নতুন শ্রমবিন্যাস কাজেই সামনে অনিবার্য বলে মত ঠুকছেন তাঁরা। ম্যানাসের মধ্য দিয়ে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিজেকে হালনাগাদ করতে সক্ষম প্রযুক্তি, অর্থাৎ সেল্ফ অটোমেশনের নয়া দিগন্তে পা রাখবে বিশ্ব। মানব প্রজাতির জন্য যেটি প্রতিদ্বন্দ্বীতায় পূর্ণ এক বিশ্বের ছবি তুলে ধরছে। যন্ত্রে সচেতন মন সৃষ্টির যে-নিদান মার্ভিন মিনস্কি তাঁর The Society of Mind বইয়ে দিয়েছিলেন, আগামী বিশ্ব কি তাহলে সেদিকে পা বাড়াচ্ছে? প্রশ্নটি উঠতে শুরু করেছে ইতোমধ্যে।
-
-
প্রযুক্তি-সামন্তবাদ ওরফে টেকনো ফিউডালিজম এভাবে রাষ্ট্রকে ধীরে ধীরে অকার্যকর করে দিচ্ছে। মধ্যযুগে রাজারা সামন্তবাদী ভূস্বামী ও বণিকদের ওপর নির্ভরশীল ছিল! ডিজিটাল সামন্তবাদের পুরোহিতচক্রকে অনেকটা সেরকম দেখতে! ইলন মাস্ক, জেফ বেজোস, স্যাম অল্টম্যান, বিল গেটসের মতো ব্যক্তিরা সেখানে আসল চালক। মধ্যযুগে বিরাজিত খ্রিস্টান চার্চের মতো সমস্ত ক্ষমতা তাঁরা কুক্ষিগত রেখেছেন। এসব কারণে ভারোফাকিস বলছেন, আমরা এমন এক বাস্তবতায় প্রবেশ করেছি যেখানে কর্পোরেট ডিজিটাল লর্ডদের অধীনে আমাদের অর্থনীতি নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে। রাষ্ট্র এখন দুর্বল, এবং গণতন্ত্র হুমকির মুখে। আমরা একটি নতুন ডিজিটাল সার্ফডম-এর দিকে ধাবিত হচ্ছি।