• নেটালাপ

    কামুকী ও কামনিস্পৃহ নারী-১

    অজন্তা এবং ইলোরার গুহাচিত্র বা ভাস্কর্যেও আমরা বিচিত্র রতিআসনের পরিচয় পাইতেছি। তার মানে প্রাচীন ভারতবর্ষে নারী এবং পুরুষের কামক্ষুধার বিষয়টি অনেকটাই ওপেন স্পেস ছিল। মহাভারত বা রামায়ণে গেলে সেইটা পাবো। পুরাণের কথা বাদই দিতেছি। সেখানে দেবতাদের কেচ্ছার তো অন্ত নাই। সবটাই রগরগে। দেবতার মানবায়ন-এ নৃসিংহপ্রসাদ ভাদড়ী এসব নিয়া বিস্তর আলোকপাত করছেন একসময়। অন্যরাও করছেন। তো এই জায়গা থেকে কেবল পুরষতন্ত্রের কারণে কি কামক্ষুধার্ত নতুবা কামনিস্পৃহ নারীর ধারণা গড়ে উঠতেছে? নাকি অন্য কারণ আছে সেখানে?

  • নেটালাপ - সাম্প্রতিক

    উচিত কথা কইতে নারি খালেদ মুহিউদ্দীন

    ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ধা করে উনি রায় দিয়া দিলেন। যেন চায়ের স্টলে বসে আমরা যেমন করি আর কি, যারে যা ইচ্ছা বলি, উনি এখন চাস্টলে বসে স্যাটায়ার মারাইতেছেন! প্রথমবার ক্ষমতায় আসা ট্রাম্প আর এবারের ট্রাম্প এক বিষয় নাহে জনাব খালেদ মুহিউদ্দীন। এবার আপনার ওই আস্ত পশ্চিমা গণমাধ্যম তারে সিরিয়াস কেস হিসেবে নিতে বাধ্য হইছে। প্রথমবার যারা তারে জোকার সাজাইছিল এবার তারাই ট্রাম্পের সিগনিফিকেন্সকে নানা মাত্রায় বোঝার তালে আছে।

  • সাহিত্যবাসর

    ওড টু দ্য ক্যাটকিনসফিল্ড

    কাশফুল নয় শুভ্র বা বাদামি। সে এখন মসিবর্ণ। পোড়া কয়লা। কোথায় পালাইতেছে এইসব মসিবর্ণ কাশফুল? মাটির ভিত্রে? শরৎপ্রভায় জ্বলজ্বল আসমানে? বোঝার উপায় নাই। উপায় নাই বোঝার,- জেগে আছি, নাকি ঘুমের ভিত্রে পোড়া কাশবন ধরে হাঁটতে-হাঁটতে সাদা অথবা বাদামি কাশফুল দেখতেছি। ভ্রান্তি ছাড়া কিছু নাই। সাদা কাশবন নাই। আছে নিরোর পোড়া বাঁশি, আর ঠাকুরের একফালি শরৎ অঞ্জলি।

  • আসুন ভাবি - নেটালাপ

    ইহুদি আইন ও সিস্টেমে গ্যাঞ্জাম

    কিন্তু প্রশ্ন সেখানে নয়, প্রশ্ন প্রাচীন ইহুদি সমাজের উদাহরণ এবং যুক্তির দোহাই দিয়ে যে বিচার পদ্ধতির কথা বলা হচ্ছে তা নিয়ে। অতিরিক্ত একমত মানেই যে ভুল বিচার যুক্তিগত দিক থেকে তার ভিত্তি নাই যতক্ষণ না তা প্রমাণিত হয়। ফলে আপাত যৌক্তিকতার মধ্যেই জন্ম হয় অযৌক্তিক আচরণ। ঘটনার বর্ণনা আদতে কিছুই উৎপাদন করে না একটা বিভ্রম ছাড়া। তবে ঘটনার বর্ণনাকে আক্ষরিকভাবে না নিয়ে ভিন্নভাবে পাঠ করা যেতে পারে । মতামত, ভিন্নমত এসব থাকবেই। মার্কসের ভাষায় এই দ্বান্ধিকতাই সময়কে গতিশীল করে, সমাজব্যবস্থা নতুন রূপ পায় ।

  • নেটালাপ - সাম্প্রতিক

    ফারুকীনামায় ৩২ নাম্বার

    যাই হোক, আমাদের দেশে সংস্কৃতিসেবীরা মোটা দাগে মেরুদণ্ডহীন প্রাণী। নিজেকে চালাক ভাবলেও তারা আসলে বোকাসোকা মানুষ এক-একজন। ফারুকী ঐতিহ্যটা ধরে রেখেছেন। উনার ক্রেডিবিলিটি, সত্যি কথা বললে, সরকারে ভিতরে যেমন এখন থাকবে না, আওয়ামীদের কাছে থাকার প্রশ্নই আসে না। এরকম ভঙ্গুর বলেই উনার সিনেমা একটা কোথাও যাইতে চায় কিন্তু শেষতক যাইতে পারে না। উনার ওই লাস্ট ডিফেন্ডারস অব মনোগামি ছবিখানার মতো। এইটাকে উনার বায়োপিক বইলা আমি সাব্যস্ত করিলাম।