• পোস্ট শোকেস - সাহিত্যবাসর

    আমাদের মনের দরজায় নিরন্তর যে ডোরবেল বাজে — তৈমুর খান

    যে-অনিশ্চয়তা, যে-অন্ধকারচ্ছন্নতা, যে-সংশয় কবিকে ডোরবেল বাজাকে উপেক্ষা করতে বলেছে তা একটা অবরুদ্ধ সময়েরই বিমূঢ় প্রবাহ। আর এই অবরুদ্ধ সময়টি ‘করোনাকাল’। যে সময় লকডাউনে গৃহবন্দী জীবনে মৃত্যুর অপেক্ষাই করছিলেন সমস্ত মানুষ। কিংবা হয়তো জীবনের অপেক্ষাও। তাই নতুন সকালের এবং জীবন উদযাপনের আকাঙ্ক্ষা জেগে উঠেছিল।

  • আসুন ভাবি - পোস্ট শোকেস

    সফিউদ্দিন স্যারের সহজ প্রজ্ঞা

    সংক্ষুব্ধ বাংলাদেশ টু নামক কিমাকার সময়ে এরূপ স্বচ্ছতার সঙ্গে, কাণ্ডজ্ঞানে জারি থেকে জানা কথাগুলো পুনরায় স্মরণ করতে বলা লোকজন সংখ্যায় কমতে-কমতে নেই হওয়ার পথে আছেন। জানি না, আশি-ঊর্ধ্ব বয়সে সফিউদ্দিন আহমদ এসব কতটা কী ভাবতে সক্ষম! তবে তাঁর মতো লোক, যাঁদেরকে আমরা একসময় ভক্তি অথবা ভীষণ ক্লিশে ভেবে পাত্তা দিতে নারাজ থেকেছি,— তাঁরা মনে হচ্ছে কাণ্ডজ্ঞানসম্পন্ন ও মানবিক ছিলেন!

  • নেটালাপ - পোস্ট শোকেস

    মোহাম্মদ আজমের সিলেক্টিভ রিডিং

    আনিসুজ্জামান ও সিকান্দার আবু জাফরকে এই-যে মোহাম্মদ আজম বেছে নিতে আগ্রহী, এর পেছনে কাজ করেছে পঁচাত্তর পরবর্তী ঘাত-প্রতিঘাত থেকে জন্ম নেওয়া উগ্র প্রগতিশীলতা ও একে প্রত্যাখ্যানের বাসনা। যদিও, এই প্রগতিশীলতা তার নিজস্ব ভ্রান্তিসহ কেন ওইসময় জন্ম নিয়েছিল,—সেটি সুচতুরভাবে পাশ কাটিয়ে গেছেন মোহাম্মদ আজম।

  • পোস্ট শোকেস - সাহিত্যবাসর

    ‘নিকট থাকো বৃক্ষ’ — সুমন বনিক

    হোসনে আরা কামালীর কবিতা কখনও যেন শূন্যে আলো ফেলার মতো—নিঃশব্দ অথচ দীপ্তিমান। তিনি নির্মাণ করেন এক গভীর সংবেদনশীল প্রতীকময় কবিতাভুবন।... নিকট থাকো বৃক্ষ এক আত্মগভীর যাত্রাপথের পথিকসঙ্গী। জীবনের পরতে-পরতে জমাটবাঁধা স্মৃতি-বিস্মৃতি, আনন্দ-বেদনা, প্রেম-বিরহ কামালীর কবিতায় ফুটে ওঠে শরত-প্রভাতে শাপলাবিলের মতোই। একজন সমাজচিন্তকের ভাবনারাশিও তাঁর কবিতা-অক্ষরে জ্বলজ্বল করে। পাঠক-হৃদয়ে তারা বুনে দেয় নিকটতার বৃক্ষ। এই বৃক্ষ ছায়া দেয়, বাতাস দেয়, কখনও-বা কাঁপে নিঃশব্দ।

  • নেটালাপ - পোস্ট শোকেস

    আজো পড়া হলো না জিবরান!

    তাঁর কবিতায় নিশ্চয় এমন কোনো দ্রবগুণ রয়েছে, যে-কারণে বিশ্বের শতাধিক ভাষায় দ্য প্রফেট অনূদিত ও পঠিত হয়ে চলেছে! পাশ্চাত্যে মাওলানা রুমির পরে তিনি সম্ভবত সর্বাধিক পঠিত কবি। রুমির চেয়ে বেশিও হতে পারেন। এতো মানুষ যাঁর কবিতা পড়ছেন, সে তো এমনি-এমনি নয়;—নিগূঢ় ব্যঞ্জনা ও বোধির সাক্ষাৎ মিলছে দেখে পাঠ করছেন তাঁকে। এমন কোনো সান্ত্বনা হয়তো কাহলিল জিবরান মানুষকে দিতে পেরেছেন, যেটি প্রেমের দিকে, মানবিক বিভূতির দিকে, চিরন্তন মানবিক আভার দিকে মানুষকে ফেরত আসতে বলে।