ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁর যৌথ উদ্যোগে দুদিনব্যাপী এআই সামিট ২০২৫ প্যারিসে সবে শেষ হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চীন, যুক্তরাজ্যসহ ৬০টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ও প্রতিনিধিরা সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন। স্যাম অল্টম্যান, সুন্দর পিচাইসহ টেকগুরুদের অনেকেই হাজির ছিলেন সম্মেলনে। সামিটের আয়োজক মোদি ও মাখোঁ বেশ ভালো বক্তব্য রেখেছেন সেখানে। বিশ্বের সকল জাতিরাষ্ট্রের জন্য এআই প্রযুক্তিকে উন্মুক্ত, অন্তর্ভুক্তিমূলক, স্বচ্ছ, নৈতিক, নিরাপদ ও বিশ্বস্ত করার ঘোষণাপত্র সম্মেলন থেকে এসেছে বৈকি। লক্ষনীয় বিষয় হলো চীনসহ বাকিরা এতে সম্মতি জানিয়ে স্বাক্ষর করলেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সই করেনি।
মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের হয়ে সম্মেলনে উপস্থিত ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্স ঘোষণাপত্রকে সাধুবাদ জানাতে কার্পণ্য করেননি, তবে এআই প্রযুক্তিকে নৈতিক, নিরাপদ করার প্রস্তাবনায় সায় দিতে অপারগ থেকেছেন। সামিট চলাকালে জেডি ভান্স তাঁর বক্তব্যে যেসব যুক্তি তুলে ধরেছেন সেগুলোকে সোজা নাকচ করা কঠিন। তাঁর মতে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মতো প্রযুক্তির বিকাশ নিশ্চিত করতে চাইলে তাকে অতিরিক্ত বিধিনিষেধের বেড়াজালে বেঁধে ফেলা উচিত হবে না। কিছু বিষয় থেকে এই প্রযুক্তিকে সবার আগে মুক্ত রাখা প্রয়োজন :
প্রথমত, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নির্ভর প্রযুক্তিকে ভাবাদর্শের বাহক, প্রচারক হিসেবে ব্যবহার আত্মঘাতী হয়ে দাঁড়াবে। ভাবাদর্শ প্রচারের ছলে রাষ্ট্র তার নাগরিকের ওপর একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ ও সেন্সরশিপ কায়েম করবে তখন। প্রযুক্তিটির উন্মুক্ত বিকাশকে যা বাধাগ্রস্ত ও প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারে।
দ্বিতীয়ত, সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কথা মাথায় রেখে প্রণীত ইউরোপিয়ান ইউনিয়নেয় ডিজিটাল সার্ভিস অ্যাক্ট মাত্রাতিরিক্ত বিধিনিষেধে ভারাক্রান্ত। খুদে কোম্পানিরা যে-কারণে ইউরোপের বাজারে সুবিধা করতে পারে না। অনেকে সেখানে ব্যবসা গুটিয়ে চলে যেতে বাধ্য হয়। ইন্টারন্টে ও তথ্যপ্রযুক্তির বাজারে বৃহৎ থেকে ক্ষুদ্র কোম্পানির মধ্যে ন্যায্যতা নিশ্চিত করতে সাইবার নিরাপত্তার আইনি কাঠামো নমনীয় হওয়া প্রয়োজন।
