• দেখা-শোনা-পাঠ

    মরুর বুকে বব মার্লে

    পৃথিবীতে বব মার্লে একবার আসছিল, বারবার আসবে না। অমরত্ব পাইতে আসছিলেন,- অমরত্ব লাভ করছেন। তথাপি মরুর বুকে তিনি নির্বাসিত ছিলেন একপ্রকার। সৌদি যুবরাজ সালমানের কল্যাণে মহামেদ এলবকরির কণ্ঠে ডেজার্টল্যান্ডে অবশেষে গীত হইতেছেন তিনি! বড়ো আনন্দ। হুমায়ূন আহমেদের পাগলাটে কোনো চরিত্রের মতো বলতে ইচ্ছা করতেছে,- বড়োই সৌন্দর্য! চোখে জল আসতেছে। জল কি মুছব? না থাক, মুছব না। এলবকরি গাইতে থাকেন গেট আপ, স্ট্যান্ড আপ, স্ট্যান্ড আপ ফর ইওর রাইটস।

  • বিবিধ ও বিচিত্র

    মুক্তবিহঙ্গ সৌদি যুবরাজ

    ভালো উদ্দেশ্যে রিসেট বাটন চাপতে সমস্যা নাই। যুবরাজের এই মাইন্ডগেম অদ্য কাজে দিতেছে। সৌদি আরবের জাতীয় দিবস এখন থেকে ১৭২৭ বইলা সাব্যস্ত হইল;- এই মর্মে ডিক্রিও জারি করছেন যুবরাজ। সেইসঙ্গে উদার, সহিষ্ণু ও মধ্যপন্থী ইসলামচর্চাকে প্রাধান্য দিয়া মাস্টার প্ল্যানকে বাস্তবায়নে সক্রিয় তিনি।

  • আসুন ভাবি

    সত্য-মিথ্যার সাতকাহন

    দার্শনিক দেকার্তেও বিষয়টি নিয়ে আলাপ তুলেছেন। যেখানে তিনি বলছেন,- মিথ্যা হচ্ছে মানুষের চিন্তা ও উপলব্ধির বিকৃত প্রতিফলন। দার্শনিক কান্ট বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছিলেন। যে-কারণে কান্টের নীতিশাস্ত্র এখন পর্যন্ত বহুল প্রভাবস্তিারী। কান্ট বলেন, সত্যের ধারণা আমাদের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে গড়ে ওঠে। সত্য একটি সুস্থ সমাজের জন্য অপরিহার্য। সত্য বলা একটি নৈতিক বাধ্যবাধকতা।

  • আসুন ভাবি - নেটালাপ

    প্রাণে তুমি মিথ্যা মিথ্যা থাকো

    নিখাদ মিথ্যা বলতে কি কিছু আছে? মিথ্যা বলার পর বমি বমি, মানসিক যন্ত্রণা, অসম্ভব অস্বস্তি কেন হয়? মিথ্যার অস্ত্রে অনেক মানুষ চোখের পলকে নাই হয়ে গেলে কেন আফসোস হয় অথবা তখনও কেউ কেউ নির্বিকার থাকি? মিথ্যা উদ্ভাবনের পরই তো বলা হলো আমাদেরকে সত্য বলতে হবে। সত্য বই…. যা বলা যাবে না তা আবিষ্কারই বা কেন? তবে কি আমরাই সেই ঈশ্বর- যে সত্যি মিথ্যাকে নিয়ে খেলতে ভালোবাসে? অনেকে বলে স্বর্গ হলো সত্যের আর মিথ্যা হলো নরকের প্রতীক। একবার স্বর্গে, আরেক বার নরকে যাওয়া আসার মানসিক আনন্দের অথবা যন্ত্রণার এই খেলার উদ্ভাবক কে বা কারা?

  • নেটালাপ

    কামুকী ও কামনিস্পৃহ নারী-২

    নারীকে আমরা ধরিত্রী বলি। তিনি ধারণ এবং পালন করেন। এখন ভারতীয় অর্ধনারীশ্বর কিন্তু ন্যায্যতার উপ্রে সৃষ্টি হইছিল। শিব ও পার্বতী একে অন্যে মিশে আছেন, কারণ দুইয়ের মিলন ছাড়া সৃষ্টি হবে না। প্রজনন নাহি সম্ভব। পুরাণে এইটা সমতা না বরং ন্যায্যতার আভাস দিয়া যায়। আমরা সমতায় গিয়া সব ঘাপলা করে ফেলতেছি। নারীবাদের সমস্যা এখানে;- এইটা আমার ব্যক্তিগত অভিমত। এখন এর যৌক্তিকতা নিয়া তর্ক চলতে পারে।