গল্পটি ভেবেচিন্তে লেখা হইছে। যে-বাচ্চাটি তার সৈনিক মায়ের সঙ্গে ভিডিওকলে আলাপ করে তার কাছে আম্রিকার পজিটিভ ইমেজ এখানে মায়ের মাধ্যমে ইনোসেন্ট বয়ানে প্রেজেন্ট করা হইতেছে। কী… আম্রিকার কাজ হইতেছে যেখানে অশান্তি ও হানাহানি সেখানে শান্তির দূত হয়ে গমন করা। এইটা গেল ন্যারেটিভের একটা দিক। অন্যদিকে যেইটা গল্পে হাইড করা হইতেছে, সেইটা হলো শান্তি স্থাপনের মিশনে যারা যাইতেছে, বাচ্চটার মায়ের কথাই ধরি, সে কিন্তু মারা যাইতেও পারে। এখন যদি মারা যায়, আম্রিকার মতো দেশ তারে বীরের মর্যাদা দিবে ঠিক, কিন্তু সে তো জানে কী কারণে তারে যাইতে হচ্ছে সেখানে।
-
-
জামায়াতে ইসলামী যে-ধারায় রাজনীতি করে সেটি কখনো স্বস্তিকির ছিল না। আজকে বা আগামীতেও এই রাজনীতিকে স্বস্তিকর ভাবা সম্ভব নয়। ধর্মীয় উগ্রবাদের চাষাবাদে বহাল থেকে ক্ষমতাচর্চার রাজনীতি শুভ হতে পারে না। জামায়াত গণতন্ত্রের কথা বলে কিন্তু তাদের রাজনৈতিক কনটেক্সেট বিবেচনায় সেটি বিশ্বাসযোগ্য হয়ে ওঠে না। এমন এক শাসন কায়েম করা তাদের মৌল উদ্দেশ্য যেটি যুগানুকূল নয়। ইরানের মতো বিপ্লবী রাষ্ট্র গঠন ও অনুরূপ কোনো শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠাই তাদের লক্ষ্য। এখন ইরান কি ইসলামি রাষ্ট্র হিসেবে ভালো অবস্থায় আছে? বিশ্বে এই মুহূর্তে খোমেনিছকে শাসিত রাষ্ট্রের যুগান্তকারী কেনো অবদান কি আমরা দৃশ্যমান দেখছি?
-
নিখাদ মিথ্যা বলতে কি কিছু আছে? মিথ্যা বলার পর বমি বমি, মানসিক যন্ত্রণা, অসম্ভব অস্বস্তি কেন হয়? মিথ্যার অস্ত্রে অনেক মানুষ চোখের পলকে নাই হয়ে গেলে কেন আফসোস হয় অথবা তখনও কেউ কেউ নির্বিকার থাকি? মিথ্যা উদ্ভাবনের পরই তো বলা হলো আমাদেরকে সত্য বলতে হবে। সত্য বই…. যা বলা যাবে না তা আবিষ্কারই বা কেন? তবে কি আমরাই সেই ঈশ্বর- যে সত্যি মিথ্যাকে নিয়ে খেলতে ভালোবাসে? অনেকে বলে স্বর্গ হলো সত্যের আর মিথ্যা হলো নরকের প্রতীক। একবার স্বর্গে, আরেক বার নরকে যাওয়া আসার মানসিক আনন্দের অথবা যন্ত্রণার এই খেলার উদ্ভাবক কে বা কারা?
-
নারীকে আমরা ধরিত্রী বলি। তিনি ধারণ এবং পালন করেন। এখন ভারতীয় অর্ধনারীশ্বর কিন্তু ন্যায্যতার উপ্রে সৃষ্টি হইছিল। শিব ও পার্বতী একে অন্যে মিশে আছেন, কারণ দুইয়ের মিলন ছাড়া সৃষ্টি হবে না। প্রজনন নাহি সম্ভব। পুরাণে এইটা সমতা না বরং ন্যায্যতার আভাস দিয়া যায়। আমরা সমতায় গিয়া সব ঘাপলা করে ফেলতেছি। নারীবাদের সমস্যা এখানে;- এইটা আমার ব্যক্তিগত অভিমত। এখন এর যৌক্তিকতা নিয়া তর্ক চলতে পারে।
-
অজন্তা এবং ইলোরার গুহাচিত্র বা ভাস্কর্যেও আমরা বিচিত্র রতিআসনের পরিচয় পাইতেছি। তার মানে প্রাচীন ভারতবর্ষে নারী এবং পুরুষের কামক্ষুধার বিষয়টি অনেকটাই ওপেন স্পেস ছিল। মহাভারত বা রামায়ণে গেলে সেইটা পাবো। পুরাণের কথা বাদই দিতেছি। সেখানে দেবতাদের কেচ্ছার তো অন্ত নাই। সবটাই রগরগে। দেবতার মানবায়ন-এ নৃসিংহপ্রসাদ ভাদড়ী এসব নিয়া বিস্তর আলোকপাত করছেন একসময়। অন্যরাও করছেন। তো এই জায়গা থেকে কেবল পুরষতন্ত্রের কারণে কি কামক্ষুধার্ত নতুবা কামনিস্পৃহ নারীর ধারণা গড়ে উঠতেছে? নাকি অন্য কারণ আছে সেখানে?