• আসুন ভাবি

    বিশ্বাসের উৎস – পাঠ-সংযোজন

    বিশ্বাসী মানেন বা না-মানেন, ধর্মীয় বিশ্বাসের সঙ্গে মিথ প্রসূত বিষয়াদির সংযোগ নিবিড়। মিথ নিজে হইতেছে এমন একখান কারণ যেইটা প্রকারান্তরে ধর্মীয় বিশ্বাসের জন্মকারণ। আবার মিথ কিন্তু Indoctrination বা ভাবাদর্শ বা মতাদর্শে অতটা ঘনীভূত না। যারপরনাই ধর্মীয় বিশ্বাস যখন পরিষ্কার ভাবাদর্শ বা মতাদর্শ-এ পরিণত হয় তখন সেইটা আবার তার গা থেকে সকল মিথকে অপসারিত করতে চায়। অলৌকিককে সে তখন Etiology বা কারণবাদের এমন এক প্রস্তাবনায় একীভূত করে, যার আভাস ভারতীয় দর্শনে গেলে আপনি ভালোমতন পাইতেছেন। ... জসোয়া দি পাওলোর গোছানো আলোচনায় এই দিকটি আরো উদাহরণ সহকারে আসলে পাঠকের উপকার হইত।

  • আসুন ভাবি

    বিশ্বাসের উৎস

    ক্যাথলিকরা যেমন ভাবে,- তাদের শিশুকে ক্যাথলিক বিশ্বাসে দীক্ষিত করায় তারা সত্যের নিকটবর্তী হয়েছে। সেই তারাই আবার ভাবে,- পৃথিবীতে আরো যত শিশু রয়েছে, যারা ইসলাম অথবা নাস্তিক বা অন্য মতাদর্শের অধীন,- তারা মিথ্যার দিকে ধাবিত হচ্ছে। আপনি যে-ধর্মে বিশ্বাস করুন-না-কেন, আপনাকে ভাবতে হচ্ছে,- অন্য মতাদর্শে বিশ্বাসী বিরাট সংখ্যক মানুষ মিথ্যার অনুসারী। এবং আপনি যখন আপনার বিশ্বাসকে মতাদর্শ বহন করছে এরকম পণ্য হিসেবে দেখেন, তখন এই স্বীকৃতি আপনাকে সত্য হিসেবে আমলে নেওয়ার ঘটনায় বাকিদের আস্থা হ্রাস পাওয়ার কারণ হয়ে ওঠে।