পাকিস্তান এখনো উর্দু ও পাঞ্জাবি সাহিত্য, তার সুফি কালামসহ বিচিত্র গানের ভাণ্ডারে ধনী, কিন্তু কোথায় জানি মুক্ত হাওয়া নিরুদ্দেশ! মরমি সংস্কৃতির আধার করাচিতে প্রতিদিন কোনো-না-কোনো মাজারে আক্রমণ হয়। শিয়া ও অন্য মতাবলম্বীদের মসজিদসহ খ্রিস্টানচার্চ গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। ইরানের মতোই অবরুদ্ধ খোপে বসে পাকিস্তানি মেয়েরা ছেলেদের সঙ্গে মিশেন। সবই আছে, তবু কী যেন নাই…! কিছু একটা মিসিং বুল্লে শাহর পাকিস্তানে। ইমরান-মিয়াদাদ, ওয়াসিম আকরাম-ওয়াকার ইউনূস আর শোয়েব আখতারে ঠাসা ক্রিকেটত্রাস পাকিস্তানে। গানের কোকিল নূরজাহান, গজল সম্রাট মেহদী হাসান, কাওয়ালের বাদশাহ নুসরাত ফতেহ আলী খান, রোমান্টিক মেলোডি কিং আদনান সামী থেকে আজকের প্রমিজিং আতিফ ইসলামদের পাকিস্তানে কী মিসিং, সেইটা কেবল তার খাতুনরা জানেন!
-
-
জামায়াতে ইসলামী যে-ধারায় রাজনীতি করে সেটি কখনো স্বস্তিকির ছিল না। আজকে বা আগামীতেও এই রাজনীতিকে স্বস্তিকর ভাবা সম্ভব নয়। ধর্মীয় উগ্রবাদের চাষাবাদে বহাল থেকে ক্ষমতাচর্চার রাজনীতি শুভ হতে পারে না। জামায়াত গণতন্ত্রের কথা বলে কিন্তু তাদের রাজনৈতিক কনটেক্সেট বিবেচনায় সেটি বিশ্বাসযোগ্য হয়ে ওঠে না। এমন এক শাসন কায়েম করা তাদের মৌল উদ্দেশ্য যেটি যুগানুকূল নয়। ইরানের মতো বিপ্লবী রাষ্ট্র গঠন ও অনুরূপ কোনো শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠাই তাদের লক্ষ্য। এখন ইরান কি ইসলামি রাষ্ট্র হিসেবে ভালো অবস্থায় আছে? বিশ্বে এই মুহূর্তে খোমেনিছকে শাসিত রাষ্ট্রের যুগান্তকারী কেনো অবদান কি আমরা দৃশ্যমান দেখছি?