তৃতীয়ত, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নির্ভর প্রযুক্তির অপব্যবহার রোধ করার প্রয়োজনীয়তা অবশ্যই রয়েছে। এখন এর রূপরেখায় বিবেচনা ও বিজ্ঞতার ছাপ থাকা জরুরি। কোমলমতি শিশুদের জন্য প্রযুক্তিটি ব্যবহারের নীতি কেমন হবে সেটি ভেবেচিন্তে নেওয়া প্রয়োজন। অন্যদিকে শিশুদের সঙ্গে যদি প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিককে গড় করে আইন করা হয় তাহলে সেটি ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে। যেসব নীতি নাগরিকের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হচ্ছে সেখানে সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি সঠিক না বেঠিক তার ব্যাপারে প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকের প্রশ্ন তোলার অধিকার আইনে সংরক্ষিত থাকা উচিত। এছাড়া সরকারের মতলব যাচাই করা ও এর যৌক্তিকতা নিয়ে নাগরিকরা প্রশ্ন তুলতে পারছেন না। আইন প্রণয়নের ছলে মতপ্রকাশের অধিকার একটি দেশের সরকার কতটা কী জখম করলেন তার কিনারা পেতে শিশু ও প্রাপ্তবয়স্কের ক্ষেত্রে সাইবার নিরাপত্তা আইনের বিধান ভিন্ন হওয়াটাই যুক্তিসংগত।
ভান্সের বক্তব্যকে এখন কীভাবে দেখা যায়? এআই সামিটের ঘোষণাপত্রে সই না করার পেছনে বেশ কিছু ভাবনা তাঁর মধ্যে কাজ করেছে বোঝা যায়। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে কেন্দ্র করে সামনে যে-অতিকায় বাজার-সম্ভাবনা তৈরি হতে যাচ্ছে সেখানে নীতি-নৈতিকতা আর নিরাপত্তাকে বুঝেশুনে প্রয়োগের প্রয়োজন আছে। এসব ব্যাপারে অতিমাত্রায় কঠোর হতে গিয়ে ব্যবসাদার যুক্তরাষ্ট্র এই প্রযুক্তির বাণিজ্যিক সম্ভাবনাকে কোনোভাবে বিনষ্ট করতে চাইছে না। বাজার তৈরিতে ওপেন এআই কেবল একলা বিলিয়ন ডলারের ওপর ব্যয় করেছে। যুক্তরাষ্ট্র কাজেই বাজারের বিষয়টি সবার আগে মাথায় রাখছে।
ক্ষুদ্র কোম্পানির ব্যাপারে ভান্স যে-বক্তব্য রেখেছেন, খোদ যুক্তরাষ্ট্রের কনটেক্সটে তা কতখানি সত্য? ইন্টারনেটের আদিপর্বে ব্রাউজিংয়ের জন্য নেটস্কেপ নেভিগেটর আর গানশোনার জন্য নেটস্কেপ অডিও প্লেয়ার জনপ্রিয় ছিল। উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের সঙ্গে ইন্টারন্টে এক্সপ্লোরার ও মিডিয়া প্লেয়ার ফ্রিতে দিয়ে দিলো মাইক্রোসফট। নেটস্কেপের কাম তাতেই দফারফা। জাভার উত্থানপর্বেও তারা ওয়েবে অপরিহার্য জাভা স্ক্রিপ্টকে অপারেটিং সিস্টেমে সহজ একসেস দিতে টালবাহানা করেছে। আটকানো সম্ভব নয় দেখে পরে ছাড় দিতে বাধ্য হয়। মাইক্রোসফটের দানব হয়ে ওঠার মধ্য দিয়ে স্বত্ববিহীন সফটওয়্যার ব্যবহারের স্বপ্নেও ছেদ পড়ে।
আমরা এমনভাবে সফটওয়্যার বানাবো যা মানুষ বিনাখর্চায় ব্যবহার করতে পারবে;- টেকগুরু রিচার্ড স্টলম্যানের এই জিহাদে বিল গেটস স্বয়ং শামিল ছিলেন। হার্ভাড ও এমআইটি ল্যাবে স্টলম্যানসহ একঝাঁক টেকগুরু কোড লিখে কাবার করতেন। বিল গেটস এর বাজার সম্ভাবনা তখনই আঁচ করতে পেরেছিলেন। পণ্য হিসেবে একটি সফটওয়্যারকে বাজারে আনা মানে হচ্ছে তার সম্প্রসারণ ও নতুনত্ব ক্রমাগত শক্তিশালী হতে থাকবে। গেটস কাজেই কপিলেফট সফটওয়্যারের ভাবনা বাদ দিয়ে নিজস্ব অপারেটিং সিস্টেম তৈরিতে দিলেন মন। বাকিরা তাঁকে গাদ্দার নামে তখন ডেকেছিলেন বটে।

