মাঝেমধ্যে ভাবি, বইটই পড়ে কোনো লাভ নাই! এই-যে আমরা বইপত্র পড়ি, নিদেনপক্ষে পড়বার চেষ্টা করি, বইপাঠের উপকারিতা নিয়া ভালো-ভালো যুক্তি খাড়া করি, যেসব লোক বইটই পড়ে না তাদেরকে এই ব্যাপারে উৎসাহিত করতে বাকি রাখি না, এমনকি দরকার হইলে ঝাড়ি অথবা সৈয়দ মুজতবা আলীর মতো রসভরা ভাষায় উপহাস করি…. এখন এগুলার উপকার তো কিছু দেখি না ভাই! বইপত্র পাঠের সুবাদে আমরা খুব-যে বুদ্ধিমান ও সংবেদনশীল প্রজাতিতে পরিণত হইতেছি, তার কোনো নমুনা আজো দেখিলাম না! বিপরীতটাই বরং দেখতে আছি হামেশা।
আমরা ধারণা হয়তো ভুল, তথাপি বই যারা পড়ে তাদেরকে দুভাগে ভাগ করা যায় মনে করি। একদল বইয়ের পাতায় যেসব কথা লেখা থাকে সেগুলার উপ্রে ইমান জিম্মা রাখতে গিয়া আকাশকুসুমে চলে যায়। ইংরেজিতে বুকিশ শব্দখানা এদের বোঝাইতে অভিধানে ঢোকানো হইছে মনে হয়। আরেকদল আছে,- বইয়ে পঠিত অভিজ্ঞতাকে বিচিত্র উপায়ে বদ মতলব হাসিলে ব্যবহার যায়। যত বেশি বই আওরায় তত বেশি ক্রিমিনালি করে তারা। সংখ্যায় অধিক না হলেও সমাজে তারা হইতেছে আসল ডন। সমাজের মাথা হয়ে বাকিদের মাথা চিবিয়ে খায়।
দুই দলের মাঝখানে আরো একদলকে পাওয়া যাইতেছে। দায়ে পড়ে ও লোক দেখাইতে বইটই পড়ে। নিজেও জানে না কেন পড়তেছে! এখন এই তিন দলকে দোষ দিয়া ফায়দা নাই। বই পড়া হুজ্জোতের কাজ। শত মানুষের শত মত, শতজন দেখায় শতপথ। একজন কয় ডাইনে যাও। আরেকজন বলে,- নো, ইউ মাস্ট টার্ন লেফট। একজন মটিতে নামায়। আরেকজন উঠতে বলে গাছের আগায়। মহা ঝক্কি আর কী!
বইয়ের মধ্যে কোটি-কোটি অক্ষর। যত বই এ-পর্যন্ত লেখা হইছে, এখন লেখা হইতেছে, আগামীতে হইতে থাকবে… খেয়াল করলে দেখা যায় তার সবটাই ভাষার কেরদানি। একই কথা সবাই ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে নানান ছাদে লেখে। রলাঁ বার্থ নামের ফরাসি বইলেখক নিজমুখে কথাখান কবুল করছিলেন মনে পড়ে। উনার রচিয়তার মৃত্যু ও ক্যামেরা লুসিডা নামে দুখানা বই পড়ছি একসময়। সবটা ইয়াদ নাই, তবে পড়তে বেশ লাগছিল তখন। বইপাঠের সংবিধানে রিডার’স প্লেজার বইলা যদি কোনো বস্তু থাকে তাহলে উনি সেখানে ভালো নাম্বার তুলবেন। ফরাসি ভাষায় উনার কবিত্বভরা কেরদানি এতটাই মারাত্মক,- ইংরেজি তর্জমাকার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়া অনুবাদে বাধ্য ছিলেন। রলাঁ বার্থ উনার কিতাবে অনেক ত্যানা প্যাঁচানোর ছলে কথাটা বলছিলেন,- বই মিনিং বা অর্থ পয়দা করে আর অর্থ পয়দা করে জীবন।
