তাঁর কবিতায় নিশ্চয় এমন কোনো দ্রবগুণ রয়েছে, যে-কারণে বিশ্বের শতাধিক ভাষায় দ্য প্রফেট অনূদিত ও পঠিত হয়ে চলেছে! পাশ্চাত্যে মাওলানা রুমির পরে তিনি সম্ভবত সর্বাধিক পঠিত কবি। রুমির চেয়ে বেশিও হতে পারেন। এতো মানুষ যাঁর কবিতা পড়ছেন, সে তো এমনি-এমনি নয়;—নিগূঢ় ব্যঞ্জনা ও বোধির সাক্ষাৎ মিলছে দেখে পাঠ করছেন তাঁকে। এমন কোনো সান্ত্বনা হয়তো কাহলিল জিবরান মানুষকে দিতে পেরেছেন, যেটি প্রেমের দিকে, মানবিক বিভূতির দিকে, চিরন্তন মানবিক আভার দিকে মানুষকে ফেরত আসতে বলে।
-
-
ভাষার এই অদ্ভুত কনট্রাস্টই জীবনানন্দের অপার শক্তি, এবং সে-কারণে বিশ্বের চিরমহান কবিদের একজন তিনি। কিংবা আলো পৃথিবীর রাত্রি কবিতা যদি পাঠ করি পুনরায়,—বিস্ময়কর নির্মিতি। অভবানীয় ও অদ্ভুত! কিন্তু নিজের ম্যাসেজ প্রদানে ক্রিস্টাল ক্লিয়ার। জীবনানন্দ ইহজীবনে আর্ট ফর আর্ট সেক বা শিল্পের জন্য শিল্প লেখেননি। তিনি বিশুদ্ধ জীবনচাক্ষিক।
-
জীবনানন্দ দাশের টেক্সটের একটি যৌথ মালিকানা কিন্তু এভাবে তৈরি হচ্ছে এখানে! তাঁরা দুজন একই শেয়ারিং ক্লাউডে বিরাজ করছেন এখন। অনুভবটি মনে আসত না, যদি দেখা যেত,—জীবনানন্দ দাশের রেখে যাওয়া বিশ্বে নিজের বিশ্বটি তিনি সংযুক্ত করতে ব্যর্থ হয়েছেন। আমরা তখন একে নকল বা প্রভাবদুষ্ট বলে দিতাম সরাসরি। ঝুঁকিটি হেলাল ভাই উতরে গেছেন মোটামুটি।
-
কলিম খানরা এই ফাইট দিতে চেয়েছিলেন,—বাংলা বর্ণমালার একটি বর্ণও নিছক সিম্বলিক বা প্রতীকী নয়, যেমনটি আমরা ইংরেজি বা অন্য ভাষায় সচরাচর দেখে থাকি। প্রতিটি বর্ণ সুনির্দিষ্ট ক্রিয়া সম্পাদনের দায় মিটাতে গিয়ে উদ্ভুত হয়েছিল। সমাজে বর্ণগুলোর উৎপত্তি ও বিকাশ-বিবর্তন এই নিয়মছকে ঘটেছে। আজকে আমরা ধোপা বলছি, একসময় ধোপাও বলত না লোকজন;—তারা বলত ধোপ।
-
গল্প-উপন্যাস রচনার ধ্রুপদি শর্ত ও তরিকাকে অনুসরণের দায় কণাআখ্যানের নেই। বিষয়বস্তু, পটভূমি, কাহিনি ও চরিত্র চিত্রণকে সার্থক করতে সৃষ্ট ভাষা-বিবরণের দাস হওয়াটা কণাআখ্যান লিখতে থাকা ব্যক্তির মিশনে পড়ে না। তার উদ্দেশ্য ভিন্ন। কণা সমতুল বাক্যের আড়ালে সত্যিকার গল্প-আখ্যানের সম্ভাবনা জেগে ওঠার রেখা এঁকে দায়িত্ব খতম ভাবছে সে। কাজটি যদি ঠিকঠাক করতে পারে, সেখান থেকে পরে আস্ত গল্প বা আখ্যানের গাছ নামানোয় আটকাচ্ছে না কোথাও! সুতরাং, একে গল্প-আখ্যানের প্রতিপক্ষ ভাবার কিছু নেই।