• আসুন ভাবি

    আমাদের ক্লিকবেট কালচার

    গোড়ার কোয়েশ্চনটা আবার উঠাইতে হয়। কেন শুনতেছি তাহলে? আনসার সোজা,- আমরা গোলাম মাওলা রনিকে শুনতে বসি নাই মোটেও;- শেখ হাসিনার ফেরত আসার সম্ভাবনা নিয়া উনি চটকদার ব্যানার দিছে দেখে মোবাইল স্ক্রিনে ধা করে আঙুল চেপে বসছি। উনি যা বলতেছে তার কিছুই আসলে আমাদের কানে ঢুকতেছে না। ব্যানারটা এখানে রিয়েলিটিক ডিফাইন করতেছে;- গোলাম মাওলা রনি জাস্ট আনরিয়েল। বদ্রিলারের সারার্থ ধার করে বলা যাইতে পারে,- ব্যানার আদতে গণিতের ননরিয়েল বা কাল্পনিক সংখ্যা, কিন্তু সেইটা রিয়েল নাম্বারকে স্থানান্তরিত ও বিচ্যুত করে দিতেছে সেখানে। ক্লিকবেট এ-কারণে দুনিয়াজুড়ে বিলিয়ন ডলার ইন্ডাস্ট্রি।

  • সাহিত্যবাসর

    গ্যালাক্সির বাইরে থেকে

    পৃথিবীতে একদিন আমি বালিশে মাথা রেখে আরামে ঘুমিয়েছি আবার জেগে উঠব বলে, কিন্তু তা আর হয়ে ওঠেনি। দীর্ঘ ঘুমের পর জেগেছি মিল্কিওয়ের বাইরে। মনে রেখো, পৃথিবীতে একবার ঘুমিয়ে পড়লে ফের জেগে ওঠার কোনও গ্যারান্টি নাই। তবে প্রকৃত ঘুম কোনও গ্যারান্টির পরোয়াও করে না। দীর্ঘ ঘুমের পর, আমার শরীরে প্রচণ্ড ব্যথা। ব্যথার টুকরোগুলো লাল, পৃথিবীর রক্তজবায় মোড়া। পৃথিবীর আকাশ তাকাচ্ছে আমার দিকে আর মিটিমিটি হাসছে। আমি ছুঁয়ে দিতে চাইছি তার মুখ। পারছি না। তোমরা মানুষ! ঘুমানোর আগে কোনও মানুষকে শিকার করো না।

  • দেখা-শোনা-পাঠ

    টুটা পারিন্দা ও যে-পথে হয়নি যাওয়া

    বিরক্তি ও অসন্তুষ্টি দিয়া কিন্তু দ্য রোড নট ট্যাকেন কবিতার শুরুয়াত। পরবর্তী স্তবকগুলায় যোগ হইতেছে অতৃপ্ত হাহাকার। ফাঁদ থেকে বের হইতে কবি নিজেকে বোঝান,- দুইটা পথই ঝাক্কাস! একটা বেছে নিতে হবে তাঁকে। জনচলাচল যে-পথে অল্প, কবি সেইটা বেছে নিতেছেন। মনে অবশ্য সংশয়,- বেছে তো নিলাম ঠিক আছে,- ফেরত আসতে পারব তো? জুয়ার দান কবি খেলতেছেন এইবেলা। যে-পথে জনচলাচল আছে সেইটা তুলানমূলক নিশ্চিত ছিল তাঁর জন্য। জনবিরল পথ বেছে নেওয়ায় কপালে লক্ষ্মী জুটতে পারে, আবার ঝাঁটার বাড়িও বিচিত্র নহে। কুছ পাতা নাই কী আছে নসিবে!

  • বিবিধ ও বিচিত্র

    মগজের মাস্তানি

    পৃথিবী বিচিত্র। বান্দরকে কম্পিউটার কিবোর্ডের সামনে বসিয়ে আন্ধাধুন্ধা কিবোর্ড চাপানোর জের হইতে সৃষ্ট মাঙ্কি থিয়োরামকে ফালতু বলি কী করে! অসীম সময় ধরে কিবোর্ডের বাটনগুলা টিপতে থাকলেও বান্দরের পক্ষে শেকসপিয়ারের রচনা নামানো সম্ভব না বইলা যতই রসিকতা করি, বাস্তবে এই মানবগ্রহ সত্যিই ফিনিট। মানবজীবনকে কেন্দ্র করে প্রতিনিয়ত যেসব নকশা পয়দা হইতে থাকে তার মধ্যে কিছু নকশা অবিকল ফেরত আসে। তাই যদি না হবে তাহলে একালে ব্রিটনি স্পিয়ার্সের জীবনে মধুবালা ফেরত আসেন ক্যামনে?