কথার মাহাত্ম্য ব্যাখ্যায় যুক্তিও হাজির করছিলেন ফরাসি ভাবুক। তাঁর মতে বই লিখে কাউকে সুখী করা যায় না। আমি যারে ভালোবাসি তারে বই লেখার কেরদানি দিয়া কাছে টানতে পারব না। তার জন্য আমি ফিদা হয়ে আছি;- সিম্পল কথাখান বুঝাইতে অন্যকিছু লাগবে। বই লিখে উপকার কিছু নাই। যে-লেখে তারে বুঝতে হবে গ্রন্থরাচনা তার জন্য বিকল্প বা অন্য কিছুর ক্ষতিপূরণ নহে। এখানে পরমানন্দ বিশেষ একটা পাওয়া যায় না। কপালে কিছু জুটবে না ধরে নিয়ে যদি লিখতে মন চায় তাহলে লিখতে পারে। আজব! কিছু যদি না মিলে তাইলে লিখতে যাবে কোন দুঃখে? মানুষের মাথার উপ্রে থান ইটের মতো বইয়ের বোঝা চাপানোর কোনো মানে আছে?
বার্থ সেখানে থামলে ভালো ছিল। ব্যাটায় আরেক কদম আগে বেড়ে বলতেছেন,- বই যে-লিখে তারে না মারা পর্যন্ত পাঠক জন্মগ্রহণ করে না। মারা বলতে লিটারেলি মারতে বলেন নাই অবশ্য। কেউ যখন একটা বই পড়ে তখন নিজের আকল ব্যবহার করে বইটারে বোঝার চেষ্টা করে সে;- সোজা কথাটা বার্থ এখানে তুলে ধরতেছেন। বই পড়তে বসে পাঠক এর অর্থ তালাশ করায় নতুন সব ব্যাখ্যা সামনে হাজির হয়। ব্যাখ্যা জন্ম নেওয়ার সুবাদে আবার নতুন-নতুন বই পয়দা হওয়ার সম্ভাবনাও তৈরি হইতে থাকে। বইয়ের রচয়িতা কাজেই গৌণসত্তায় পরিণত হয় তখন। সে মারা যায় না, কিন্তু নতুন সব বইয়ের চাপে বেচারাকে মরহুম বইলা ঠার করে পাঠক। তার হাড়গোড় থেকে নবীন কোনো লেখক সেখানে ভূমিষ্ট হয়। সে একদিন মরহুম হলে তার জায়গা নিতে নতুন কারো আগমন ঘটে। চক্রটি এভাবে অন্তহীন বই পয়দা করে, এবং করতেই থাকে!
রচয়িতাকে রলাঁ বার্থ যারপরনাই রিডার নামে ডাকতেছেন এখানে। লেখালেখির খেলাটা তাঁর কাছে ফ্রি প্লে বা মুক্তক্রীড়া। খেলাধুলায় যারা অংশ নিতেছে তাদেরকে মার্ক করে উনি বলতেছে,- মানবগ্রহে এ-পর্যন্ত যত লেখা আমাদের রাডারে ধরা পড়ছে সেখানে নতুনত্ব বইলা কোনো বস্তু আসলে নাই। একই কথা সকলেই বলার চেষ্টা করতেছে। সময় ও ভাষার পটপরিবর্তন প্রকাশভঙ্গিতে যেসব পরিবর্তন ঘটায়, এখন তার প্রভাবে পুরাতন কথাকেও পড়তে নতুন বা ভিন্ন লাগে মানুষের। যুগ ও পরিপার্শ্বের সঙ্গে মিল রেখে বলার কারণে নতুন বইলা ভ্রম হয়। দেখার চোখ আর বলার কেরদানি মিলে পাঠকের কাছে নতুন লাগে সব;- আসলে তারা পুরাতন। রিপিটিশেন বা পুনরাবৃত্তি বলা যাইতে পারে।
