জামায়াতে ইসলামী যে-ধারায় রাজনীতি করে সেটি কখনো স্বস্তিকির ছিল না। আজকে বা আগামীতেও এই রাজনীতিকে স্বস্তিকর ভাবা সম্ভব নয়। ধর্মীয় উগ্রবাদের চাষাবাদে বহাল থেকে ক্ষমতাচর্চার রাজনীতি শুভ হতে পারে না। জামায়াত গণতন্ত্রের কথা বলে কিন্তু তাদের রাজনৈতিক কনটেক্সেট বিবেচনায় সেটি বিশ্বাসযোগ্য হয়ে ওঠে না। এমন এক শাসন কায়েম করা তাদের মৌল উদ্দেশ্য যেটি যুগানুকূল নয়। ইরানের মতো বিপ্লবী রাষ্ট্র গঠন ও অনুরূপ কোনো শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠাই তাদের লক্ষ্য। এখন ইরান কি ইসলামি রাষ্ট্র হিসেবে ভালো অবস্থায় আছে? বিশ্বে এই মুহূর্তে খোমেনিছকে শাসিত রাষ্ট্রের যুগান্তকারী কেনো অবদান কি আমরা দৃশ্যমান দেখছি?
-
-
মিশরের মতো বাংলাদেশেও মার্কিনছকে সম্পাদিত রঙিন বিপ্লবের মধ্য দিয়া উনাদের এই আত্মপ্রকাশকে তাই অভিনন্দন। ডিয়ার ওয়ারিওয়র্স, ওয়েলকাম... ওয়েলকাম ফর দ্য হ্যাপি রিটার্ন। ইউ পিপল প্রুভ দ্যাট শিবির ক্যান নেভার ডাই। শিবির কখনো মরে না। সে মারা গেলে মানুষ থাকবে না ধরায়, যেহেতু মানুষ মূলতই শিবির। তো নিনজা টেকনিকের পয়লা কদমে জামায়াতকে আওয়ামীরা অনুসরণ করতে পারেন। ... রাজনীতি নোংরা খেলা। সকল কালে নোংরা ছিল, নোংরা আছে, নোংরা থাকবে। সুতরাং নোংরা গায়ে মাখতে লীগের দ্বিধা করার প্রয়োজন নাই।
-
জুলাই আন্দোলনের মুখ্য এজেন্ডাগুলার মধ্যে রাজাকার জিকিরকে লেজিটিমেসি দেওয়ার এজেন্ডাকে সবচেয়ে সিগনিফিকেন্ট বইলা ধরা যাইতে পারে। একাত্তরের পর হইতে যে-ছাপ্পা উনাদের পিঠে অকাট্য ছিল, এখন সেইটা মুছে দেওয়ার উপলক্ষ তারা পাইতেছেন। কালক্রমে বিহারি কমিউনিটি হইতে উঠে আসা বুদ্ধিজীবী ফাহাম আবদুস সালামের মতো একাত্তর সনের মরণপণ জনযুদ্ধকে বিগ স্ক্যাম ও চব্বিশকে প্রকৃত মুক্তিযুদ্ধ বা স্বাধীনতা বইলা আবাল জাতির মগজে পুশ করতে অসুবিধা হবে না। ব্যাপার না, উনাদের সেবা দিতে তৎপর ব্রাত্য রাইসু তো বলেই ফেলছেন,- ফ্যাক্ট কোনো বিষয় না, ন্যারেটিভ বা বয়ান হইতেছে আসল। আপনি কীভাবে ন্যারেটিভ তৈয়ার করতেছেন তার উপ্রে ইতিহাস আপনারে গোনায় ধরবে।