আল্লার দুনিয়ায় আজিব কিসিম মানুষের অভাব নাই। বিচিত্র তামাশা জন্ম দিতে পটু আদমসুরতের কারণে খোদাসৃষ্ট দুনিয়াকে লা জবাব স্বীকার যাইতে হয়। বিচিত্র তামাশায় ভরপুর আদমসুরত নিজেরে সেখানে আলতামিশ বইলা ভাবে। আলতামিশ মানে হইতেছে এমন রাজা যার হাতে রাজ্য সদা নিরাপদ ও সুরক্ষিত ধরা যাইতে পারে। চ্যাট জিপিটি জানাইতেছেন, আলতামিশ শব্দখানা তুর্কি ইলতুতমিশ শব্দের অপভ্রংশ। দিল্লি সালতানাতের সিংহাসনে বসছিলেন ইলতুতমিশ। তুর্কে সিপাহসালার ও পরে দিল্লি সালতানাতের প্রতিষ্ঠাতা কুতুবউদ্দিন আইবেক সেকালের দাসবাজার থেকে নাবালক ইলতুতমিশকে খরিদ করেন। আইবেকের বিশ্বস্ত গোলাম হিসেবে দায়িত্ব পালনের এক পর্যায়ে সে তাঁকে বিট্রে করে। ঘটনা পরস্পরায় পরে দিল্লি সালতানাতের সংরক্ষক রূপে মসনদে বসেন ইলতুতমিশ ওরফে আলতামিশ।
মঙ্গোলিয়ার গভীর হইতে উঠে আসা চেঙ্গিজ খানের দাপটে তখন সবাই তটস্থ। তাঁকে রুখবে এমন সাধ্য পৃথিবীর কোনো রাজন্যের ছিল না। চেঙ্গিজ খান যদি ভারতবর্ষে হানা দিতেন তাইলে ইলতুতমিশের রক্ষা ছিল না। সৌভাগ্য মানতে হবে, যেসব কার্যকারণ বিবেচনায় নিয়া চেঙ্গিজ খান কোনো দেশ বা রাজ্যকে পদানত করতেন, ভারতবর্ষ সে-তালিকার বাইরে থাকায় দিল্লিপানে উনি ধাওয়া করে নাই। ইলতুতমিশ নিজেও যেচেপড়ে এমন কাণ্ড বাঁধাননি যার জন্য মঙ্গোলীয় দানব ভারতবর্ষে প্রবেশে মরিয়া হবে।
যাই হোক, নিজেকে খোদাসৃষ্ট দুনিয়ার রক্ষক ভাবতে অভ্যস্ত আলতামিশদের তামাশার অন্ত নাই। তাদের মধ্যে একদল আছে যারা আজিব কারবারে লোক হাসাইতে ওস্তাদ। আরেকদলকে দেখা যায় তামাম দুনিয়াকে কাঁদাইতেছে অবিরাম। আলতামিশের একদল আবার কোপা শামছু। গ্যাংনাম স্টাইলে কোপ মারেন বেশুমার। কোপাকুপির ঠেলায় দুনিয়ার বেবাক যা টিকে আছে, সেগুলা সাবাড় হইতে দেরি নাই। বিচিত্র… বড়ো বিচিত্র হে তুমি,- আলতামিশ!
