তাহলে কী লিখবে সে? সে লিখবে গাঢ় অন্ধকারে হায়নার চিৎকার! তার কলম ফেটে বের হবে একটি জনপদ ও জনগণের হাবা হওয়ার আজিব তামাশা! তামাশাটি তাকে কষ্ট দেবে। বেদনায় নীল হবে সে। তার হয়তো মনে হবে, জাগো বাহে কোনঠে সবাই লেখার মতো আওয়াজ চব্বিশে নেই। গাঢ় অমাবস্যা ছাড়া কোনো বাক্য লেখা শক্ত।
-
-
সৌমিত্রর মধ্যে বিপ্লবী বিকার গেড়ে বসতে পারেনি। পল্টি নেওয়ার মতলব সেখানে ছিল না। তার নিজস্ব রাজনৈতিক বোধ তাতে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। বাঙালি জাতিসত্তাকে সে এতদিন যেভাবে জেনেবুঝে এসেছে, হৃদয়ে লালন-পালন ও আশাকারা দিয়ে গেছে সমানে, এবং এভাবে একটি সমীকরণে অকাট্য হয়েছে এতদিনে,—এখন সেটি ঝেড়ে ফেলতে যেসব যুক্তি ও বয়ান হাজির করা হচ্ছিল, সেগুলোকে ভ্যালিড ধরে নেওয়া সৌমিত্রর পোষায়নি। সুতরাং লাল বিপ্লবে সক্রিয় মতলবি ফ্যাসিবাদের চাষাবাদে যোগ দেওয়ার পরিবর্তে নিজের বিশ্বাসে অটল থেকেছে কবি।