রলাঁ বার্থের কথায় যদি সম্মতি জানাই তাহলে মানতে হবে,- প্রাচীন আমলে যা লেখা হইছে আমরা এখন সেগুলার বিরতিহীন ইন্টারপ্রিটেশন বা ব্যাখ্যার মধ্যে আছি। ব্যাখ্যা থেকে ব্যাখ্যায় যাইতেছি। মানবগ্রহে এভাবে গড়ে উঠছে ব্যাখ্যাসমৃদ্ধ কিতাবের এক কুতুব মিনার। উনার কথার সঙ্গে তখন যোগ করতে মন চাইছিল,- হ, ঠিক কইছেন আপনি! তবে এই কুতুব মিনারের কিছুই বাস্তবে আমাদের কাজে লাগতেছে না। অশান্তির মধ্যে আছি জনাব। আগেও ছিলাম আর এখনো তাই। বার্থের সাকুল্যে দু-চারখানা কিতাব পাঠের সুবাদে স্মৃতি থেকে যা বলার চেষ্টা করতেছি সেখানে ভুলচুক থাকতে পারে। উনার বইপত্র যারা পড়ছেন, ভুল থাকলে শুধরে দিয়েন। খুশিমনে কবুল করব সেইটা। যাই হোক, প্রসঙ্গে আসি। রলাঁ বার্থের বাতচিত হইতে বেশ বোঝা গেল,- বই লেখা এবং পড়ার সঙ্গে সুখ-দুখের সম্পর্ক নাই। ভালোবাসার নাই। বই লিখে কিংবা পড়ে সমাজে শান্তির হাওয়া বহানোর ভাবনা যারা করে তাদেরকে গাছবলদা ডাকলেও ক্ষতি নাই।
বই ওদিকে যারা একদম পড়ে না, তারা আবার বইয়ের কুতুব মিনার দিয়া তৈরি সমাজে অনুরূপ অশান্তির মধ্যে দিনাতিপাত করেন। বই পড়ুয়ার দল তাদেরকে পাপোশের মতো ব্যবহার করে সেখানে। ডেলি লাত্থিউষ্ঠা সইতে হয়। তাদের এই লাত্থিউষ্ঠা খাওয়ার সমস্যা নিয়া আবার বই লেখে অন্যরা। একদল বুকিশ সেগুলা লিখে। ব্যাখ্যা করে আরেকদল। চলতেই আছে এসব! মাঝখান দিয়া আমাদের মতো মধ্যবর্তীরা ফাঁপরে পড়ি। বইপত্র আমরা খানিকটা পড়ি এবং পড়ি না, কিছুটা বুঝি ও অনেকটা মাথার ওপর দিয়া যাইতে দেই, কখনো বইয়ের মতো হইতে মন চায় এবং হইতে গিয়া বিতিকিচ্ছি মামদো ভূতে পরিণত হই;- আজব এই অবস্থার কারণে আপদ আমাদের পিছু ছাড়ে না। বই পড়া ও না পড়ার জটিলতায় আমাদের মাথা বনবন ঘোরে, আর মনে ঘনায় বৈরাগ্য। সব ছেড়েছুড়ে ভাগা দিতে মন চায়। যদিও ভাগা দেওয়ার মতো জায়গা খালি নাই খোদার আচিয্যি দুনিয়ায়!