সোজা বাংলায় হাহাকারের সঙ্গে তাল দিয়া হা হা হি হি, রোনাজারির সঙ্গে অট্টহাসি, করতালির সঙ্গে করাঘাত, আদরের সঙ্গে আঘাতের সবটাই আলতামিশে বিদ্যমান। পাশাপাশি কুচকাওয়াজ করে তারা। কুচকাওয়াজের বহর দেখে মাথা ঘুরে খালি! ঠনঠনা মাটি হইতে তৈরি আলতামিশে জান ফুঁকে দেয়ার ক্ষণে আল্লা নিজেও কি ভাবতে পারছিলেন,- কালের গতিতে সৃষ্ট জীব এমন একখান তামেশগিরে পরিণত হবে? তামাশার কতখানি সে নিজে ঘটায় আর কতখানি তার জাতশত্রু ইবলিশ ওরফে খন্নাছের প্রভাবে ঘটতে থাকে… এর কোনো কিনারা করা আজো সম্ভব হয় নাই। ঈসা নবির সাহাবিগণের সুবাদে একথা অনেকে আওরায়,- শয়তানে দুনিয়া চালায়। ডেভিল রুলস দ্য ওয়ার্ল্ড! হইতে পারে। খোদার নিয়মফেরে অথবা ইবলিশের চক্করে তামেশগিরে পরিণত আলতামিশদের তামাশায় কিন্তু বড়োই সৌন্দর্য দেখা যায়। অঘটন ঘটন পটিয়সী বইলা নিজেকে পুলকিত হর্ষে পুকার যাইতে তার একটুও বাধে না।
আলতামিশের মধ্যে একদল আছেন যারা আবার খোদার তৈরি দুনিয়াকে কন্সপিরেসি বা বিরাট ষড়যন্ত্র বইলা ভাবেন। উনাদের ধারণা, জগতে আলতামিশদের বিচরণ সত্য নয়। তারা এখানে থাকে না। তাদের মনে কোনো একভাবে এই বিশ্বাস জন্ম দেওয়া হইছে,- পৃথিবীটা তাদের বাসস্থান;- কথাটি সত্য নয়। পৃথিবীতে নিজের বিচরণ ও বসবাসকে এভাবে ডিনাই করা আজব মনে হইতে পারে, কিন্তু আলতামিশের একদল এই মতে বিশ্বাস করেন। পৃথিবীতে মানুষের বিচরণ ও যাওয়া-আসার কেনোটা রিয়েল না। পুরোটাই মায়া;- অ্যা বিউটিফুল ইল্যুশন হোয়্যার দে আর ইভেনচ্যুয়ালি বিকামিং এন্ড বিলঙ্গিং নাউ।
. . .
সৃষ্টি ও স্রষ্টা, ইহকাল ও পরকাল ইত্যাদি নিয়া আলতামিশদের ভাবনার কুলকিনারা পাওয়া কঠিন। একদল মনে করেন ইহকালই সব। মরলে সবই মাটি। অন্যদল আবার সেকথা মানতে নারাজ। তারা ইহকালকে ভাবেন মুসাফিরখানা আর পরকালকে পার্মানেন্টে। ইহকাল কেন বিভ্রম বা মায়ায় মোড়ানো ইত্যাদি নিয়া দার্শনিক ক্যাচাল এসব চক্করের ফেরে যুগ-যুগ ধরে চলতেছে। কোনোকিছু যেখানে সঠিক বোঝার উপায় নাই সেখানে যা দেখতেছি তার কোনটা সত্যি-সত্যি বাস্তবিক আর কোনটা ভুয়া, তার মীমাংসা কঠিন বৈকি।
এই যেমন সাইন্টোলজি হইতেছে যুগ-যুগ ধরে অবিরত আসতে থাকা ধর্মীয় বিশ্বাসের আরেকখান স্বরূপ। কল্পবিজ্ঞান লেখক রন হাববার্ড মন ও আত্মাকে একত্রে জুড়তে এইটার জন্ম দিয়া বসেন। বেশিদিন আগের ঘটনা নয় কিন্তু। বিগত শতাব্দীর পঞ্চম দশকে ধর্মটি ধরায় ভূমিষ্ট করেন হাববার্ড। উনি সদা নিশ্চিত ছিলেন,- আলতামিশরা হইতেছে অবনাশী জীব। তাদের মরণ নাই, তারা মরতে পারে না। কেন পারে না তার উত্তরে হাববার্ড দুইখান কঠিন যুক্তি প্রদান করছিলেন। প্রথম যুক্তিটি হলো, আলতামিশ তার আসল সুরতে পৃথিবীতে