধীশক্তি, ব্যক্তিত্ব ও জীবনযাত্রার ভিন্নতা, এবং ভিন্ন ভিন্ন মত থাকলেও যে-কোনও সময় কোনও-একটি দিক বা প্রেক্ষাপট থেকে লেখকমাত্রই তাঁর লেখালেখির নিগূঢ় কারণানুসন্ধানী হতে পারেন। লেখার কাজে থাকলে লোকেদের কৌতূহল নিবৃত্তির জন্যও কেন লিখির জবাবও দিতে হয় লেখককে। আবার, একজন লেখক বহু বছর লেখালেখির পর বিরতি বা অবসর নিয়েও কেন আর লেখেন না, এমন প্রশ্নেরও মুখোমুখি হতে হয়! লেখক দক্ষ কিংবা অদক্ষ যেমনই থাকুন, যেমনই লিখুন, স্বীয় লেখালেখির কারণ খোঁজায় ব্যাপৃত হতে পারেন ভিন্ন ভিন্ন প্রেক্ষাপট বা দৃষ্টিকোণ থেকে। কেন লেখেন, তার একটা উত্তর দেন কেউ কেউ, এবং কেউ কেউ লেখালেখির কারণটা জানেন না বলেও জানান। কেন লেখালেখি, কেন লিখির জবাব না-খুঁজে বরং লেখার কাজটা চালু রেখেই আমোদিত কেউ কেউ। লেখকের মনোজগতে লেখার কাজটা যেমনই হোক, মনে হয়—কেন লিখি বা কেন লেখালেখি— এইসব প্রশ্নের কোনও সর্বকালীন জবাব নেই।
. . .

How useful was this post?

Click on a star to rate it!

Average rating 5 / 5. Vote count: 5

No votes so far! Be the first to rate this post.

Contributor@thirdlanespace.com কর্তৃক স্বত্ব সংরক্ষিত

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *