• বিবিধ ও বিচিত্র

    সহিংসতার পতন ও স্টিভেন পিঙ্কার

    বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে যুক্তি বিরচনে সিদ্ধহস্ত স্টিভেন পিঙ্কার সহিংসতা হ্রাস পাওয়ার নেপথ্যে মানবমস্তিষ্কে যুক্তিনিষ্ঠতার বিকাশ ও অগ্রগতিকে গুরুত্বপূর্ণ সূচক হিসেবে কিতাবে হাজির করছেন। উনার মতে, দাসপ্রথা, নারীকে অবরুদ্ধ রাখা ও বিচিত্র তরিকায় শারীরিক-মানসিক নিগ্রহ, শিশুশ্রম ও নির্যাতন, বাকস্বাধীনতায় আগল তোলা ইত্যাদি ঘটনাকে কেন্দ্র করে সুদূর অতীত থেকে একশো বছর আগেও মানবসমাজ যে-পরিমাণ বীভৎস ছিল... সময়ের সঙ্গে এগুলোকে মোকাবিলার পন্থায় তারা অনেকবেশি বিবেচক ও সমঝোতাপ্রবণ হইতে পারছেন।

  • বিবিধ ও বিচিত্র

    বেশরিয়ত জামানার গোলাপসুন্দরীগণ

    পাকিস্তান এখনো উর্দু ও পাঞ্জাবি সাহিত্য, তার সুফি কালামসহ বিচিত্র গানের ভাণ্ডারে ধনী, কিন্তু কোথায় জানি মুক্ত হাওয়া নিরুদ্দেশ! মরমি সংস্কৃতির আধার করাচিতে প্রতিদিন কোনো-না-কোনো মাজারে আক্রমণ হয়। শিয়া ও অন্য মতাবলম্বীদের মসজিদসহ খ্রিস্টানচার্চ গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। ইরানের মতোই অবরুদ্ধ খোপে বসে পাকিস্তানি মেয়েরা ছেলেদের সঙ্গে মিশেন। সবই আছে, তবু কী যেন নাই…! কিছু একটা মিসিং বুল্লে শাহর পাকিস্তানে। ইমরান-মিয়াদাদ, ওয়াসিম আকরাম-ওয়াকার ইউনূস আর শোয়েব আখতারে ঠাসা ক্রিকেটত্রাস পাকিস্তানে। গানের কোকিল নূরজাহান, গজল সম্রাট মেহদী হাসান, কাওয়ালের বাদশাহ নুসরাত ফতেহ আলী খান, রোমান্টিক মেলোডি কিং আদনান সামী থেকে আজকের প্রমিজিং আতিফ ইসলামদের পাকিস্তানে কী মিসিং, সেইটা কেবল তার খাতুনরা জানেন!

  • দেখা-শোনা-পাঠ - বিবিধ ও বিচিত্র

    চক্ষুষ্মান শিকল পাগলা

    শিকল পাগলা এই চক্কর হইতে মুক্ত। অন্ধ চোখে দিব্যি সব দেখতে আছে সে! চোখের কী ধার! যখন গান করে,- আমাদের সকল জারিজুরি মনে হয় ন্যাংটা করে দিতেছে। জন্মান্ধ এই চক্ষুষ্মানের আঁখিঠারকে ফাঁকি দিবার নাই উপায়।

  • বিবিধ ও বিচিত্র

    মুক্তবিহঙ্গ সৌদি যুবরাজ

    ভালো উদ্দেশ্যে রিসেট বাটন চাপতে সমস্যা নাই। যুবরাজের এই মাইন্ডগেম অদ্য কাজে দিতেছে। সৌদি আরবের জাতীয় দিবস এখন থেকে ১৭২৭ বইলা সাব্যস্ত হইল;- এই মর্মে ডিক্রিও জারি করছেন যুবরাজ। সেইসঙ্গে উদার, সহিষ্ণু ও মধ্যপন্থী ইসলামচর্চাকে প্রাধান্য দিয়া মাস্টার প্ল্যানকে বাস্তবায়নে সক্রিয় তিনি।

  • বিবিধ ও বিচিত্র

    গুডবাই সাকিব

    মাঠে ব্যাটে-বলে ওভার দ্য টপ সাকিব মাঠের বাইরেও সেরকম কিছু করে দেখাতে চেয়েছিলেন। খুব-যে ভেবেচিন্তে চেয়েছিলেন এমনটি বলা যাচ্ছে না। তাঁর সহজাত স্বভাবে সাকিব ধরে নিয়েছিলেন,- মাঠের বাইরেও অফস্পিনের টপ্পা দিয়ে ইউকেট ফেলবেন যখন দরকার তখন। ছয় হক্কা হাঁকাবেন আচমকা অথবা এমন কাণ্ড বাঁধাবেন মাঠে, যা নিয়ে লোকজন পরে হইচই করবে, সমলোচনার তীর ছুড়বে, কিন্তু তাঁকে অস্বীকার করতে পারবে না।