বসবাস করে না। অবিনাশী জীব রূপে ভিনগ্রহে তার জন্ম। সেখানে কালাতীত বিরাজিত সে। আলতামিশ হইতেছে আত্মাধারী জীব। যাদের আত্মা পৃথিবীতে ঘুরতে আসছিল তারা এর ভৌত কাঠামোয় ঢুকতে বাধ্য হয়। পৃথিবীর ভৌত কাঠামোয় আটকা পড়ায় নিজগ্রহে তারা ফেরত যাইতে পারে নাই। কাঠামোর অবক্ষয় না ঘটা পর্যন্ত তাদেরকে তাই অপেক্ষা করতে হইতেছে। অবক্ষয় মানে হইল মরণ। মরণের পর আত্মা মুক্তবিহঙ্গ হয়ে নিজগ্রহে ফেরত যায়, যেখানে সে অবিনশ্বর ছিল এবং আজো তাই আছে।
হাববার্ডের চিন্তা নতুনত্বে ভরপুর এমন নয়। প্রাচীন ধর্ম ও দার্শনিক প্রস্তাবনায় নশ্বর-অবিনশ্বর ইত্যাদি বিষয়ে যত কথা বলা হইছে তার নির্যাস হইতেছে উনার এই নবধর্ম। বিজ্ঞানের নানা অনুষঙ্গে যেখানে উনি ব্যাপক কাজে লাগাইছিলেন। সাইন্টোলজি চার্চ সৃষ্ট ধর্মে প্রায় এক কোটি আলতামিশ ইমান আনছেন এ-পর্যন্ত। সাইন্টোলজিতে একদা মাথা মোড়ানো অ্যাডাম সোসনিক ও মাইক রিন্ডার অবশ্য বছর দুই আগে প্যাট্রিক বেট-ডেভিডের পডকাস্টে হাজির হয়ে হাববার্ডের থিওলোজিকে শয়তানিভরা মিথ্যা মাল হিসেবে ময়লার ঝুড়িতে ফেলতে দ্বিধা করেন নাই। হাববার্ডের নতুনত্ব বলতে এটুকুন,- আলতামিশকে উনি ডিরেক্ট ভিনগ্রহের জীব বইলা স্বীকৃতি দিতেছেন। এমন এক জীব যে কিনা অন্য কারো মুখাপেক্ষী নয়। মনের মুক্তি ঘটলে তবেই পৃথিবীতে আটক কোনো আলতামিশ সেইটা বুঝতে পারে। যাদের ঘটে না তারা অবিদ্যার অধিকারী হয়ে এখানে মূর্খের জীবন কাটায়।
. . .
মানুষ ভিনগ্রহের প্রাণী;- এর স্বপক্ষে কাড়ি-কাড়ি কিতাব লিখছেন এমন আলতামিশের সংখ্যা নেহায়েত কম নয়। কিতাব রচয়িতাদের মধ্যে আপাত সর্বশেষ নাম হইতেছেন ড. এ্যালিস সিলভার। উনার যুক্তি অনুসারে আলতামিশরা পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করে নাই। ভিনগ্রহে উন্নত প্রজাতি ছিল সে। সেখান থেকে তারে নির্বাসিত হইতে হইছিল। পৃথিবীতে আগমন ও বসতি স্থাপনের কোনো ইচ্ছা ও পরিকল্পনা তার ছিল না। তার জন্য এইটা ছিল কারাগার। এ্যালিসের ভাষায় Galactic Jail. শাস্তি ভোগ করার জন্য কয়েক লক্ষ বছর আগে তারে লাত্থি দিয়া পাঠানো হয়। কে পাঠাইলেন সেই ব্যাপারে এ্যালিস অধিক আগে বাড়েন নাই। উনার মতে পৃথিবীতে নির্বাসিত আলতামিশ প্রজাতির আদি বাসস্থান সূর্যের নিকটবর্তী উজ্জ্বল তারকামণ্ডলি বা ‘আলফা সেন্টরাই’র আশেপাশের কোনো গ্রহ হইতে পারে।
আজব দাবির স্বপক্ষে এ্যালিস কিন্তু যুক্তির পসরা সাজাইতে কোনো খামতি রাখেন নাই। বই বাজারে দেদার কাটতেছে দেখে দেশিবিদেশি গণমাধ্যম অনেক প্রতিবেদন ছাপছিল। উনার বইয়ের সারকথা ব্রিটেনের ‘ডেইলি মেইল’ চমৎকারভাবে পাঠকের পাতে পরিবেশন করছিলেন তখন। আগ্রহীরা পড়ে দেখতে পারেন।
. . .