গেটসের এই ভ্যাঞ্চার অবশ্য বিফলে যায়নি। সেইসঙ্গে এও সত্য,- উইন্ডোজ না এলে সফটওয়্যারের বাজার আজকে এতটা অতিকায় আর বৈচিত্র্যে ভরে উঠত না। অন্যদিকে গেটসের কারণে রিচার্ড স্টলম্যানরা বিকল্প প্লাটফর্ম কীভাবে শক্তিশালী করা যায় সেটি নিয়ে গভীর ভাবনায় যেতে পেরেছিলেন। লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেমের জনক লিনাস টরভল্ডসকে এই সুবাদে পেল বিশ্ব। গোটা বিশ্ব জুড়ে জালের মতো ছড়ানো নেটওয়ার্কে বা সোজাকতায় সার্ভারের চালিকশক্তি এখনো লিনাক্স। এখানে তার রাজত্ব একচ্ছত্র। মাইক্রোসফট অনেকভাবে চেষ্টা করেও সেই রাজত্বে ভাগ বসাতে পারেনি।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার নেটওয়ার্ক ভিক্তিক প্লাটফর্মও লিনাক্স। যার বদৌলতে বিশ্বব্যাপী গড়ে উঠেছে ওপেন সোর্স কোডের এক দুনিয়া। যেখানে হাজার-হাজার প্রোগ্রামার ও ওয়েব ডেভোলাপার নিজেকে তৈরি করতে পারছেন। জাভা, লিনাক্স থেকে আজকের ডিপসিককে বাজারে রাজত্ব করতে এরাই চালিকশক্তি। স্টলম্যান ওইসময় কপিলেফট সফটওয়্যারের যে-মেনিফেস্টো তৈরি করেন তার সঙ্গে অবশ্য ওপেন সোর্স কোড নির্ভর সফটওয়্যারের কার্যপদ্ধতি সাংঘর্ষিক। স্টলম্যান সবসময় এই স্বপ্ন লালন করেছেন,- সফটওয়্যার এমনভাবে তৈরি করতে হবে যেন ব্যবহারকারী বিনামূল্যে তাকে ব্যবহার করতে পারেন। বাস্তবে তাঁর এই স্বপ্ন সফল হয়নি। নব্বই দশকের গোড়ায় স্টলম্যান তাঁর ম্যানিফেস্টোয় ঘোষণা দিয়েছিলেন :
১. সফটওয়্যার পয়দা হবে স্বাধীন পরিসরে। কারো খবরদারি সেখানে থাকবে না।
২. এর প্রস্তুত-প্রণালি নিয়ে স্বাধীন গবেষণার পরিসর উন্মুক্ত থাকবে।
৩. একজন প্রোগ্রামারের কোডিং কোনো সংরক্ষিত ব্যক্তিমালিকানার বিষয় হিসেবে থাকবে না। অন্যদের সঙ্গে তিনি সেটি বিনিময় করবেন বা অন্যরা চাইলে এর ওপর কাজ করতে পারবে। পুরোটাই সৃজনশীল, এবং এখানে স্বত্বের ধারণা সৃজনশীলতাকে হত্যা করার শামিল।
এভাবে একটি যৌথতার মধ্য দিয়ে এমন এক পরিসর গড়ে উঠবে, যেখানে এর মালিকানা বা এর থেকে প্রাপ্ত অর্থের ভাগিদার সকলে হবেন। এর ওপর ভিত্তি করে যেসব কোম্পানি পরে গড়ে উঠেছে, সেখানে একজন ব্যক্তির বিলিয়ন ডলারের মালিক হওয়া মুখ্য নয়। মুখ্য হচ্ছে, একটি সমবায়ী পদ্ধতির মধ্য দিয়ে প্রযুক্তিজ্ঞানকে অবিরত সম্প্রসারিত করা। লিনাক্সের মতো ওপেন সোর্স কোড নির্ভর অপারেটিং সিস্টেমের সাম্প্রতিক বিপণন নিয়ে রিচার্ড স্টলম্যানের আপত্তি ও ভিন্নমত যে-কারণে স্বাভাবিক। প্রযুক্তির বিশ্ববাজারে গ্রাহককে সম্পূর্ণ বিনা খর্চায় সফটওয়্যার ব্যবহারের অধিকার এমনকি লিনাক্সও নিশ্চিত করতে পারেনি। না পারলেও স্টলম্যানের কপিলেফট ম্যানিফেস্টোর চরিত্র আংশিক হলেও এই ধরনের প্লাটফর্ম ধারণ করে বটে।
