• দেখা-শোনা-পাঠ

    কুইয়ারনামায় লিঙ্গ রাজনীতি

    LGBTQ-র ছাতার নিচে থাকা কুইয়ার হইতেছে এমন লোক যে কিনা নিজের যৌনঅস্তিত্বের ব্যাপারে ঘোরতর সন্দিহান। এখান থেকে একজন কুইয়ারের ঝামেলা শুরু হয়। উভকামী, নারী বা পুরুষ সমকামী অথবা হিজড়ার মতো দ্বৈত যৌনসত্তায় নিজের আত্মপরিচয় নিয়া সে পেরেশান হইতে থাকে। তার মনে তখন এমনসব ফ্যান্টাসি প্রকট হয়, বাস্তবতাকে ইগনোর যাইতে সেগুলাকে সে প্রয়োগ করে। সৌরভ রায় তাঁর রচনায় যেসব আর্টপিস সংযুক্ত করছেন, সেগুলোকে এখন যদি আমলে নেই তাহলে বিষয়টি আমরা ধরতে পারব। আমার ধারণা,- সামনে যে-যুগ আসতেছে সেখানে LGBTQ বইলা কোনো ছাতার অস্তিত্ব থাকবে না। পুরোটাকে কুইয়ার নামক ছাতার নিচে সমাজবিজ্ঞানীরা গোনায় ধরতে বাধ্য হবেন। উনাদের বর্গীকরণে অনেককিছু এখনো মিসিং।

  • বিবিধ ও বিচিত্র

    সুখ তুমি কী…!

    জাতীয় সুখের পরিমাপ পাইতে জিগমে সিংগে ওয়াংচুক কী কারণে জিএনএইচ নিয়া আসেন তার কারণ বুঝতে দর্জির ছবিখানা বেশ উপাদেয়। জিএনএইচ হয়তো জিডিপি/ জিএনপির বিকল্প হইতে পারবে না কখনো। অর্থনৈতিক সক্ষমতা পরিমাপে প্রসঙ্গিক অনেককিছু তাকে কার্যকর ভাবার অন্তরায় সেখানে। জিএনএইচ কার্যকর হলে একটি দেশে সুখ উপচে পড়বে, ঘটনা এমনও নয়। এর ভিত্রে নিহিত ভাবনাখান হইতেছে দামি। অসম বণ্টন, নারকীয় বৈষম্য আর হাজারো মানসিক চাপে বিধ্বস্ত পৃথিবীর মানুষকে জাতীয় সুখ মাপার তরিকাটি সাদাসিধে জীবনের দিকে ফেরত যাওয়ার প্রয়োজন নিয়া ভাবতে শিখায়। ভুটান দেশের হাওয়া এই ভাবনায় গমনের কারণে এখনো নির্মল। আকাশ স্বচ্ছতোয়া নীল। কার না যাইতে মন চাইবে সেখানে!

  • সাম্প্রতিক

    পালনবাদের দেশে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা

    কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, যার কোনো মন নাই বইলা আমরা বুঝতেছি এবং গাধার মতো খাটানো যাইতেছে ভেবে খুশি আছি,- মার্ভিন মিনস্কি তাতে জল ঢেলে নিদান হাঁকছেন,- মনহীন উপাদান যদি মানবমস্তিষ্কে মনকে সক্রিয় করতে পারে, তাহলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে অনুরূপ আইডিয়ার সাহায্যে মন উপহার দেওয়া সম্ভব।... মানুষ মাত্রই ভুল। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা অবশ্য এখনো যথেষ্ট নির্ভুল। আগামীতে এই ছবিখানা থাকবে না। আমাদের মতো ফট করে বলে বসবে : টু এরর ইজ এআই ম্যান। ভুল তোমার হয়, আমিও করছি নাহয়। এর জন্য চেতো ক্যান। খামোশ থাকো। কারেক্ট করতেছি নিজেকে।

  • দেখা-শোনা-পাঠ

    শিয়র ও শিরোস্ত্রাণের কবিকাহন

    ওই-যে স্ল্যাবের চিপায় পা হড়কাচ্ছেন কবিবর, গোঁসাইকে বলতেছেন হাতটা ধরে তারে পুরীষস্তূপে পতিত হওয়ার হাত থেকে পরিত্রাণ করতে, কায়সারের কবিসত্তার এইটা হইতেছে মূল সুর। এবং আমাদের সকলের ক্ষেত্রে সুরটা প্রযোজ্য। আমরা তো আদতে টাবুলা রাসা ছিলাম বাহে। প্লেটোর গুহায় বন্দি ছিলাম। গুহার মধ্যে যা দেখছি সেইটা ছিল চেনা। তার বাইরে যা ছিল তার সবটা অচেনা। আমাদের মধ্যে প্রথম যে-পামর ঘটনাচক্রে গুহা থেকে বাহির হয় ও পরম বিস্ময়ে দেখতে পায় গুহার বাইরে আশ্চর্য এক জগৎ বহমান, সেইটা ছিল আমাদের জন্য সবচেয়ে বড়ো বিস্ময়! দাসত্বের শিকল কেটে মুক্ত হওয়ার প্রথম আলোসুর। অবিষ্কারটা পরে একইসঙ্গে সম্ভাবনা ও বিপর্যয় নিয়া আসে আমাদের জীবনে।

  • নেটালাপ

    একপ্রস্থ হুমায়ূননামা

    হুমায়ূনকে যদি মুছে দিতে পারে, ধরে নিন, বাংলাদেশের অত্যন্ত শক্তিশালী একটি প্রতীককে তারা সফলভাবে ইরেজ করতে পারবে, এবং সেটি সম্ভব। সাহিত্যিক আবেদনের জায়গা থেকে হুমায়ূন আহমেদ যদি নিষ্প্রভ হতেন, আমার কোনো সমস্যা ছিল না। উনাকে রাজনীতির জায়গা থেকে নিষ্প্রভ করার মতলবটি আপত্তিজনক। আমাদের কবিলেখকের ওসব নিয়ে ভাবার টাইম নেই। উনারা হুজুগ আর গুজব নিয়ে ব্যস্ত। নিজের পাছার কাপড় যে নাই হয়ে যাচ্ছে, ল্যাংটাবাবা বানিয়ে দিচ্ছে,- সেদিকে হুঁশ নেই। বাংলাদেশের সাহিত্য নব্বই থেকে অবক্ষয় ও ধসের শিকার। উদ্ধারের অবস্থায় নেই। সব ওই পেদ্রো পারামোয় পড়া মৃত গ্রামে জীবিত প্রেত হয়ে ঘুরছেন।