কাশ্মীর ও শাংগ্রিলার মতো স্থানবিবরণী ছুঁয়ে যাচ্ছে তারা, এবং এখন একে অবাস্তব ও উদ্ভট ভাবতে শ্রোতাকে বাধ্য করছে একপ্রকার! হিমালয় উপত্যকার একাংশ জুড়ে ছড়ানো কাশ্মীরে বরফঝড় হয় ঠিক আছে,—ধূলিঝড়েরর খবর অজানা! মরক্কোয় বরং সেটি স্বাভাবিক ঘটনা। গানের কথায় ছোকরাদল মরক্কোকে অবলীলায় পাঠিয়ে দিচ্ছে কাশ্মীর! অন্যদিকে তিব্বতে নাকি শাংগ্রিলা নামে এক স্থান থাকতে পারে বলে অনেকে মত দিয়ে থাকেন। বাস্তবে তার সাক্ষাৎ ইয়েতিমানবের মতো বিমূর্ত অতিকল্পনায় ভরপুর। ছোকরাদল গানের ভাঁজে শাংগ্রিলাকে রেখেছে গোপন।
-
-
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, যার কোনো মন নাই বইলা আমরা বুঝতেছি এবং গাধার মতো খাটানো যাইতেছে ভেবে খুশি আছি,- মার্ভিন মিনস্কি তাতে জল ঢেলে নিদান হাঁকছেন,- মনহীন উপাদান যদি মানবমস্তিষ্কে মনকে সক্রিয় করতে পারে, তাহলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে অনুরূপ আইডিয়ার সাহায্যে মন উপহার দেওয়া সম্ভব।... মানুষ মাত্রই ভুল। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা অবশ্য এখনো যথেষ্ট নির্ভুল। আগামীতে এই ছবিখানা থাকবে না। আমাদের মতো ফট করে বলে বসবে : টু এরর ইজ এআই ম্যান। ভুল তোমার হয়, আমিও করছি নাহয়। এর জন্য চেতো ক্যান। খামোশ থাকো। কারেক্ট করতেছি নিজেকে।
-
মানবগ্রহ আগামীতে যেদিকপানে ধাবিত হইতেছে সেখানে যন্ত্রমানব ও বনিআদমে ব্যবধান ক্রমশ ক্ষীণ হইতে থাকবে। যন্ত্রমানবের নিজ পন্থায় বনিআদমের মতো অনুভূতিশীল প্রাণী রূপে বিবর্তিত হওয়ার সম্ভাবনা নিয়া গবেষণা অনেকদূর আগাইছে। অন্যদিকে যন্ত্রমানব ও বনিআদমে কীভাবে ইন্টারচেঞ্জ ঘটানো পসিবল… ইত্যাদি নিয়াও দার্শনিক, বৈজ্ঞানিক, সাহিত্যিক চিন্তার আদানপ্রদান উন্নত বিশ্বে থেমে নাই। তো সব মিলিয়ে এক হইতে দেড় দশকের মধ্যে ট্রান্সহিউম্যান বড়ো আকারে পাবলিক ডিসকোর্সে ঝড় তুলবে।... প্রযুক্তির নয়া তরঙ্গ ও তাকে ঘিরে সৃষ্ট রাজনৈতিক বাস্তবতায় মোল্লা আর বিলা ইউনূস নিয়া সৃষ্ট ক্যাচালে লিপ্ত বাঙালি বেশিদিন জারি থাকতে পারবেন না। উন্নত বিশ্বে দেখা দেওয়া তরঙ্গে ভেসে যাওয়ার সম্ভাবনা নজদিক হবে তখন।