গণজাগরণ মঞ্চ হইতে ঘোষিত আন্দোলন জাহানারা ইমামকে পুনরায় ফেরত আনতে পারলেও শেখ মুজিবকে ফেরত আনতে পারে নাই। তিন মাসের আন্দোলন মুজিবকে ফ্রেমের বাইরে রেখে করতে হইছে উনাদের! মুজিবকে প্রতিষ্ঠিত ও সর্বজনীন করতে গণজাগরণ মঞ্চ স্বয়ং ব্যর্থ হয়। সেইসঙ্গে জামায়াত নিষিদ্ধ করার সুযোগ মিস করেন হাসিনা। উনি কেন এত বাপের নাম নিতেন, অতিরিক্ত করতেন, এসবের পেছনে কারণ নেই বলা যাবে না। যদিও দেশ চালাইতে গেলে অনেককিছু নতুন করে বিবেচনা করতে হয়। হাসিনার ওই মেজাজ ছিল না।
-
-
সিরাজুল আলম খানদের মতো শত হাজার যুবা তখন ফিকশন থেকে রিয়েলিটিতে আছাড় খেয়ে পড়ছিলেন। গন্তব্যহীন অনিশ্চয়তা ছিল নতুন বাস্তবতা। খান আতা সেখান থেকে তাদেরকে ফিরতে বলছিলেন। উনার এই আহবানকে আমরা নিতে পারিনি। তার বদলে ট্যাগিং দিচ্ছি উনাকে...! খান আতা রাজাকার! রাজাকার যদি হয়েও থাকেন তাঁর প্রশ্নটি তো ভ্যালিড ছিল। আমরা সেটি শুনতে ইচ্ছুক নই বা ছিলাম না কখনো। শালপ্রাংশু মুজিব স্বয়ং অনেককিছু কানে তোলার অবস্থায় ছিলেন না। শেখ হাসিনার ক্ষেত্রে তো প্রশ্নই উঠছে না। বিগত তেপ্পান্ন বছরে রিয়েলিটির মধ্যে নতুন রিয়েলিটি এভাবে জন্ম নিয়েছে।