• নেটালাপ

    স্থানিক না বৈশ্বিক – গোল ও গোলকধাঁধা

    ফরহাদ মজহার যেমন ইসলাম সম্পর্কিত ভাবনাকে পাঠ করতে গিয়ে মৌলিক করে তোলেন, তিনি তখন বিবেচনা করেন না চিন্তাপদ্ধতি কখনো দানব হয়ে উঠতে পারে। আমরা দেখেছি সেই দানবকে রুখতে গিয়ে তাকে আবার মাঠে নামতে হয়েছে। সলিমুল্লাহ খানের অসংখ্য বক্তব্য আছে কওমি মাদ্রাসা কেন্দ্রিক, তিনি সেটি গ্লোরিফাই করেন, প্রতিষ্ঠা দিতে গিয়ে তর্ক করেন। এই যে বুদ্ধিজীবীতার বিশৃঙ্গলা, ফলত এইসব প্রভাবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলি দিনে দিনে মাদ্রাসায় পরিণত হয়। নানাবিধ ন্যারোটিভ জন্ম নেয়। কোনটি প্রগতি আর কোনটা পশ্চাদপদ তা আর ঠাহর করা যায় না।

  • নেটালাপ

    খেলাফত, রুহানিয়াত ও নিখোঁজ শিরদাঁড়া

    সংস্কৃতির স্বাভাবিক বিনিময়ের প্রথাকে আমলে না নিয়ে আকিদার প্রশ্নটিকে খেলাফতওয়ালারা সামনে নিয়ে এসেছেন। এমনভাবে নিয়ে এসেছেন, শুনে মনে হবে,- কেবল উনারা সঠিক আর বাকিরা ভ্রান্ত। দল-উপদলে ভাগাভাগি ও কামড়া-কামড়ি সমগ্র মুসলিম বিশ্বে কমন ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। খেলাফতের ছাতায় সবাইকে নিয়ে আসা গেলেই কি এসব মিটে যাবে? খেলাফতের কারণে ধর্মের প্রসার হয়তো দ্রুত ঘটবে, কিন্তু মূল লক্ষ্য থেকে সে আরো দূরে সরে যেতে থাকবে। এই হিসাবে প্রতিটি ধর্ম তার কোর ফিলোসফির সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

  • আসুন ভাবি - নেটালাপ

    ফরহাদ মজহার – জাহেরি না বাতেনি

    ফরহাদ মজহারের বিষয়টিকে আমার সাম্রাজ্যবাদের গোপন আঁতাত বলে মনে হয় না। তিনি তাঁর ব্যক্তিবিশ্বাসের স্থান থেকেই হয়তো ইসলামি বিপ্লবের আশায় আছেন, যেমন এককালে সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের স্বপ্ন দেখতেন। এটি স্ববিরোধীতা। বামদলগুলো ফরহাদ মজহারের কাছে থেকে কি নিতে পেরেছে জানি না, কিন্তু ইসলামি সংগঠনগুলো জঙ্গীবাদ লালনের নৈতিক শক্তি লাভ করবে তাতে সন্দেহ নেই। ...