মাতাল রাজ্জাকের গান ‘মসজিদ ঘরে আল্লা থাকে না’, সময় বিচারে অতিব প্রাসঙ্গিক। গানের দুই-এক জায়গায় আমার যদিও আপত্তি আছে। চণ্ডালের কোরান পড়া আর বেশ্যার গলে সোনার হার শোভা পাওয়ার উপমা দিয়ে বাউল বোঝাতে চেয়েছেন, মোল্লাদের হালত এখন এর সমতুল। একুশ শতকে বসে শুনতে খারাপ লাগে। কানে বাজে খট করে। মনে হয় সুফি বাউল নিজেই তো চণ্ডাল ও বেশ্যার কাতারে দাঁড়িয়ে। সমাজ তাকেও প্রান্তিক করে রেখেছে। কোরান ও মসজিদে জায়গা দিতে মোল্লা নাখোশ। মাতাল রাজ্জাকের কি দরকার ছিল কোরান পাঠের দুরবস্থা বোঝাতে বেচারা চণ্ডালকে উপমা করার!
রাজ্জাক আসলে অতশত ভেবে গানখানা বাঁধেননি। প্রচলিত উপমা হিসেবে চণ্ডাল ও বেশ্যাকে নিয়েছেন আর কি! এটুকু বাদ দিলে গানটি মর্মস্পর্শী। বাউল, বিশেষ করে দেওয়ান ঘরানায় প্রচলিত হাদিসের প্রভাব বেশ গভীর। লালন, হাসন বা আমাদের সিলেটের বাউলরা বিস্ময়করভাবে এর থেকে মুক্ত।
. . .
. . .