বিচিত্র এসব ভজকটের কারণে আমরা হইতেছি বেস্ট এমং দ্য বিস্ট। জানোয়ারদের মধ্যে সেরা জানোয়ার। এখন আমাদের মধ্য থেকে ওইসব মানুষকে বেস্ট ভাবা যাইতে পারে যারা ইহজীবনে বইটই চোখে দেখে নাই। দেখলেও এগুলা এখন খায় না মাথায় দেয় এসব নিয়া একদম ভাবে না। বাস্তবে যে-জগতে আছি সেখানে এই টাইপের মানুষ শূন্যের কোঠায় আছেন বলা যায়। কিছু-কিছু তবু তালাশ করলে মিলে এখনো। যেমন, পাকিস্তান ও চীনের লাগোয়া শীতপ্রধান পাহাড়ি অঞ্চলে হুনজা নামে আদিবাসীরা বসত পেতে থাকে। ধর্মে মুসলমান হইলেও পাকিস্তানের চারপাশে যত খবিসি চলে তার কোনোকিছুর সঙ্গে তাদের সংযোগ নাই। পুরষরা সুদর্শন ও পরিশ্রমী। নারীরা মারাত্মক সুন্দরী আর দীর্ঘজীবী। হুনজাদের গড় আয়ু শতবছরের উপ্রে বা তার কাছাকাছি। সত্তর বছর বয়সী মেয়েলোক দেখলে অনেকসময় ত্রিশ-পঁয়ত্রিশে পড়ছে বইলা ভ্রম হইতে থাকে!
হুনজারা নিজের জগৎ নিয়া থাকে। ফলমুল ফলায়। পাহাড়ি গরুছাগল পালে। সেগুলা তাদের পেটের খোরাক মিটায়। নিজেগো মধ্যে বিয়াশাদি ও উৎসব পালন করে। জটিল রোগব্যাধি বড়ো একটা নাই। কিছু-কিছু ছেলেমেয়ে স্কুল-কলেজে যায়, কিন্তু সেখানে যেসব কিতাব পড়ানো হয় সেগুলা মাথায় রাখে না। মগজে ঢোকায় এবং গোল্ডফিশের মতো বেবাক ভুলে যাইতে থাকে। হুনজাদের গোষ্ঠীতন্ত্রে যে-নিয়মগুলা চালু আছে সেগুলার উপ্রে তাদের জীবন মোটের উপে এখনো বহমান। মানসিক দিক দিয়া হাসিখুশি থাকার চেষ্টা করে তারা। সুন্দর স্বাস্থ্য ও দীর্ঘ আয়ুর এইটা হইতেছে বড়ো কারণ।
হুনজাদের জীবন ও খাদ্যব্যবস্থাপনার ব্যাপারে ধারণা গ্রহণের সুবাদে মনে হইল বইয়ের কী দরকার সেখানে? তারা তো নিজে এক-একটা বই। প্রকৃতি বইটা লিখছেন নিজ হাতে আর তারা সেইটা পড়ে বিন্দাস আছে। ধনী-গরিব নিয়া ভাবে না;- কারণ, প্রকৃতি যতক্ষণ আছেন ততক্ষণ তারা সকলে ধনী। বইপড়া পাকিস্তানের মিলিটারি আর কাঠমোল্লারা অবশ্য হুনজাদের এভাবে বেশিদিন থাকতে দেবে না। তাদেরকে আজ-নয়-কাল ধ্বংস করবে এই ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যাইতে পারে।
পাকিস্তানে এরকম আরো আদিবাসী সংখ্যালঘু গোত্র আছে। বইপত্র ছাড়াই নেচারবুকের পাতা উল্টিয়ে করে খাইতেছে তারা। বই সেখানে ঢুকলেও পাত্তা পায় না বিশেষ। জ্ঞানী হওয়ার কোনো ইচ্ছা তাদের নাই। প্রকৃতি নামক কিতাব পাঠের কারণে তারা এম্নিতেই জ্ঞানী। আলাদা করে আবার জ্ঞানী হতে যাবে কোন দুঃখে! সুতরাং বইটইয়ের ধার তারা আজো ধারে না। প্রত্যাখানটা যদি মানবগ্রহে যত মানুষ আছে সবাই করতে পারত, কী দাঁড়াইত তখন? আমরা বোধকরি ডাইনোসরের মতো চরে খাইতাম আর চরে খাইতাম। প্রবৃত্তিসুলভ সরীসৃপজীবন থাকত আমাদের। ভাবনাহীন ও স্বজ্ঞাচালিত জীবন শেষ হইলে মাটির মধ্যে মিশে যাইতাম পুনরায়। মন্দ কি ছিল সেইটা?
