ইংরেজ আমলের পুরোটা জুড়ে একের-পর-এক কৃষক বিদ্রোহ, আদিবাসী বিদ্রোহ... এগুলোকে কী কারণে তুচ্ছ গণ্য করতে হবে তার ব্যাখ্যা কি রাইসু দিতে পারবেন?... মুসলমান ছাড়া কাউকে বোধহয় তাঁর চোখে পড়ে না। আহমদ ছফা আর ফরহাদ মজহার উনার মাথা খুব ভালোভাবে চিবিয়ে খেয়েছেন তাতে সন্দেহ পোষণ না করলেও চলছে। উনাদের খোয়াব তো আমরা বুঝি কিছু। বাংলাদেশ কেবল মুসলমানদের ওয়ারিশান হবে, এবং সেই জায়গা থেকে যত ঘটনা সেগুলোকে বয়ানের মাধ্যমে নতুন করে বিনির্মাণ করতে হবে, এভাবে এমন এক মিথ দাঁড় করাতে হবে যেন ইতিহাসকে নতুন করে লেখা সম্ভব হয়;- এই মতলব বুকে নিয়ে ফেসবুকে গণমানুষের কর্তাসত্তা হওয়ার আলাপ নিয়ে হাজির হয়েছেন রাইসু।
-
-
দেশে নারীবাদ এখনো দ্য সেকেন্ড সেক্স-এর বৃত্তে ঘুরছে। নারী যখন পুরুষকে আদার বা অপর হিসেবে দেখেন, তখন তিনি বেগম রোকেয়ায় ফেরত যেতে থাকেন। পুরুষরা যেমন নারীকে ডিফাইন করে ও করতে চায়… ফেরত যাওয়াটা সেখানে প্রকারান্তরে ওই পুরুষবাদী বয়ানের প্রতিধ্বনি করে সেখানে। এতে দুই পক্ষে লড়াই বাঁধে বটে, কিন্তু দিনশেষে নারী হয়ে ওঠে বিকল্প পুরুষ। নারীবাদ কি আধিপত্যবাদ চায়, নাকি চায় অংশীদারিত্ব ও ন্যায্যতা? অংশীদার হিসেবে উভয়ের মধ্যে আমরা সমতা চাইব, নাকি ন্যায্যতা? অর্থাৎ ইকুইটি ও ইকুয়ালিটির মধ্যে ফয়সালা এখনো বাকি। নারীদের মুখ থেকে এই ব্যাপারে আমরা কথা শুনতে চাই। ব্যাপকভাবে…।
-
সেলিম রেজা নিউটন ততক্ষণে ছাবালের ন্যায় বিচলিত মাথা নেড়ে বলতে থাকেন,- আমারে বুঝাইয়া লাভ নাই বুঝছেন! আপনারা নিজেই বোঝেন না কী বুঝাইতে আসছেন আমারে! মাঝখান দিয়া আমার বুঝটারে খালি আউলা করে দিতেছেন সবাই। কথা ফাইনাল,- মাহফুজের মধ্যে ফিদেল ও চে পুনরায় দেহধারণ করছে। বিপ্লব পুনর্জন্ম লাভ করছে। বাকিরা হতাশ ভঙ্গিতে শ্রাগ করিলে ফরহাদ মজহার ফট করে জিগান,- হাসিনার পদত্যাগপত্র আপনারা দেখছেন কেউ? উনারা মাথা নেড়ে ‘না’ জানাইলে মজহার বলতে থাকেন,- এভাবে হবে না। চলেন ড. ইউনূসের কাছে যাই। ঝামেলা উনি তৈরি করছে। উনাকে বলতে হবে মাহফুজ কেন ও কী কারণে মাস্টারমাইন্ড। আমরা কী দুধভাত?
-
ফাল্লাচি দেখিয়ে গেছেন, এ্যাথিকাল জার্নালিজম মানে মিউ-মিউ টাইপের প্রশ্ন নয়, তার মধ্যে থাকতে হবে বারুদ। থাকতে হবে উসকানি। তাৎক্ষণিক সব মুহূর্ত, যা সাংবাদিক তৈরি করে নেবেন আসল মানুষটাকে সামনে আনতে। প্রভোকেটিভ জার্নালিজমের কারণে প্রচণ্ড বিতর্কিত ফাল্লাচি কিন্তু সাংবাদিকতার ডিকশন পাল্টে দিয়েছিলেন তখন। ফাল্লাচি বিশ্বাস করতেন একজন সাংবাদিক স্রেফ কোনো টেপরেকর্ডার নয়। তার নিজের একটি অবস্থান থাকতে হবে, এবং সেই অবস্থানটা অবশ্যই পরিবর্তনের স্বপক্ষে হবে। এবং, যে-সাংবাদিকের কোনো শত্রু নেই, সাংবাদিকতার বাইবেলে তাকে ভালো সাংবাদিক বলার কোনো মানে থাকে না। মতিউর রহমানের কাছে এটি আশা করা বাতুলতা।
-
সাচ্চা বিপ্লবী আপস করে না। মচকায় তবু ভাঙে না। তার বিশ্বাসকে আপনি উপহাস করতে পারেন, খারিজ করতে পারেন, কিন্তু তাতে তার কিছু যায় আসে না। সে ওই অমিয়ভূষণ মজুমদারের নভলেটে বর্ণিত ব্যর্থ বিপ্লবীর মতো নিহত শুয়ে থাকে এই আশায়… একদিন সফল হবোই।