গত পনেরো বছর সাহিত্যের ভাষা ও শিল্পকুশলতা কাজে লাগিয়ে সার্কাজমে গমনের সাহস কবিলেখক সমাজে প্রবল হইতে দেখি নাই। উনারা বিস্তর অংবংছং লিখতেছিলেন। তার মধ্যে না ছিল ধার,- না গভীরতা। বিগত ও চলমান সময়কে বিচিত্র মাত্রায় টের পাওয়ার উপায় বাংলাদেশের বিজ্ঞ কবিলেখক বিরচিত সাহিত্যে বড়ো আকারে পাইছি বইলা একিন হয় না। রাডারে ধরা পড়বে এরকম কিছু কি সত্যি তারা পয়দা করতে পারছেন গেণ পনেরা বছর? উনাদের সাহিত্যিক তৎপরতায় না ছিল রস, না মিলতেছে গায়ে জ্বালা ধরানো পরিহাসমাখা হুল,- না পাওয়া যাইতেছে গভীর কোনো সংবেদ। কী মিলতেছে সেকথা ভেবে টাসকি খাইতেছি এখন।
-
-
সেলিম রেজা নিউটন ততক্ষণে ছাবালের ন্যায় বিচলিত মাথা নেড়ে বলতে থাকেন,- আমারে বুঝাইয়া লাভ নাই বুঝছেন! আপনারা নিজেই বোঝেন না কী বুঝাইতে আসছেন আমারে! মাঝখান দিয়া আমার বুঝটারে খালি আউলা করে দিতেছেন সবাই। কথা ফাইনাল,- মাহফুজের মধ্যে ফিদেল ও চে পুনরায় দেহধারণ করছে। বিপ্লব পুনর্জন্ম লাভ করছে। বাকিরা হতাশ ভঙ্গিতে শ্রাগ করিলে ফরহাদ মজহার ফট করে জিগান,- হাসিনার পদত্যাগপত্র আপনারা দেখছেন কেউ? উনারা মাথা নেড়ে ‘না’ জানাইলে মজহার বলতে থাকেন,- এভাবে হবে না। চলেন ড. ইউনূসের কাছে যাই। ঝামেলা উনি তৈরি করছে। উনাকে বলতে হবে মাহফুজ কেন ও কী কারণে মাস্টারমাইন্ড। আমরা কী দুধভাত?