LGBTQ-র ছাতার নিচে থাকা কুইয়ার হইতেছে এমন লোক যে কিনা নিজের যৌনঅস্তিত্বের ব্যাপারে ঘোরতর সন্দিহান। এখান থেকে একজন কুইয়ারের ঝামেলা শুরু হয়। উভকামী, নারী বা পুরুষ সমকামী অথবা হিজড়ার মতো দ্বৈত যৌনসত্তায় নিজের আত্মপরিচয় নিয়া সে পেরেশান হইতে থাকে। তার মনে তখন এমনসব ফ্যান্টাসি প্রকট হয়, বাস্তবতাকে ইগনোর যাইতে সেগুলাকে সে প্রয়োগ করে। সৌরভ রায় তাঁর রচনায় যেসব আর্টপিস সংযুক্ত করছেন, সেগুলোকে এখন যদি আমলে নেই তাহলে বিষয়টি আমরা ধরতে পারব। আমার ধারণা,- সামনে যে-যুগ আসতেছে সেখানে LGBTQ বইলা কোনো ছাতার অস্তিত্ব থাকবে না। পুরোটাকে কুইয়ার নামক ছাতার নিচে সমাজবিজ্ঞানীরা গোনায় ধরতে বাধ্য হবেন। উনাদের বর্গীকরণে অনেককিছু এখনো মিসিং।
-
-
বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে যুক্তি বিরচনে সিদ্ধহস্ত স্টিভেন পিঙ্কার সহিংসতা হ্রাস পাওয়ার নেপথ্যে মানবমস্তিষ্কে যুক্তিনিষ্ঠতার বিকাশ ও অগ্রগতিকে গুরুত্বপূর্ণ সূচক হিসেবে কিতাবে হাজির করছেন। উনার মতে, দাসপ্রথা, নারীকে অবরুদ্ধ রাখা ও বিচিত্র তরিকায় শারীরিক-মানসিক নিগ্রহ, শিশুশ্রম ও নির্যাতন, বাকস্বাধীনতায় আগল তোলা ইত্যাদি ঘটনাকে কেন্দ্র করে সুদূর অতীত থেকে একশো বছর আগেও মানবসমাজ যে-পরিমাণ বীভৎস ছিল... সময়ের সঙ্গে এগুলোকে মোকাবিলার পন্থায় তারা অনেকবেশি বিবেচক ও সমঝোতাপ্রবণ হইতে পারছেন।
-
ক্ষমতা দূর হইতে সুন্দর,- নিকটে গেলে ‘প্রকৃত সারস উড়ে যায়।’ অন্যদিকে প্রতিরোধ ভীষণ সুন্দর, কিন্তু সে যখন প্রকৃতির নিয়মে ক্ষমতায় রূপান্তরিত হয়, তখন তারে পুনরায় প্রতিরোধ করা ছাড়া উপায় থাকে না। ভেবে দেখলে ক্ষমতা ও প্রতিরোধ একই সত্তার দুইখান ভিন্ন রূপ। এখন ক্ষমতা হইতে প্রতিরোধ আসে, নাকি প্রতিরোধ হইতে ক্ষমতা জন্ম নেয়, ওইটা অনেকটা ডিম আগে না মুরগি আগের মতো কঠিন প্যারাডক্স।