গানের কথায় এই-যে সকল দুঃখ-সুখকে ত্বকের গভীরে রেখে দেওয়ার কথা আওরাচ্ছেন পল ম্যাককার্টনি, সেটি বিটলস-এর প্রায় সকল গানে অল্পবিস্তর বিদ্যমান। স্মৃতি হচ্ছে এমন সামগ্রী, যেটি মানুষকে অনুভূতশীল প্রাণী করে তোলে। হেই জুড-এ যারপরনাই জন লেনন ও সিনথিয়ার রসায়নকে ধরে রাখার বার্তা পল আসলে লেননপুত্র জুলিয়ানকে দিচ্ছেন। তারপর বলছেন আসল কথাখান : make it better.
-
-
গানের মতো প্রচণ্ড সৃষ্টিশীল যজ্ঞে মানুষকে টেক্কা দিতে যন্ত্রের অ্যালগরিদম সক্ষমতা অবিশ্বাস্য মাত্রায় পৌঁছাতে হবে। তখনো দেখা যাবে,—মানুষ নতুন আঙ্গিক খুঁজে নিচ্ছে। এমনকি এআই অ্যাপসকে সহায়ক রূপে কাজে লাগিয়ে নতুন মাত্রা নিয়ে আসবে গানে। মানবীয় অনুভূতির বৈচিত্র্য ও নতুন পরিস্থিতি মোকাবিলায় সেরিব্রাল কর্টেক্সের সক্ষমতা এক্ষেত্রে মানুষের আয়ুধ হতে থাকবে।
-
বায়বীয় এক চরিত্রকে এভাবে সমাজমাধ্যমে রাতারাতি ছড়িয়ে দেওয়ার খেলাটি কেন ধরতে পারলেন না সেকথা ভেবে নিজের ওপর রাগ হচ্ছে অনেকের! ধোঁকা খেয়ে হাবা হাসমত বনে যাওয়ার জেরে উঠেছে নতুন বিতর্ক। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যদি এই পর্যায়ে চলে যায়, তাহলে মানুষের কী হবে? সৃষ্টিশীলতা বলে কিছুই কি থাকবে না তার হাতে? সব কি একাই খেয়ে নেবে এআই দানব? অনেকে শাপশাপন্ত করছেন। অনেকে আবার সপক্ষে যুক্তি দিচ্ছেন বেশ।
-
নতুন শ্রমবিন্যাস কাজেই সামনে অনিবার্য বলে মত ঠুকছেন তাঁরা। ম্যানাসের মধ্য দিয়ে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিজেকে হালনাগাদ করতে সক্ষম প্রযুক্তি, অর্থাৎ সেল্ফ অটোমেশনের নয়া দিগন্তে পা রাখবে বিশ্ব। মানব প্রজাতির জন্য যেটি প্রতিদ্বন্দ্বীতায় পূর্ণ এক বিশ্বের ছবি তুলে ধরছে। যন্ত্রে সচেতন মন সৃষ্টির যে-নিদান মার্ভিন মিনস্কি তাঁর The Society of Mind বইয়ে দিয়েছিলেন, আগামী বিশ্ব কি তাহলে সেদিকে পা বাড়াচ্ছে? প্রশ্নটি উঠতে শুরু করেছে ইতোমধ্যে।
-
জেডি ভান্স বোঝাই যাচ্ছে,- এসব মারপ্যাঁচ মাথায় রাখছেন এখানে। পাশাপাশি চীন অথবা ভারতের মতো রাষ্ট্র নৈতিক ও নিরাপদ প্রযুক্তির কথা বলে যেসব বিধান প্রণয়ন করবে বা করতে পারে সেখানে একচ্ছত্রবাদের সম্ভাবনা থাকছে। থাকার সম্ভাবনা অনুমান করা বোধহয় অসংগত নয় এক্ষেত্রে। ভোটের রাজনীতিতে মোদি হিন্দুত্ববাদকে অস্ত্র হিসেবে বরাবর ব্যবহার করে আসছেন। বিরোধীরা যেন বেশি চড়াও না হতে পারে সেজন্য নৈতিকতার ছলে সিকিউরিট অ্যাক্টে ক্ষতিকর নিয়ন্ত্রণ ভারত আরোপ করবে না তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। আর চীন তো সবসময় এই কাজে সিদ্ধহস্ত! সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে নৈতিক, নিরাপদ করার মধ্যে সক্রিয় থাকবে নানান রাজনীতি ও ব্যবসাদারির একশো প্যাঁচ।