• আসুন ভাবি

    একচ্ছত্রবাদ ও তার রিভার্স ইফেক্ট

    একচ্ছত্রবাদের বিরুদ্ধে আকস্মিক উদগীরণ এভাবে সমাজে তৈরি হইতে থাকে। আমেরিকায় ওইসময় ঘটনাটি ঘটছিল। পাকিস্তানে এখনো ঘটতেছে। বাংলাদেশে যদি উগ্রবাদ অতিরিক্তি মাথাচাড়া দিতে থাকে, সেইটা যে-আকারে দেখা দিক সমাজে, আমাদের মিয়া ও খাতুনদের এই জোর নাই যে বেশিদিন চাপ নিতে পারে। মোদের রেহানা মরিয়ম নূর বাঁধন ম্যামরা পয়লা চাপেই ধসে পড়বে। অচিরে পাঙ্ক টাইপের রিভার্স কিছু ঘটতে দেখবে বাংলাদেশ। নিউটনের থার্ড ল ইজ ইনঅ্যাভিটেবল। মনে রাইখো,- প্রত্যেক ক্রিয়ার সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া থাকে। আমরা তো পড়ছি ইস্কুলে। নাকি?

  • আসুন ভাবি

    ও মাটি হবো মাটি 

    প্রাকৃতিক সত্তা ও স্বজ্ঞা মানুষের মাঝে ক্রিয়াশীল থাকার পরেও সে অপ্রাকৃত ও নিজস্ব হইতে চায়। মাটি তেমন নয়। বৃক্ষরা নয়। জগতের কোনোকিছু নয়। জগতের সমুদয় বস্তুর সঙ্গে মানুষের তফাতটা এখানে ভীষণ মৌলিক। মাটির মধ্যে সহজাত পরার্থপরতার আলাপ মারিয়াম মাহজাবিন তাঁর ভিডিও পডকাস্টে তুলছিলেন। পিওর থটস বলা যাইতে পারে। শোনার পর মনে হবে, দারুন তো! এভাবে কখনো ভেবে দেখে নাই! তো উনি মাটির যেসব গুণ মানুষের মধ্যে থাকা উচিত বইলা মনে করেন, এখন সেইটা বনিআদমে সক্রিয় করানো কঠিন। যতক্ষণ না সে কান্টীয় তরিকায় যুক্তি দিয়া উপলব্ধি করতে পারতেছে,- তারে মাটির মতো হইতে হবে। 

  • আসুন ভাবি

    ক্ষমতা ও প্রতিরোধ

    ক্ষমতা দূর হইতে সুন্দর,- নিকটে গেলে ‘প্রকৃত সারস উড়ে যায়।’ অন্যদিকে প্রতিরোধ ভীষণ সুন্দর, কিন্তু সে যখন প্রকৃতির নিয়মে ক্ষমতায় রূপান্তরিত হয়, তখন তারে পুনরায় প্রতিরোধ করা ছাড়া উপায় থাকে না। ভেবে দেখলে ক্ষমতা ও প্রতিরোধ একই সত্তার দুইখান ভিন্ন রূপ। এখন ক্ষমতা হইতে প্রতিরোধ আসে, নাকি প্রতিরোধ হইতে ক্ষমতা জন্ম নেয়, ওইটা অনেকটা ডিম আগে না মুরগি আগের মতো কঠিন প্যারাডক্স।

  • আসুন ভাবি

    বাধ্য বনাম অবাধ্য ভাষা

    ফ্যাসিজম আদতে যমরাজ হয়ে মানুষের উপ্রে নিজের কাজবাজ চালাইতে থাকে। কাজেই এখানে ইজম-এ নিহিত প্রতীকী অর্থটারে ভাঙতে ফ্যাসিযম লেখা যাইতে পারে। যম কে বা কী-কারণে তার এহেন নামকরণ, সেইটা হয়তো কলিম খান ও রবি চক্রবর্তী জীবিত থাকলে ঠিক ব্যাখ্যা দিতে পারতেন, তবে যম শব্দের ক্রিয়াভিত্তিক বুৎপত্তি বাদ দিলেও হিন্দু পুরাণের সুবাদে তার যে-বয়ান আমরা জানি, সেখান থেকে তার কাজের ধারা ভালোই ঠার করা যায়। সুতরাং ফ্যাসিজম নয়, আমরা অনায়াস লিখতে পারি ফ্যাসিযম। জুকারবার্গের অ্যালগরিদমকে এই ব্যাপারে ইনপুট দিলে তখন আবার শব্দটাকে ধরবে সে। অসুবিধা নাই, ফ্যাসিযম-এর মাঝখানে গাণিতিক অথবা অন্য চিহ্ন বসিয়ে নতুন অপিরিচিতকরণে আমরা যাবো তখন।

  • আসুন ভাবি

    সত্য-মিথ্যার সাতকাহন

    দার্শনিক দেকার্তেও বিষয়টি নিয়ে আলাপ তুলেছেন। যেখানে তিনি বলছেন,- মিথ্যা হচ্ছে মানুষের চিন্তা ও উপলব্ধির বিকৃত প্রতিফলন। দার্শনিক কান্ট বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছিলেন। যে-কারণে কান্টের নীতিশাস্ত্র এখন পর্যন্ত বহুল প্রভাবস্তিারী। কান্ট বলেন, সত্যের ধারণা আমাদের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে গড়ে ওঠে। সত্য একটি সুস্থ সমাজের জন্য অপরিহার্য। সত্য বলা একটি নৈতিক বাধ্যবাধকতা।