প্রযুক্তি বাজারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাফল্যের বড়ো কারণ হচ্ছে সে কপিরাইট ও কপিলেফট উভয় পরিসরকে জায়গা দিয়েছে। হ্যাকারদের আটকাতে ইউরোপ যখন কঠিন আইন হাতে নিচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র তখন উলটো পথে হেঁটেছিল। তার যুক্তি ছিল,- একজন হ্যাকারকে ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখা উচিত। হ্যাকারের মূল কাজ হচ্ছে সিস্টেমে কোনো ছিদ্র আছে কিনা খুঁজে বের করা ও প্রাচীর তৈরি করা, যেন আক্রমণ ঠেকানো যায়। এখন যারা ঠেকানোর পরিবর্তে সিস্টেম থেকে তথ্য চুরি করছে, নিরাপত্তা বা ব্যাংকসহ যাবতীয় আর্থিক ও রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা খাতে ব্যবহৃত সিস্টেমকে ধসিয়ে দিচ্ছে, তারা মন্দ হ্যাকার। তাদেরকে প্রতিহত করতে ভালো হ্যাকারদের ব্যাপক পৃষ্ঠপোষকতা করা প্রয়োজন। হ্যাকিং হচ্ছে জ্ঞান ও সৃজনশীলতার এলাকা। এখানে আইনের অতিরিক্ত কঠোরতার চেয়ে কার্যকর প্রতিরোধ গড়ে তুলবে এরকম হ্যাকারদের প্রমোট করতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের এই ভাবনা মোটের ওপর বিফলে যায়নি। জেডি ভান্স বোঝাই যাচ্ছে,- এসব মারপ্যাঁচ মাথায় রাখছেন এখানে। পাশাপাশি চীন অথবা ভারতের মতো রাষ্ট্র নৈতিক ও নিরাপদ প্রযুক্তির কথা বলে যেসব বিধান প্রণয়ন করবে বা করতে পারে সেখানে একচ্ছত্রবাদের সম্ভাবনা থাকছে। থাকার সম্ভাবনা অনুমান করা বোধহয় অসংগত নয় এক্ষেত্রে। ভোটের রাজনীতিতে মোদি হিন্দুত্ববাদকে অস্ত্র হিসেবে বরাবর ব্যবহার করে আসছেন। বিরোধীরা যেন বেশি চড়াও না হতে পারে সেজন্য নৈতিকতার ছলে সিকিউরিট অ্যাক্টে ক্ষতিকর নিয়ন্ত্রণ ভারত আরোপ করবে না তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। আর চীন তো সবসময় এই কাজে সিদ্ধহস্ত! সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে নৈতিক, নিরাপদ করার মধ্যে সক্রিয় থাকবে নানান রাজনীতি ও ব্যবসাদারির একশো প্যাঁচ।
ওপেন এআই ও ডিপসিকের মধ্যে লড়াই সামনে আরো জমজমাট হতে দেখবে বিশ্ব। কেবল তাই নয়, ইলন মাস্কের সঙ্গে স্যাম অল্টম্যানের এআই বাজারে আধিপত্য নেওয়ার লড়াই তীব্র হওয়ার আভাস ইতোমধ্যে পরিষ্কার হয়ে উঠেছে সবার কাছে। ম্যানিক এই ব্যবসাদার ওপেন এআই কিনতে চান বলে এক্স হ্যান্ডেলে বার্তা ছেড়েছেন। স্যাম অল্টম্যান পালটা জবাব দিয়েছেন এই বলে,- তারা বরং ইলন মাস্কের এক্স ক্রয় করতে প্রস্তুত আছেন। আফটার অল, এটি তিনি ভালো হ্যান্ডেল করতে পারছেন না।
বিশ্ব নতুন এক মেরুকরণের সম্মুখে দাঁড়িয়ে আছে। বাংলাদেশের মতো বহু জাতিরাষ্ট্র নির্মমভাবে গুরুত্ব হারাবে সেখানে। সস্তা নয়তো পরিত্যক্ত শ্রমবাজারে পরিণত হওয়ার কারণে অর্থনৈতিক তরক্কি হাসিল করতে গিয়ে ভুগতে হবে ব্যাপক। এই যুদ্ধে নিজের জনগণের ভবিতব্য নিয়ে ভাবা যে-কারণে ভীষণ ভীষণ জরুরি। দেশে অরাজক পরিস্থিতি বিরাজ করায় এসব নিয়ে ভাবার অবস্থায় কেউ নেই! শিল্পকারখানা বন্ধ হচ্ছে একে-একে। শ্রমিকরা কাজ হারাচ্ছেন। রপ্তানিখাত ধসে পড়েছে অনেকখানি। প্রযুক্তি-বাজারে দেশকে কীভাবে তোলা যায় তার ব্যাপারে দেশের ভাগ্যবিধাতারা মনে হচ্ছে পুরাই বেখবর! এমন সব বিষয় নিয়ে তাঁরা পড়ে আছেন, যেগুলো আসলে গভীর কোনো গুরুত্ব রাখে না। দেশকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার মতো যোগ্য সেনাপতি মনে হচ্ছে আপাতত নিখোঁজ!
. . .
. . .