আকার-বিকার বিচিত্র পথে ভাবতে পারার কারণে আলতামিশরা হইতেছে সবচেয়ে আকর্ষণীয় জীব। তাদের মাথায় কত কী যে চলে ভেবে অবাক যাইতে হয়। মাথা অত্যধিক সক্রিয় থাকায় চিত্রবিচিত্র কাণ্ডে কমতি পড়েনি কখনো। তার মধ্যে এইটা বেশ মজার মানতে হবে। আলতামিশের সংখ্যালঘু অংশ ইদানীং এই উপসংহারে উপনীত হইছেন,- মেটার কারিগর মার্ক জাকারবার্গ মানুষ নয়! সে তাহলে কী? উনারা দৃঢ়তার সহিত দাবি করতেছেন টাকার কুমির জাকারবার্গ হলো এলিয়েন! আলতামিশের বেশ ধরে পৃথিবীতে চরে খাইতেছে সে। বিরাট ব্যবসাও এখানে ফেঁদে বসছে এই ব্যাটা এলিয়েন। নিজের চিকনবুদ্ধি দিয়া এমন এক জগতে আলতামিশদের নিয়া যাইতেছে সে, যেখানে প্রবেশ যাইবার কারণে সবাই একদিন জাকারবার্গ নামক এলিয়েনের দাসে পরিণত হবে।
মার্ক জাকারবার্গ এই-যে মেটা নাম দিয়া কোম্পানি চালু করছে, এখন এর উদ্দেশ্য কি? উদ্দেশ্য হইল এমন একখান জগৎ তৈরি করা যেইটা কেউ বাস্তবে দেখব না কিন্তু সেখানে পড়ে থাকবে রাতদিন। আপাতত তারে বায়বীয় বাস্তবতা বইলা আলতামিশরা জানে। পৃথিবী যখন বাসযোগ্য থাকবে না তখন জাকারবার্গের মতো আরো এলিয়েনের হাতে বায়বীয় বাস্তবতা মেটাভার্সে পরিণত হবে। মেটাভার্স হইতেছে এমন এক বিশ্ব যেখানে সবাই বিচরণ করবে তখন।
পৃথিবীর যে-হালত তাতে ওইটা আর বেশিদিন টিকবে না। অদ্য যে-নদীর ধারে বসে কবিতা পড়তেছি, প্রেমিকার লগে খুনসুটিতে বিন্দাস আছি…, নারে ভাই না, ওসব থাকবে না। পৃথিবী দূষিত ও পরিত্যক্ত হওয়ার কারণে পা ফেলার অবস্থায় থাকবে না। আলতামিশদের থাকতে হবে মাটির নিচে সুড়ং তৈরি করে। মাটির উপ্রে টিউবের ভিত্রেও থাকা লাগতে পারে। বং জন হো’র সিনেমায় দেখানো সারকাম নেভিগেশন ট্রেন টাইপের কিছুতে হয়তো তারা জীবন কাটাবে। রুটিরুজি, আহারবিহার, শয়নসঙ্গমের সবটা চলবে সেখানে। এইটা নতুন বাস্তবতা এবং আজকের তুলনায় বায়বীয়। ডিস্টোপিয়ান।
পৃথিবীর কী হবে তখন? সে তখন অ্যান্টিক পিস হয়ে ইতিহাসের পাতায় ঘুমাবে। আলতামিশরা ইতিহাসকে রিকল করবে। হারিয়ে যাওয়া বন, গাছপালা, পাখপাখালিকে মেটাভার্সে তৈয়ার দেখতে পাবে তারা। ইচ্ছা করলে নিজেরাও তৈরি করে নিতে পারবে যেমনটা চাইতেছে, সেরকম একখান দুনিয়া। জীবনানন্দের কবিতায় সকরুণ শঙ্খ চিলের কথা কোনো আলতামিশ হয়তো পাঠ করবে তখন। মেটাভার্স তারে ওই শঙ্খচিল দেখাবে। সে চাইলে নিজেও জীবন বাবুর কবিতায় মুদ্রিত জগতের সবটা মেটাভার্সে সৃষ্টি করে নিতে পারবে। প্রব্লেম হবে না। বনলতা সেনকে নাটোরে জীবিত ও তার চুলে মুখ ডুবিয়ে জীবনবাবুর কবিতা মন চাইলে আওরাতে পারবে যখন ইচ্ছা তখন।
