এরশাদকে নিয়ে প্রশ্নটি অগত্যা তোলাই যায়,—তিনি কি একালের অনেক শাসকের মতো কর্তৃত্ববাদী? কর্তৃত্ববাদের নতুন যে-স্বরূপ বাংলাদেশসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশে আমরা কমবেশি ব্যাপক হতে দেখছি, এখন এর সঙ্গে তাঁর আমলে দেখা দেওয়া কর্তৃত্ববাদকে অভিন্ন ভাবা কি সম্ভব? ক্ষমতা ও রাজনৈতিক অস্তিত্বের প্রশ্নে বিরোধীকে দমনের অপকৌশল আর নিজের কর্তৃত্ব নিরঙ্কুশ করতে তাকে নিস্তেজ করে ফেলার মধ্যে ব্যবধান রয়েছে। এরশাদকে এদিক থেকে যে-পরিমাণ কৌতুককর দেখায়, সমপরিমাণ আগ্রাসী তিনি হতে পেরেছিলেন কি?
-
-
বস ওরফে মাতবরকে পেছন দিয়া দাঁড়ানো নারীর কারবার আরো ইন্টারেস্টিং। অ্যালান রেড্ডি সূক্ষ্ম পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে রায় ঠুকছেন,- নারীটি ঝুঁকিপূর্ণ কাজে লিপ্ত। তার হাতে পাথরের টুকরা। উরুদেশ দিয়া রক্ত ঝরতেছে। কেন ঝরতেছে সেইটা অনুমান করা দুঃসাধ্য। ওইসময় কী ঘটছিল তার কিছুই আমাদের পক্ষে জানা সম্ভব না। আগুন জ্বালাইতে না পারায় মাতবর হয়তো পুরুষটির সঙ্গে নারীকেও ঝাড়ছেন একচোট। মনের ঝাল মিটাইতে পাথরের টুকরা নিজ উরুতে ঘঁষে আগুন জ্বালানোর তালে আছে সে। নারী চিরকালের জেদি হাসিনা! এই ঘটনায় তা পুনরায় প্রমাণিত। মনের খেদ জুড়াইতে নিজেকে জখম করতেসে খামোখা।
-
সিরাজুল আলম খানদের মতো শত হাজার যুবা তখন ফিকশন থেকে রিয়েলিটিতে আছাড় খেয়ে পড়ছিলেন। গন্তব্যহীন অনিশ্চয়তা ছিল নতুন বাস্তবতা। খান আতা সেখান থেকে তাদেরকে ফিরতে বলছিলেন। উনার এই আহবানকে আমরা নিতে পারিনি। তার বদলে ট্যাগিং দিচ্ছি উনাকে...! খান আতা রাজাকার! রাজাকার যদি হয়েও থাকেন তাঁর প্রশ্নটি তো ভ্যালিড ছিল। আমরা সেটি শুনতে ইচ্ছুক নই বা ছিলাম না কখনো। শালপ্রাংশু মুজিব স্বয়ং অনেককিছু কানে তোলার অবস্থায় ছিলেন না। শেখ হাসিনার ক্ষেত্রে তো প্রশ্নই উঠছে না। বিগত তেপ্পান্ন বছরে রিয়েলিটির মধ্যে নতুন রিয়েলিটি এভাবে জন্ম নিয়েছে।