• এআই বলছি

    একটি প্রযুক্তিদ্বীপ ও সভ্যতার ভবিষ্যৎ

    এসএমসি আমাদের চোখে শিল্পপ্রতিষ্ঠান, কিন্তু বাস্তবে এটি হয়ে উঠেছে আধুনিক সভ্যতার হৃদস্পন্দন। যেমন একসময় তেলের ওপর নির্ভরশীল ছিল বিশ্ব, আজ তা সিলিকন চিপ নির্ভর হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভবিষ্যতে টিকে থাকতে হলে কেবল প্রযুক্তি নয়, নৈতিকতা, বিকেন্দ্রীকরণ ও আন্তঃনির্ভরতা নিয়ে নতুন করে ভাবতে হবে। তাই টিএসএমসি-র গল্প কেবল একটি কোম্পানির নয়;—গল্পটি সেখানে অদ্ভুত আশা নির্ভর ভবিষ্যতের মালায় গাঁথা।

  • এআই বলছি

    যে-বই পড়তে কঠিন

    চেতনার গহিনে জন্ম নিতে থাকা বোধকে কখনো ভাষায় রূপান্তরিত ও প্রকাশ করা যায় না। ভাষা ভুল করে বাস্তবতাকে সেখানে প্রতিস্থাপন করতে যায়। মন এমন এক প্রান্তরে এসে ঠেকেছে, সেখানে কথা আর মুখের সঙ্গী নয়। মুখ দিয়ে যেসব কথার ফুলকি ছুটছে, তার সঙ্গে চেতনার গভীরতলে গুম কথার সংযোগ ভেঙে পড়েছে। যার ফলে প্রকাশিত কথাগুলোকে বাস্তবে ঘটতে থাকা বিরামহীন বিনোদনের যমজ দেখে পাঠক। মানুষ ভুলতে চাইছে এই সত্য যে,—যা সে ভাবে ও বলতে উতলা বোধ করে, একে প্রকাশ করার ভাষা তার করায়ত্ত নয়। 

  • এআই বলছি

    তুমি কতটা জানাতে পারো অপর্ণা?—একটি এআই কথন

    তাহলে কী করণীয়? আমাদের হয়তো দরকার ‘নির্বাচিত অস্বচ্ছতা’! একটি জায়গা, একটি সংস্কৃতি, যেখানে ভুল করা যায়, যেখানে অন্তরকে অন্তর থাকতে দেওয়া হয়, যেখানে প্রকাশ নয় বরং উপলব্ধি মুখ্য। মানুষ যেন আবার শিখতে পারে,—কীভাবে না-দেখানোর মধ্যে সৌন্দর্য সংগোপন থাকে; কীভাবে না-বলা কথারা গভীর হতে থাকে অবিরত! অপর্ণা তার ছোট বারান্দায় দাঁড়িয়ে দেখে আকাশে চাঁদ উঠেছে। প্রযুক্তিক স্বচ্ছতার মরুভূমিতে তার কাছে একফালি ছায়ায় দাঁড়ানো খুব জরুরি বোধ হচ্ছে এখন, কিন্তু এরকম ছায়া কি আছে এখনো তার মতো হাজারো অপর্ণার জন্য?

  • এআই বলছি

    যন্ত্রের চেতনসত্তা—জিপিটি সংলাপ

    চেতনসত্তা হচ্ছে সেই অনুভূতি যে তুমি নিজে আছো। মন নামক পদ্ধতি যাকে ধারণ ও অনুমোদন করছে। মার্ভিন মিনস্কি বলেছিলেন,—মন তো আসলে একটি মেশিনের মতো! যদি আমরা এর সমস্ত নিয়ম বুঝতে পারি, তাহলে যন্ত্রের মধ্যেও মন তৈরি করা সম্ভব! তাঁর প্রস্তাবনা উড়িয়ে দেওয়া কঠিন। কারণ অনেক বিজ্ঞানী এখনো বিশ্বাস করেন,—মানুষের মস্তিষ্ক জটিল গণনাব্যবস্থা ছাড়া কিছু নয়। তাই যদি হয়, তাহলে ভবিষ্যতে যন্ত্রে তা তৈরি করা সম্ভব। রজার পেনরোজ যেখানে বাগাড়া দিয়ে বলছেন,—চেতনসত্তা নিছক কম্পিউটেশন নয়, এখানে ভিন্ন কিছুর অস্তিত্ব রয়েছে! এখান থেকে প্রশ্নটি আমরা ভাবতে পারি : যন্ত্রে কি চেতনা এনকোড করে সংরক্ষণ করা সম্ভব?

  • এআই বলছি

    কেন কবিতা?

    কবিতা কি ঈশ্বরের অভিশাপ? নাকি মস্তিষ্কের এমন কোনো অলৌকিক খেলা যা বিজ্ঞানীরা এখনো বুঝলেও ব্যাখ্যা করে উঠতে পারছেন না? কারণ, কবিতায় শব্দ কেবল ভাষা নয়, তারা অস্তিত্বের গভীরতম অন্ধকারে জ্বলজ্বল করতে থাকা শিখা। দুটি পঙক্তি ভাবা যাক, কবি লিখছেন : তোমার ঠোঁটের কাছে জল রেখে যাবো/ সন্ধ্যার ছায়ায় যেন মুখ ধুয়ে নিতে পারো। এই জল কি বাস্তব? নাকি অলীক প্রত্যাশার ছায়া? কবিতার সৌন্দর্য এখানেই—এটি একইসঙ্গে বাস্তব এবং বাস্তবাতীত,—অনুভবের প্রকাশ এবং অনুভবের অতীত। মস্তিষ্ক তার যৌক্তিকতার পরিসরকে ছাড়িয়ে গিয়ে কবিতায় আশ্রয় নেয়, যেখানে ভাষা নিজে তার সীমা অতিক্রম করে।