বাস্তবতা হইল জন্তুসুলভ অথবা হুনজাসুলভ জীবনের একটাও যাপন করার সুখ আমাদের কপালে নাই। ঈশ্বর বলি অথবা প্রকৃতি, তাঁরা আমাদেরকে এমনভাবে গড়ছেন যেন আমরা প্রকৃতিবক্ষ হইতে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করি, অতঃপর ভুল করে ফেলছি বুঝে সেখানে ফেরত যাইতে সচেষ্ট হই, এবং ফেরত যাওয়া সম্ভব নয় বুঝে অন্যভাবে জীবনকে সাজাই। কিতাবের কুতুব মিনার দিয়া জীবনকে আমরা বিলক্ষণ সাজাইছি বটে! এমন একখান জীবন যা কিনা ইচ্ছা করলে আমরা এক ফুৎকারে ধ্বংসও করতে পারি। এর থেকে প্রমাণ হয় যিনি আমাদের সৃষ্টি করলেন উনার মনে আমাদের প্রতি দয়ামায়া নাই। আমরা তাঁর ভালোবাসার পাত্র হইতে পারি নাই। আমরা হইতেছি অভিশপ্ত জানোয়ার। খারাপ নজির রাখতে গ্রহে আসছি। আমাদেরকে কেন এভাবে ধরায় পাঠানো হইছে সে-কেবল উনি জানে আর জানে উনার প্রিয় ইবলিশ।
. . .
মাত্র যে-কথাগুলা বললাম সেগুলা কিন্তু বইয়ে গেলে কমবেশি পাওয়া যাবে। কেউ মানুষকে আশরাফুল মাখলুকাত, সবার উপ্রে মানুষ সত্য, তাহার উপ্রে নাই… এসব বলেটলে পাম মারে। মানে নিজেকে নিজে পাম দেয় আর কি? শ্রেষ্ঠ ভাইবা সুখ পাইতে চায়। অন্যদিকে অরেকদল ডেলি তারে কাচে। সার্ফ এক্সেল দিয়া কাচে। কাচতে-কাচতে মনের ঝাল মিটায়। আশাবাদী ও নিরাশাবাদীর মাঝখানে বলদাবাদী ছাড়া দ্বিতীয় কোনো মানুষ আকাশ-পাতাল তালাশ করেও বের করতে পারলাম না!
আমি নিজেকে বলদবাদী সাব্যস্ত করছি আপাতত। এই জায়গা থেকে ফরাসি সিনেকার ফ্রাঁসোয়া ত্রুফোর ফারেনহাইট 451 মুভির বই পোড়োনো সিনটা ইয়াদ হইতেছে। মুভিটা চান্স পাইলে দেখি এখনো। ভালোই লাগে দেখতে। বলদাকিছিমের মানুষ যদি শান্তি পইতে চায় তাইলে দেখা ভালো। সে তখন বুঝতে পারবে, বই না পড়ে উপায় নাই ঠিক আছে, সমাজ তিষ্টাইতে দিবে না, তবে পড়ার পরে সেগুলা জ্বালাইয়া দিতে পারলে ভালো। কোনো প্রত্যাশা না রেখে বই পড়া কঠিন, আর প্রত্যাশা রাখা মানে খামোখা প্যারায় পড়া। পাঠক বই পড়বে যত দ্রুত সম্ভব সে-বই থেকে বের হওয়ার জন্য। বিস্মরণ তারে কিছু পরিমাণে হইলেও বাঁচাইতে পারে। যত বেশি বই ইয়াদ করতে থাকবে তারে আমরা লেখক হইতে দেখব। আর লেখক আদতে গাছবলদা প্রাণী ছাড়া অন্যকিছু না। চিড়িয়াখানায় যারে ভালো মানায়।
. . .
. . .