মনে করি ভুল হচ্ছে; আসলে যা হচ্ছে তা আমার কর্ম ছিল, যে-ব্যবহার আমার সাথে হচ্ছে তা আমি আরেকজনের সাথে করে এসেছি; অথচ মনে করছি ভুল হচ্ছে অঙ্ক? না, প্রকৃতির অঙ্ক ভুল হয় না। যা যা আমি হারিয়েছি, সব আমি ফিরে পেয়েছি শতগুণ বেশি করে; তবু সবাইরে জানান দেই—সূর্য দেখি না অনেক দিন। ... আজ ফেসবুকে দেখলাম বাচ্চারা একজন দেশপ্রধানের প্রতিকৃতিতে জুতা নিক্ষেপ করছে; দেখে শরীর যেন রক্তশূন্য মনে হচ্ছে, সারাটা শরীর কান্নায় ভেঙে পড়ছে, কারণ প্রকৃতির হিসাব এখন সামান্য কিছু বুঝি। আজকের এই দৃশ্য একজনের পাওনা বুঝিয়ে দিচ্ছে প্রকৃতি, আর বাচ্চারা তাদের হিসেব তুলে রাখছে হালখাতায়।
-
-
ব্যথা এখনো টের পায় নাই উনি। যখন পাইবে নিজ দেহটারে ভৌতিক বোধ হবে। দেখবে, পেছনটা কারা জানি রক্তাক্ত করে দিছে। বেঁচে থাকাটারে তখন টুল ব্যান্ডের শব্দ ধার করে বলি,- হোলি গিফট ভাবাটা কঠিন মনে হবে উনার। বিগ প্লেয়ার জীবন ও দেহটারে নিয়া কতভাবে তামাশা করে সেইটা জানত বইলা গানের কথায় নির্বেদের আভাস আনছিল তারা। মাঠে বিগ প্লেয়াররা নামার টাইমে বাকিরা কিন্তু ফুটনোটে রূপ নিতে থাকে। মেসি-রোনালদো যদি মাঠে নামে তখন কী অন্য কারো দিকে তাকাইতে মন চাইবে? চাইবে না। এ-কারণে তারা GOAT। কাজেই মোজো ছেড়ে Taste the feeling পান করার সময় মনে হইতেছে আমাদের জন্য বেশি দূরে নাই।
-
পুতিনশাসিত রাশিয়ার কথাই ধরি। পরাশক্তি হিসেবে সে আসলে কী চায়, কোনখানে যাইতে চায়, কীভাবে দেশবাসীকে একটা কাঠামোয় রাখতে চায় ইত্যাদি সকলের কাছে বোধগম্য করে তুলতে আমরা পুতিনকে সক্রিয় দেখতেছি। নেপথ্যে যিনি বা যারা আছেন তারা পুতিনের পরামর্শক হিসেবে ভূমিকা রাখতেছেন। ভলাদিমির পুতিনের সমুদয় কাণ্ডকারখানার নেপথ্যে সচল দার্শনিক ভিতের প্রণেতা হিসেবে আমরা যেমন আলেকজান্ডার ডুগিনকে পাইতেছি সেখানে। ডুগিনের ব্যাপারে যদি তল্লাসি করি তাহলে বুঝতে পারব কেন বা কী কারণে আসিফ মাহতাব দার্শনিক ভিত গঠনের আলাপ সামনে নিয়া আসছেন। সময়ের সঙ্গে যা নতুন আঙ্গিকে মোড় নিতে পারে, কিন্তু জাতিরাষ্ট্র গঠনে এর প্রয়োজন আছে বৈকি!
-
কালে অকালে চলে যাওয়া বন্ধুদের নিশ্চিত দীর্ঘশ্বাস, প্রতিবেশীদের জমানো সমস্ত আত্মবিশ্বাস - সবকিছু নিয়ে বসে আছে নরক এক - (অন্তরের অলিন্দে করে সে অনেক আলাপ) কেউ তাকে স্পর্শ করতে পারে না - না কোনো স্বর্গ অথবা প্রশান্তির পরম কোনো প্রলাপ...
-
অ্যান্ড্রু টেট হইতে সিলেটি ফাইভপিলারস... এনারা সকলেই পুঁজিবাদী বিকারে মোড়ানো সভ্যতায় নতুন উপজাত। তাদেরকে যারা তৈরি করে তারা হইতেছে আসল খেলোয়াড়। এখন তারা ম্যাট্রিক্স ছবির মরফিউস নাকি এজেন্ট স্মিথ তার কিনারা করা কঠিন। সহজ হলো এইটা ভেবে নেওয়া,- বাস্তবতা হইতেছে বিভ্রম। আমরা সবাই হয় লাল বড়ি নয়তো নীল বড়ি সমানে গিলতেছি। যে-বড়ি গিলি না কেন, একটা-না-একটা ম্যাট্রিক্সে নিজেকে বন্দি রাখতে আমরা বাধ্য। সেখানে ঢোকার পর যা দেখানো হয় বা হইতেছে... আমাদের জন্য সেইটা হলো বাস্তব! বাকিটা পুরাই অলীক।