• নেটালাপ

    কামুকী ও কামনিস্পৃহ নারী-২

    নারীকে আমরা ধরিত্রী বলি। তিনি ধারণ এবং পালন করেন। এখন ভারতীয় অর্ধনারীশ্বর কিন্তু ন্যায্যতার উপ্রে সৃষ্টি হইছিল। শিব ও পার্বতী একে অন্যে মিশে আছেন, কারণ দুইয়ের মিলন ছাড়া সৃষ্টি হবে না। প্রজনন নাহি সম্ভব। পুরাণে এইটা সমতা না বরং ন্যায্যতার আভাস দিয়া যায়। আমরা সমতায় গিয়া সব ঘাপলা করে ফেলতেছি। নারীবাদের সমস্যা এখানে;- এইটা আমার ব্যক্তিগত অভিমত। এখন এর যৌক্তিকতা নিয়া তর্ক চলতে পারে। 

  • নেটালাপ

    কামুকী ও কামনিস্পৃহ নারী-১

    অজন্তা এবং ইলোরার গুহাচিত্র বা ভাস্কর্যেও আমরা বিচিত্র রতিআসনের পরিচয় পাইতেছি। তার মানে প্রাচীন ভারতবর্ষে নারী এবং পুরুষের কামক্ষুধার বিষয়টি অনেকটাই ওপেন স্পেস ছিল। মহাভারত বা রামায়ণে গেলে সেইটা পাবো। পুরাণের কথা বাদই দিতেছি। সেখানে দেবতাদের কেচ্ছার তো অন্ত নাই। সবটাই রগরগে। দেবতার মানবায়ন-এ নৃসিংহপ্রসাদ ভাদড়ী এসব নিয়া বিস্তর আলোকপাত করছেন একসময়। অন্যরাও করছেন। তো এই জায়গা থেকে কেবল পুরষতন্ত্রের কারণে কি কামক্ষুধার্ত নতুবা কামনিস্পৃহ নারীর ধারণা গড়ে উঠতেছে? নাকি অন্য কারণ আছে সেখানে?

  • সাম্প্রতিক

    জাগো নারী জাগো বহ্নিশিখা

    দেশে নারীবাদ এখনো দ্য সেকেন্ড সেক্স-এর বৃত্তে ঘুরছে। নারী যখন পুরুষকে আদার বা অপর হিসেবে দেখেন, তখন তিনি বেগম রোকেয়ায় ফেরত যেতে থাকেন। পুরুষরা যেমন নারীকে ডিফাইন করে ও করতে চায়… ফেরত যাওয়াটা সেখানে প্রকারান্তরে ওই পুরুষবাদী বয়ানের প্রতিধ্বনি করে সেখানে। এতে দুই পক্ষে লড়াই বাঁধে বটে, কিন্তু দিনশেষে নারী হয়ে ওঠে বিকল্প পুরুষ। নারীবাদ কি আধিপত্যবাদ চায়, নাকি চায় অংশীদারিত্ব ও ন্যায্যতা? অংশীদার হিসেবে উভয়ের মধ্যে আমরা সমতা চাইব, নাকি ন্যায্যতা? অর্থাৎ ইকুইটি ও ইকুয়ালিটির মধ্যে ফয়সালা এখনো বাকি। নারীদের মুখ থেকে এই ব্যাপারে আমরা কথা শুনতে চাই। ব্যাপকভাবে…।