আলতামিশদের ধারণা, জাকারবার্গ অলরেডি মেটাভর্সে ঢুকে গেছে। তার সুরত একটা নয় বরং একাধিক। একটা সুরতে সে হইতেছে আলতামিশ। এই তো কিছুদিন আগে আম্বানির ছেলের বিয়া খাইতে আসছিল ইন্ডিয়ায়। অন্য সুরতে মেটাভার্সে বিরাজিত অ্যাভাটার। আর তিন নাম্বারটা হইতেছে প্রকৃত জাকারবার্গ;- ভিনগ্রহী বা এলিয়েন। তারে ভালো করে খেয়াল করেন, তাইলে বুঝতে পারবেন।
মার্ক জাকারবার্গকে ভিনগ্রহের এজেন্ট ওরফে এলিয়েন বইলা সন্দেহে পতিত আলতামিশদের দাবি মিছা নাও হইতে পারে। খেয়াল করে দেখছি, জাকারবার্গের চলন-বলন, কথা বলার ভাও, তার এক্সপ্রেশন… সবটাই কেমন জানি অন্যরকম! ব্যাটারে আলতামিশ লাগে না। রোবট, এলিয়েন আর মেটাভার্সে সৃষ্ট অ্যাভাটারে মিক্সড কিছুর মতো দেখায়। বিশেষ করে ফেসবুক নিয়া বেশ কিছু গুরুতর অভিযোগের ফান্দে পড়ে মার্কিন জুরিগো জেরায় পড়তে হইছিল তাকে। কোর্ট ট্রায়ালে তার বসার স্টাইল, কথা বলা, মুখের পেশির নড়াচড়ার মধ্যে রোবট-রোবট ভাব ছিল বিলক্ষণ। সেকালের টুইটার তো তারে চিনতেই পারে নাই। রোবট বইলা রায় ঠুকছিল।
মার্ক জাকারবার্গ সত্যি ভিনগ্রহ থেকে বদ মতলবে পৃথিবীতে ঘুরতে আসে নাই তো? ইবলিশের এজেন্ট রূপে কাম করতেছে কি এখানে? স্বয়ং আল্লা তারে এই সুরতে অ্যাক্টিং করতে পাঠাইলেন ভবে? ভেবে মাখা আউলা-ঝাউলা ছিল তখন। ঘটনা যেমন হোক, আলতামিশদের বিচিত্র কারবারের চক্করে পড়ায় নিজের ব্যাপারেই আমি এখন আর নিশ্চিত নই। আমি কি আলতামিশ? আলতামিশের ভেকধারী কোনো ইবলিশ? এলিয়েন? অন্য গ্রহে ছিলাম বা আমার মতো কেউ হয়তো সেখানে আছে, আমার আসল রূপ ধরে মজাসে ঘুরতেছে সেখানে। আমি শালা আটকা পড়ছি এই গ্যালাকটিক জেলখানায়!
. . .
. . .
Thanks for your comment.
Good way of describing, and pleeasant article to get facts
about my presentation subject matter, which i am going to convey in academy. http://Boyarka-Inform.com/