অ্যান্ড্রু টেট হইতে সিলেটি ফাইভপিলারস... এনারা সকলেই পুঁজিবাদী বিকারে মোড়ানো সভ্যতায় নতুন উপজাত। তাদেরকে যারা তৈরি করে তারা হইতেছে আসল খেলোয়াড়। এখন তারা ম্যাট্রিক্স ছবির মরফিউস নাকি এজেন্ট স্মিথ তার কিনারা করা কঠিন। সহজ হলো এইটা ভেবে নেওয়া,- বাস্তবতা হইতেছে বিভ্রম। আমরা সবাই হয় লাল বড়ি নয়তো নীল বড়ি সমানে গিলতেছি। যে-বড়ি গিলি না কেন, একটা-না-একটা ম্যাট্রিক্সে নিজেকে বন্দি রাখতে আমরা বাধ্য। সেখানে ঢোকার পর যা দেখানো হয় বা হইতেছে... আমাদের জন্য সেইটা হলো বাস্তব! বাকিটা পুরাই অলীক।
-
-
গত পনেরো বছর সাহিত্য মারানোর নামে যত কাগজ খর্চা হইছে তার পুরাটাই ছিল অপচয়। ফি বচ্ছর একুশের বারোয়ারি বইমেলায় উৎপাদিত টন-টন কিতাবের সিংহভাগকে গার্বেজ হিসেবে ভাগাড়ে নিক্ষেপ করা যাইতে পারে।... এখন তাহলে থাকতেছে কী? থাকতেছে অতিকায় দেখতে এক উত্তেজনা। উত্তেজনার আবেশে ফ্যাসিবাদ বা ফ্যাসিস্ট আদতে কী জিনিস… ইত্যাদি গভীরচোখে বীক্ষণের পরিবর্তে বেহুদা লম্পজম্প সার হইতেছে কেবল। থাকতেছে গেলো পনেরো বছরে নেতিয়ে যাওয়া শিশ্নকে খাড়া করার কসরত। ... হাসিনা আমলে যেমন তাদের ভূমিকা শিশ্নপরায়ণ ছিল, ইউনূস আমলেও তাই। যারপরনাই ওই ড. ইউনূসকে নিয়া রোদ্দুর রায়ের খিস্তিভরা সার্কাজমে উগড়ে দেওয়া সংক্ষোভটাই প্রকট হইতে থাকে। যেইটা প্রকারান্তরে আমাদের কবিলেখকদের গালে চপেটাঘাতই বটে।