চেতনার গহিনে জন্ম নিতে থাকা বোধকে কখনো ভাষায় রূপান্তরিত ও প্রকাশ করা যায় না। ভাষা ভুল করে বাস্তবতাকে সেখানে প্রতিস্থাপন করতে যায়। মন এমন এক প্রান্তরে এসে ঠেকেছে, সেখানে কথা আর মুখের সঙ্গী নয়। মুখ দিয়ে যেসব কথার ফুলকি ছুটছে, তার সঙ্গে চেতনার গভীরতলে গুম কথার সংযোগ ভেঙে পড়েছে। যার ফলে প্রকাশিত কথাগুলোকে বাস্তবে ঘটতে থাকা বিরামহীন বিনোদনের যমজ দেখে পাঠক। মানুষ ভুলতে চাইছে এই সত্য যে,—যা সে ভাবে ও বলতে উতলা বোধ করে, একে প্রকাশ করার ভাষা তার করায়ত্ত নয়।
-
-
গত পনেরো বছর সাহিত্যের ভাষা ও শিল্পকুশলতা কাজে লাগিয়ে সার্কাজমে গমনের সাহস কবিলেখক সমাজে প্রবল হইতে দেখি নাই। উনারা বিস্তর অংবংছং লিখতেছিলেন। তার মধ্যে না ছিল ধার,- না গভীরতা। বিগত ও চলমান সময়কে বিচিত্র মাত্রায় টের পাওয়ার উপায় বাংলাদেশের বিজ্ঞ কবিলেখক বিরচিত সাহিত্যে বড়ো আকারে পাইছি বইলা একিন হয় না। রাডারে ধরা পড়বে এরকম কিছু কি সত্যি তারা পয়দা করতে পারছেন গেণ পনেরা বছর? উনাদের সাহিত্যিক তৎপরতায় না ছিল রস, না মিলতেছে গায়ে জ্বালা ধরানো পরিহাসমাখা হুল,- না পাওয়া যাইতেছে গভীর কোনো সংবেদ। কী মিলতেছে সেকথা ভেবে টাসকি খাইতেছি এখন।